"ছাত্রদলের প্রতি উপদেশ"
![]() |
ছাত্রদলের প্রতি উপদেশ |
ছাত্রদলের ভাইয়েরা, ক্যাম্পাসে শো ডাউনের পাশাপাশি, প্রয়োজনে আপনারাও গুপ্ত রাজনীতি চালান।গোপনে আপনাদের আদর্শের দাওয়াত দেন,মেজর জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারন পূর্বক তা প্রচার করেন।
ক্যাম্পাস গুলোতে হুমকি-ধমকি ও ত্রাস না করে ছাত্রদেরকে ঝালমুড়ি, খিচুড়ি, খেজুর, বাদাম খাওয়ান।বই উপহার দেন, বৃত্তি পাইয়ে দেন। কেনো ছাত্র অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়া সেবা দেন। পড়া না বুঝলে বুঝাইয়া দেন। পাঠচক্রে দাওয়াত দেন।বই পড়ান আপনাদের আদর্শের।
একসাথে লাইব্রেরিতে নিয়া যান। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের দাবিগুলা নিয়া লাইব্রেরীর সামনে দাঁড়াইয়া দুই চার লাইন যৌক্তিক কথা বলেন। ডাকসুর মত ছাত্র সংসদ গুলো আপনারা চান। জনপ্রিয়তা নিয়া ছাত্রনেতা হন।
নেতা হওয়ার পূর্ব শর্ত হিসাবে পেশী শক্তি নয়, মেধা আর আদর্শকে প্রধান্য দেন।ছাত্র শিবির যেমন আপনাদের সহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনে মধ্যে প্রবেশ করে গুপ্তচর বৃত্তি করে তেমনি আপনারাও অন্যান্য ছাত্র সংগঠন গুলোতে এমন আদর্শবান ছাত্র প্রবেশ করান।
বাংলাদেশের সাধারন ঘরের ছেলে মেয়েরা আপনাদের ক্যাম্পাসে দেখে ভয় পাবে কেনো? বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আপনাদেরকে ভয় না পেয়ে আপনাদেরকে পছন্দ করতে শুরু করলে বুঝবেন আপনাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
১০০/৫০০/১০০০ টাকা দিয়ে একদিনের মিছিলের জন্য কর্মী না কিনে আদর্শ দিয়ে আজীবনের জন্য কর্মী কিনুন, দেখবেন অচিরেই আপনারা বাললাদেশের শ্রেষ্ঠ ছাত্র সংগঠনে পরিনত হয়েছেন নি:সন্দেহে।
চাত্র সমস্যা নিয়ে নিয়মিত কাজ করতে শখুন,টেন্ডারবাজী করে টাকা কামাইয়ের ধান্ধা বাদ দিয়ে টিউশনি করুন, অন্যকে টিউশনি পাইয়ে দিন, কোচিং সেন্টার খুলুন। বখাটেদের দলে ভেড়ানোর পরিবর্তে মেধাবীদের দলে ভেড়ান।
শুধু ইন্টেকচুয়াল রিসোর্স ছাড়া বাংলাদেশটাকে ঢেলে সাজানোর জন্য আপনাদের কাছে যেই রিসোর্স আছে তা আর অন্য কোনো দলের নাই। সেইটারে কাজে লাগান।
জুলাই ২৪ যারা দেখছে বা রাস্তায় নেমেছে তাদের কারো মনে ভয় দেখাইয়া অন্তত যায়গা নিতে পারবেন না। যায়গা পাইতে হইলে অবশ্যই ভালোবাসা ছড়ানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই।
দিন বদলাইছে। পুরা দুনিয়ার পলিটিক্সের ডায়নামিক্স বদলাইছে। আপনারাও একটু বদলান।যে ছাত্রলীগকে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে দেশ ছাড়া করছেমসে ছাত্রলীগকে৷ কেনো আপনারা অনুকরণ করবেন? নিজেগো ব্যক্তিত্ব আর টিম এত দূর্দান্ত ভাবে গোছান যেন শিবির,ছাত্র ইউনিয়ন,চাত্র অধিকার পরিষদ সবাই আপনাগোরে অনুকরণ করে। সাধারণ মানুষের যেন আপনাগোরে ঠেইলা সংসদে পাঠাইতে মন চায়।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না? ১ বছর করে দেখুন পরের বছর কি হয়। যাদের বোধ শক্তি আছ আছে তার জন্য লিখলাম আরকি। চলেন বদলাই।
প্রতিযোগিতা হোক আদর্শের, পেশী শক্তির নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ