4547715 ডা.বশির আহাম্মদ: কথিত মুক্তি যোদ্ধাদের কুকীর্তি পর্ব ১ > expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫

কথিত মুক্তি যোদ্ধাদের কুকীর্তি পর্ব ১

 কথিত মুক্তি যোদ্ধাদের কুকীর্তি পর্ব,লাইলী ইসলাম


প্রতিকী ছবি

বি:দ্র: এ লেখার সম্পূর্ণ দায় ভার লেখকের উপর বর্তাবে,সম্পাদক দায়ী নয়।

পর্ব-১

আমার আব্বা রানিং চেয়ারম্যান ষড়যন্ত্র করিয়ে দেশ বিভক্ত করার পর আমাদের বাড়ি লুটপাট করার জন্য এবং আব্বাকে এরেস্ট করার জন্য আব্বার কাছ থেকে বহু টাকা আত্মসাৎ করবে। এই উদ্দেশ্যে কতিপয় মুক্তি যোদ্ধা নামধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। 

আমি ওদের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেভাগে কেটে পড়ি। আমাদের বাড়ির পাশে  জ্ঞাতি গোষ্ঠীর বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করি। ওরা আমাদের বাড়ি তছনছ করে কিন্তু কিছুই পায় নাই কারণ আমার আব্বা কোন টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেন নাই। 


 তিনি একজন প্রেসিডেন্ট পুরস্কার প্রাপ্ত  চেয়ারম্যান ছিলেন এবং পলাশবাড়ী থানার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ।

 আমার আব্বার বিমাতা বোন তাকে শুধু আমার কথা জিজ্ঞাসা করে চেয়ারম্যানের বড় মেয়ে কই ?আমার ফুফু অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার অধিকারী ছিলেন। আব্বার বিমাতা বোন। তখন মাত্র ৮ বছর বয়স হবে। আমার ফুফু জবাব দিয়েছে চেয়ারম্যানের মেয়ে নাই। আমার একটি দামি কার্ডিজ্ঞান বাহিরে নাড়া ছিল তখন তারা সেটি নিয়ে বলে এই তো চেয়ারম্যানের মেয়ের কার্ডিজ্ঞান। তখন আমার ফুফু বলে স্যার চেয়ারম্যানের সাথে আমাদের বনিবনা নেই এটা আমার বড় বোনের বলে ওদের হাত থেকে  নিয়ে নেয়।আমার ছোট বোনের স্বামী ছোটবেলায় আব্বা বিয়ে দিয়েছেন। সেই ছেলে আমাদের বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে এদেরকে দেখে দৌড় দিয়েছে তখন  তার পিছনে পিস্তল ধরেছে ওকে গুলি করার জন্য। তৎক্ষণতা আমার ফুফু বলে স্যার ওই ছেলে আমার ছোট ভাই। চেয়ারম্যান আমাদের কে সহ্য করতে পারে না আমার বাবা অন্ধ। তখন তারা গুলি করা থেকে বিরত থাকে। 

আমাদের বাড়িঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজে কিছু না পেয়ে আমার বোনের স্বামীর পাকিস্তান আমলে একটি ঘড়ি ছিল সেই ঘড়িটা নিয়েছে। আর আলমারির  ডিব্বার মধ্যে আমার আট থেকে দশ আনা পয়সা ছিল সেইটা নিয়েছে। হতাশ হয়ে তারা আবার দল বেধে ফিরে যায়। আমাদের ইউনিয়নের জনসাধারণ বুঝতে পারল এই লুটেরা কারা।

পর্ব- ২

আমাদের বাড়ি অপারেশন শেষ করে হতাশ হয়ে এবার টার্গেট করে আমার বোনের শ্বশুরবাড়ি। আমার তাওয়াই সাহেব ছিলেন অর্থবিত্তের মালিক। তিনি ছিলেন বিচক্ষণ ব্যক্তি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর বাড়িতে আক্রমণ হতে পারে তাই তিনি টাকা-পয়সা সোনাদানা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছেন।  যথারীতি কুলাঙ্গাররা তাওয়াই সাহেবের বাড়িতে আক্রমণ চালায়। কিন্তু বাড়ির সদস্যদেরকে কাউকে না পেয়ে বাড়ি তছনছ করে কিছু না পেয়ে আমার মা আমাদের দুই বোনের জন্য পাঁচখানা নকশি কাঁথা তৈরি করে তাওয়াই সাহেবের বাড়িতে গচ্ছিত রেখেছিলেন। এই লুটেরা সেই নকশি কাঁথা পাঁচখানা নিয়ে যায়।

 পাপ বাপকেও ছাড়ে না। সন্ত্রাসীদের মধ্যে দুই জনের যুবক বয়সেই মৃত্যুর খবর জানি। বাকিদের খবর জানতে পারি নাই। দেশ বিভক্ত হওয়ার পর আমরা ছিলাম নির্যাতিত পরিবার। আমার আব্বা বাড়িতে থাকতে পারেন নাই পালিয়ে পালিয়ে থেকেছেন। পরবর্তী ইলেকশনে আব্বা অংশগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের নেতা আব্বার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে অনেক ভোটে আবার নির্বাচিত হন। আমার আব্বার অনেক জনপ্রিয়তা ছিল। আব্বা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে চলে গেছেন তার অনেক সৎ কাজ আছে। বহু জনকল্যান মূলক কাজ করেছেন। শেষ পর্ব পর্যন্ত দেখার জন্য আমার সাথেই থাকবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

কথিত মুক্তি যোদ্ধাদের কুকীর্তি পর্ব ১

 কথিত মুক্তি যোদ্ধাদের কুকীর্তি পর্ব,লাইলী ইসলাম প্রতিকী ছবি বি:দ্র: এ লেখার সম্পূর্ণ দায় ভার লেখকের উপর বর্তাবে,সম্পাদক দায়ী নয়। পর্ব-১ আমা...