" জুলাই বিপ্লবের ব্যর্থতার কারন ও উত্তরনের উপায়"
আমাদের ছাত্র-জনতা বিপ্লব করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরাতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু আদতে এদেশ কিন্তু ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয় নি। কেননা বিপ্লব করে হাসিনাকে সরাতে পারলেও এদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিপ্লবী হয় নি কারন বিপ্লবের সাথে সাথেই আসিফ নজরুলদের মত ভারতীয় গুপ্তচর ও আওয়ামিলীগ এর দালালদের কারনে।আপনারা একবার দেখুন, সিরিয়ায় সরকার হটানোর সাথে সাথে সংবিধান স্থগিত করে আগের সরকারের সব কিছু বাতিল করে দিয়েছে আবার আফগানরাও এমনই করেছে যার ফলে তারা তাদের বিপ্লবের সুফল পাচ্ছে কিন্তু আমরা বাংলাদেশী বিপ্লবীরা কিছুই করতে পারলাম না। এখনও হাসিনার তৈরী সংবিধানে,হাসিনার বানানো প্রসিডেন্টের অধীনে হাসিনার সাজানো প্রশাসনেই সব কিছু চলছে। কাজেই আমাদের বিপ্লবটা নামেই হয়েছে কাজে হয়েছে বলে মনে হয় না।
২৪ বিপ্লবের ব্যর্থতা:
১। শহীদদের পূর্নাঙ্গ তালিকা করার ব্যর্থতা।
২। বিপ্লবী সরকার গঠনে ব্যর্থতা।
৩। প্রেসিডেন্ট কে সরানোর অপারগতা।
৪। ফ্যাসিস্ট আমলের সংবিধান বলবত থাকা।
৫। হাসিনা সরকারের সাজানো প্রশাসনের চেইন অব কমান্ডেই এখনও আমরা আবদ্ধ থাকা।
আমরা আগেও বিভিন্ন বিপ্লবে ভুল করে খেসাত দিয়েছি:
১।১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের তালিকা আজও অজানা।
২। ১৯৭১ এর শহীদদের তালিকা করতে না পারা।
৩। শেখ মুজিবকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হটানোর পর শেখের তৈরী চেইন অব কমান্ড ভাঙ্গতে অপারগতা।
৪। সিপাহী জনতার বিপ্লব কাজে লাগানোর ব্যর্থতা।
৫। ৯০ এর অভ্যুত্থানের শহীদের তালিক করার ব্যর্থতা।
এসকল ভুলের মাসুল হিসাবেই আমরা শেখ হাসিনার ১৬ বছরের নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। এবারের বিপ্লবের ব্যর্থতার ফল আরো অনেক অনেক বেশী কুফল বয়ে আনবে।
এই বিপ্লব সফল করার উপায় কি?
১। শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সরাতে হবে।
২। সংবিধান বাতিল করতে হবে।
৩। আওয়ামিলীগ চিরস্থায়ী ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪।প্রশাসনের প্রত্যক স্তর হতে আওয়ামিলীগের সকল দোসদের সরাতে হবে।
৫। যেসকল লোক আওয়ামিলীগ করত তাদের অপরাধীদের সবাইকে জেলে পুরন করতে হবে এবং বাকী আওয়ামিলীগ দেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে।
৬। অপারেশন বুডোজার আরো গতিশীল করতে হবে। কেননা বিপ্লব কখনোই আইন মেনে হয় না, আইন ভেঙ্গে মতুন আইন করার নামই বিপ্লব।গড়ার জন্য ভাঙ্গতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ