"মুসলমানরা কিভাবে কথিত আহলে হাদিস হয়"
১। সব চেয়ে বেশী সালাফি হয় বিভিন্ন কলেজ ভার্সিটিতে পড়া বাংলা মুফতিরা, কিছু কিছু কোরআন হাদিস পড়ে আলেম ওলামাদের ভুল ধরতে ধরতে গিয়ে ফেতনাবাজ সালাফিদের পাল্লায় পড়ে। ইসলামি আকিদা সম্পর্কে অসম্পূর্ণ জ্ঞানের কারনে ওদের সহীহ আকিদার ফতোয়াবাজির পল্লায় পড়ে নিজেকে বেশী সহীহ আকিদার বানাতে গিয়ে এসকল ফালতু মডিফাইড খ্রিস্টানদের খপ্পরে পড়ে।
২। আরেক দল ইসলামি আকিদার অসম্পূর্ণ জ্ঞানীরা এই জাল সালাফিদের নিকট ধরা খায় আর তারা হলো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে রাগারাগি করে তালাক হওয়ার পর। ভুল করে বউ তালাক দেওয়ার পর তারা আলেমদের নিকট গেলে সুন্নী আলেমরা ফতোয়া দেয় যেভাবেই হোক বউ তালাক হয়ে গেছে। তখন উপায় অন্তর না দেখে আহলে হাদিসের আলেমদের নিকট যায়, তখন আহলে হাদিস আলেমরা বলে তালাক হয় নি। কিন্তু আমাদের আলেমদের মতে বিবাহ সহীহ করতে হলে আহলে হাদিস মানহাজ মত চলতে হবে। তখন স্বামী-স্ত্রী উপায় না দেখে সালাফি হয়🤭🤭🤭।
৩। আরেকটা দল জাল সালাফি হয়, সেটা হলে প্রচুর পায়সা ওয়ালা। ওরা সব মানতে রাজি কিন্তু ঠিক মত যাকাত দিতে রাজি নয়। তখন তারা আহলে হাদিস হয়ে আহলে হাদিসের যাকাত ফাঁকি দেওয়ার কিছু আজাইরা ফতোয়া যেমন ব্যাংকে জমানো টাকা, ঘরের স্বর্ণালঙ্কারের কোন যাকাত দিতে হবে না ইত্যাদির লোভে যাকাত ফাঁকি দেওয়ার জন্য এই মানহাজে আসে।
৪ আরেকটি দল আছে তারা ইসলামিক হলেও সুদ খাওয়া আর ব্যাংক লুট করা বন্ধ করতে রাজি নয়। তারা সালাফিদের কিছু সুদের পক্ষের ফতোয়া আছে, সে ফতোয়া গুলোর মাধ্যমে সুদকে হালাল করার জন্য (যেমন ইসলামি ব্যাংকে লেন দেন জায়েজ বলে তারা ফতোয়া দেয়) এরকম কিছু সুদখোর যোগ দেয়।
৫। অনেক ইসলামিক লোক আছে যারা সব মানে কিন্তু মদ খেতে চায়। তখন তারা সালাফিদের "মদ পবিত্র বস্তু" এই ফতোয়া দেখে নিজেকে মদ খোর ইসলামিক মনে করে আহলে হাদিস হয়।
৬। কিছু লোক টাকা ওয়ালা, ইসলামিক মনমানসিকতার, কিন্তু পরনারী লোভী। তারাও আহলে হাদিস হয় তাদের সেই ফতোয়ার সুযোগে আকাম করার জন্য, যে ফতোয়া মতে তাদের জন্মদাতা আব্দুল ওহাব নযদি সোফিয়া নামক কমনওয়েলথ গেয়েন্দাদের সরবরাহ করা এক বেশ্যার সাথে ৩ মাসের জন্য মুতা বিয়া নামক জেনার চুক্তিতে চুক্তি বদ্ধ হয়েছিলো(প্রমান দেখতে হ্যামফরের ডায়েরী পড়ুন)।
৭। আরো কিছু নোংরা মন মানসিকতার ইসলামিস্ট আহলে হাদিস হয়। যারা অহরহ বিদেশী ও পর্নো ছবিতে আশক্ত থাকে। তারা আহলে হাদিসের এই ফতোয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দলে ভিড়ে যে ফতোয়ায় বলা আছে মানুষের বীর্য পাক (কিতাব বুদূরুল আহিল্লা,পৃ-১৫)।
৮। একদল অল্প শিক্ষিত লোক মধ্য প্রাচ্যে প্রবাসে গিয়ে নতুন নতুন ফতোয়া দেখে বাংলাদেশের আলেমদের ভুল মনে করে আহলে হাদিসের পাল্লায় পড়ে নিয়মিত ইসলামি সেন্টারের বক্তাদের ওয়াজ শুনে দুনিয়ার বাকী সকল আলেমকে বাতিল মনে করে আহলে হাদিস হয়।
৯। বাংলাদেশের একটি ইসলামি ছাত্র সংগঠনের সাবেক ছাত্র নেতারা না বুঝে এই মডিফাইড খ্রিস্টানদের পাল্লায় পড়ে। তারা ছাত্র জীবন শেষ করে একটি ভাল চাকরী ও একজন পর্দাশীল মেয়ের অপেক্ষায় থাকে। তখনই আগে থেকে টার্গেট করে রাখা জাল সালাফিদের বোরকা ওয়ালী মেয়েদেরকে তাদের নিকট কৌশলে বিয়ে দিয়ে দেয়, আর এই ইসলামী সংগঠনের মাথা মোটা নেতা গুলা ঐ সালাফী
পরিবারে নিজের অজান্তেই বিয়ে করে পরবর্তীতে আহলে হাদিস হয় আর মনে করে আমরা তো এত দিনে প্রকৃত মুসলিম হলাম।
১০। আরেক দল মানুষ মধ্য প্রাচ্যে বিশেষ করে কুয়েত ও সৌদিতে প্রবাসে থেকে এসে সালাফিজম প্রচারের জন্য ঐসকল দেশের শেখদের হতে প্রচুর টাকা এনে কিছু টাকা দিয়ে এলাকায় মসজিদ করে আর বাকি টাকার কিছু দান করে আর কিছু মেরে খায়। নতুন মসজওদ আর অভাবে টাকা হাওলাত দিয়ে সহায়তার লোভে কিছু মাথা মোটা মুসলমান আহলে হাদিস হয়।
অতএব এটা বুঝা গেলো কিছু লোক নিজেদের পাপ লোকানোর জন্য আর কিছু লোক মাইনকার চিপায় পড়ে কথিত আহলে হাদিস নামক মডিফাইড খ্রিস্টান হয়।
লেখক: চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ