expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫

এরশাদের মত বিশ্ব বেহায়া না হ

  •  "নির্লজ্জ না হলে কি আওয়ামিলীগ করা যায় না?আওয়ামিলীগের কি লজ্জা নাই?



১। আওয়ামিলীগ এর নেত্রী, খুনী হাসিনা পালায় না বলে পালিয়ে গেলো কেনো?

২। হাসিনা পালিয়ে নিজের পরিবারকে ঠিকই রক্ষা করেছে কিন্তু আর কারো কথা ভাবে নি।

৩। আগের দিনও যে নেতারা হাসিনাকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলো তাদেরকেও পালানোর ১মি: আগ পর্যন্ত কিছু বলে নি।

৪। চট করে আসবে আসবে বলে আপা আসে নি কিন্তু আপার কারনে আপার কর্মীরা বাংলা দেশে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে।

৫। আওয়ামিলীগ এর বাংলাদেশে অবস্থানরত লোকেরা দলের জন্য আওয়ামী মুসলমানরা নিজের ধর্ম পাল্টিয়ে হিন্দু সেজে হাসিনাকে আনার ব্যর্থ চেষ্টা করলো, সফল হয়নি।

৬। ৩৬০ জন এমপি,মন্ত্রী ইতিহাসে প্রথম কর্মীদের ফেলে পালিয়ে গেলো।তার পরও লীগার গুলা এত নির্লজ্জ হয় কি করে?

৭। বিপদে পড়ে যুবলীগ, আওয়ামিলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রদলীগ নেতারা সিনিয়র নেতাদের হাজারো ফোন দিলেও আওয়ামিলীগ নেতারা ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছে কর্মীদের বিপদে রেখে।

৮। রিক্সাওয়ালা, ইসকন, আনসার সবই হলো হাসিনার জন্য, সফল হলো না।

৯। হাসিনাকে দেশে আনতে, যে ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করে গণধোলাই খেয়ে শ্রীঘরে গেলো হাজারো কর্মী সে কর্মী সহ নেতা ও নেতাদের আশ্রয় দাতা দেশ ভারতকেও উল্টা বাঁশ দেওয়া শুরু দিলো ট্রাম্প।

১০। এখন আবার কোন আক্কলে এই লীগের কর্মীরাই ভন্ড,পলাতক,বাটপার, লোভী, স্বার্থপর হাসিনার কথায় পুনরায় নির্লজ্জের মত ১ফেব্রুয়ারী হতে অবরোধের ডাক দেয়। আসলেই কি নির্লজ্জ না হলে আওয়ামিলীগ করা যায় না? হাসিনা ও তার দলের লোক গুলো বিশ্ব বেহায়া।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫

বাংলাদেশে পাত্র নৃগোষ্ঠী

 বাংলাদেশে পাত্র নৃগোষ্ঠী 

পাত্র নৃগোষ্ঠী 

পাত্র- পূর্ব ভারতের একটি প্রাচীন বাসিন্দা। এদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যায় পাওয়া যায়। তারা সংস্কৃতিগতভাবে এবং ঐতিহ্যগতভাবে সমৃদ্ধ।

পাত্র নৃগোষ্ঠী এবং সম্প্রদায় সম্পর্কে জানার জন্য তাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি সাধারণ জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ। পাত্ররা মূলত ভারতের আদি বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত এবং সারা দেশের পূর্ব দিকে বসবাস করে। পাত্রের প্রাথমিকভাবে দুটি ব্যবহার রয়েছে যা কৃষি ব্যবহার এবং হস্তশিল্প। এবং তাদের ভাষা এবং লোককাহিনী খুবই বৈচিত্র্যময়।

পাত্র নৃগোষ্ঠীর ইতিহাস:

পাত্র জাতিগোষ্ঠীর ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন এবং বৈচিত্র্যময়। এই জাতিগোষ্ঠীগুলো তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে প্রাচীন কাল থেকেই। এই ব্লগের এই অংশে, আমরা পাত্র বংশের সৃষ্টি ও সভ্যতা এবং আদি রাজবংশের পথের সমাধান করব।

উৎপত্তি এবং বিকাশ:

পাত্র জাতিগোষ্ঠীর উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। অধিকাংশ ইতিহাসবিদ মনে করেন যে এই জাতিগোষ্ঠীটি প্রাচীন ভারতের আদিবাসী ছিল। প্রধান কর্মসংস্থান হয়েছে কৃষি ও পশুসম্পদ খাতে। এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সমাজে সমানভাবে সমাদৃত ছিল। ছেলেরা তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানগুলো নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে সাজিয়ে ব্যাখ্যা করেছে।

কিছু সময়ে, ফোর্ড পাত্র লোকেরা বিভিন্ন গন্তব্যে চলে যায়। তাদের বিকাশের কারণ ছিল প্রচেষ্টা, নিজের উপর নির্ভরশীলতা, সেইসাথে সংকল্প। বর্তমান সমাজে তারা নিজেদেরকে বাস্তবায়িত করেছে একই সাথে তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বজায় রেখে।


পাত্র নৃগোষ্ঠীর প্রাচীন ঐতিহ্য:

পাত্রার প্রাচীন জাতিগোষ্ঠীর উনোস্টি বরং প্রচুর। তাদের মধ্যে পালন করা কিছু উৎসব ও আচার-অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত। এই জাতিগোষ্ঠীর এই কারিগররা শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প তৈরি করে।

তারাও ডায়েটিং এর আরও বৈচিত্র্যময় রূপ গ্রহণ করেছিল। তারা বেশিরভাগ শস্য এবং গাছপালা তাদের খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করত। তাদের পোশাক ছিল আফ্রিকান এবং আফ্রিকান কাপড় দিয়ে তৈরি।

পাত্রদের জীবনে পরিবার ও সন্তান যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল নাচ-গানও ছিল তাৎপর্যপূর্ণ দিক। বহু বছর আগে তারা ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যাকগ্রাউন্ড গায়ক এবং নৃত্যশিল্পী ছিলেন। এই কারণেই তাদের নাচ এবং তাদের সঙ্গীত একদিকে নির্দিষ্ট ছন্দ এবং অন্যদিকে ছন্দকে মূর্ত করেছিল।

সংস্কৃতি এবং জীবনধারা:

অনেকগুলি উপগোষ্ঠী থাকার কারণে, পাত্র জাতিগত গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়গুলির সংস্কৃতি এবং জীবনযাপনের পদ্ধতিগুলি খুব আলাদা। জীবনযাপনের জন্য তাদের দৈনন্দিন রুটিন, তারা কি খায়, তারা কেমন পোশাক পরে, তাদের বিশ্বাস এবং অনুশীলন ইত্যাদি নির্ভর করে তারা কোন ধরণের উপর। এই কারণেই তারা অনন্য কারণ মানুষ বিভিন্ন আকারে বিদ্যমান।

খাদ্য এবং পোশাক:

পাত্র জনগণের বুর সেবনের ধরন বেশ অনন্য। ভাত মাছ ও শাকসবজি তাদের খাদ্যের প্রধান উৎস। নিজের জমিতে সবজি চাষ করে বলে তিনি ঘুরে বেড়ান। তারা সেখানে অন্যান্য রান্নার তুলনায় মশলা ব্যবহার করে অনেক কম।

তারা এখন ভিন্নভাবে পরিধান করে, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান যুবক। পুরুষরা বেশিরভাগই লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পরিহিত। মহিলারা শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরতে পছন্দ করেন। জামাকাপড়ের রং ও নকশা খুবই সমৃদ্ধ।


ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান:

পাত্র হল একটি বান্টু ভাষী জাতিগোষ্ঠী যারা প্রধানত গ্রেট লেক অঞ্চলের আশেপাশে বসবাস করত এবং এইভাবে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসগুলি যে কোনোটির মতোই পুরানো। তারা প্রকৃতির পূজা করে। বংশগত দেব-দেবীদের বলিদান তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধরনের ধর্মীয় কার্যকলাপ।

তাদের আচার-অনুষ্ঠানও উল্লেখ করার মতো। বিয়েতে বিভিন্ন রীতি পালন করা হয়। প্রতিটি কার্যকলাপ বা কর্মক্ষমতা তাদের ধর্মের প্রতীক।

 

ভাষা ও সাহিত্য:

পাত্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের ভাষা ও সাহিত্য একটি বিচিত্র এবং বৈচিত্র্যময়। অনেক জাতিগোষ্ঠীর লোককাহিনী এবং গল্প মানুষের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রকাশ করে।

ভাষার বৈচিত্র্য:

ভাষাগত বৈচিত্র্য বিশেষ করে পাত্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে কারোর পরে নেই। তাদের ভাষায় অনেকগুলো উপভার্সন রয়েছে এবং সাবভার্সনের ব্যবহারও সাধারণ। 

পাত্র জনগোষ্ঠীর ভাষার নাম লালেং ঠার। এ ভাষার কোন বর্ণমালা নেই। এ ভাষার সাথে বাংলা বা অন্য কোন ভাষার কোন মিল নেই। এ ভাষা নিয়ে এখনো উল্লেখ করার মতো কোন গবেষণা হয়নি।[১]

পাত্র ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি পাত্র ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে পিএইডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর পিএইডির বিষয় হলো-বাংলাদেশের পাত্র সম্প্রদায়ের ভাষা ও সংস্কৃতি: একটি নৃভাষাবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ’। তিনি পাত্রদের নিয়ে ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় কয়েকটি প্রবন্ধও রচনা করেছেন।

এই আমরা ঘটছে তাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ.

উপভাষা: জাতিগোষ্ঠী একই অঞ্চলে কথিত উপভাষাগুলির উপর বিভক্ত ছিল।
শব্দভান্ডার: তাদের ভাষায় উচ্চ সংখ্যক শব্দ রয়েছে।
উচ্চারণ: শব্দের উচ্চারণের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পার্থক্য রয়েছে। লোককাহিনী এবং গল্প

জনগণের সাথে সম্পর্কিত লোককাহিনী এবং গল্পের একটি অবিশ্বাস্য পরিমাণ রয়েছে। যেমন এসব গল্প-কাহিনী এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে বলা হচ্ছে।

বীরত্বগাথা: বীরত্বপূর্ণ কর্মে বংশের বীরত্বপূর্ণ কর্মের বর্ণনা করা হচ্ছে।
প্রেমের গল্প: তাদের প্রেমের গল্প রয়েছে যা সেখানকার লোককাহিনীর অংশ।
ধর্মীয় গল্প: ধর্মীয় গল্পগুলি কেবল তাদের ধর্মের প্রতিকৃতি।

এই লোককাহিনী এবং গল্পগুলি তাদের আত্মপরিচয়ের অন্যতম মূল্যবান উপাদান।


অর্থনীতি এবং জীবিকা:

এটা লক্ষণীয় যে পাত্র জাতিগোষ্ঠীর অর্থনীতি এবং ভরণ-পোষণ খুবই বিস্তৃত। তাদের জীবনযাত্রার উৎস মূলত কৃষিকাজ, গবাদি পশু পালন ও মৃৎশিল্প। নিম্নে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

যখন এই পরিস্থিতি ক্রমাগতভাবে চলতে থাকে, তখন ঘটনাটিকে দীর্ঘস্থায়ী বলা হয়: কৃষি এবং পশুপালন।

অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে বিশেষ করে পাত্র জনগণের দ্বারা ফসল চাষ, তাই কৃষিতে আরও নির্ভরযোগ্যতা তৈরি করা যেতে পারে। তারা বিভিন্ন চাষ বাড়ায়। সিরিয়াল/সি: ধান, গম, ভুট্টা এবং ডাল। কৃষির পাশাপাশি তারা পশু পালনের সাথে জড়িত। গবাদি পশু পালন, গরু, ছাগল, ভেড়া এমনকি মুরগি পালনে তারা বিশেষভাবে প্রতিভাবান।

হস্তশিল্প ও বাণিজ্য:

এই সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের আরেকটি উৎস হল সব ধরনের শিল্প ও কারুশিল্পের উৎপাদন। যাই হোক না কেন, তারা বিভিন্ন হস্তশিল্প উৎপাদনের সাথে জড়িত। এখানকার প্রধান হস্তশিল্প হল কাঁটা, পাটের ব্যাগ ইত্যাদি, বাঁশের দ্রব্য ইত্যাদি। তারা স্থানীয় বাজারে তাদের হস্তশিল্প বাজারজাত করে। এর ফলে তাদের জীবিকা উপার্জনের পথ বাড়ে। তারা বাণিজ্যিক মহড়ায় জড়িত। তারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনেন।

 

ত্র নৃগোষ্ঠীর সমাজ ও পরিবার:

সমাজ এবং পরিবারের ভূমিকা জাতিগোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের একটি সমস্যা। এই সমাজের অধিকাংশ মানুষই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। তাদের সামাজিক বিশ্বাস এবং অনুশীলন, অধিকাংশ মানুষ হিসাবে, বেশ মূল্যবান. এখানে আমরা বিবাহ এবং পরিবার এবং সেইসাথে প্রথা এবং মান বর্ণনা করা হবে.

বিবাহ এবং পারিবারিক সম্পর্ক:

জাতিগোষ্ঠীর বিবাহের রীতি খুবই বর্ণিল। অধিকাংশেরই ধর্মের প্রতি সম্মানজনক আচরণ ও মনোভাব রয়েছে। বিয়ের সময় উভয় পরিবারের সকল সদস্যদের উপস্থিত থাকতে হবে। নবদম্পতিদের কিছু বিশেষ অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়।

বিয়ে হয়ে গেলে এবং বেশ কিছু রসায়ন ঘটলে পরিবারের সকল ব্যক্তি একে অপরের কাছাকাছি আসে। পরিবারের অন্য সদস্যরা নতুন দম্পতির পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রেমিকদের মতো তারা একে অপরের সাথে মিলেমিশে থাকে।

রীতিনীতি এবং সামাজিক নিয়ম:

তৎকালীন এবং এখন পাত্র জাতিগোষ্ঠীর সামাজিক কাঠামোর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রথাগত বা ঐতিহ্যবাহী অনুশীলনগুলি সম্পাদন করে। এই সমস্ত নিয়ম শৈশব থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়। বেশিরভাগ সময়, র‍্যাঙ্কিং বা বয়সের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র দ্বারা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা হয়।

  • শিক্ষার বৃদ্ধি এবং জ্ঞান বৃদ্ধির প্রতি উদ্বেগ দেখানো হয়।
    নারীর অধিকার সুরক্ষিত ও সম্মানিত।
    পরিবর্তে পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে সম্প্রীতি ও স্নেহ বজায় থাকে।

এর মধ্যে অনেক প্রথা এবং সামাজিক অনুশীলন যা তাদের মধ্যে প্রথাগত, এটি একটি মানুষ হিসাবে তাদের ঐতিহ্যের অংশ।


আধুনিক পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ:

জাতিগত এবং সম্প্রদায়ের পরিচয় আজকের বিশ্বে একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। এই বিশেষ সম্প্রদায়টি পরিস্থিতি পরিবর্তনের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জগুলির মতো কারণগুলির দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। আধুনিক শিক্ষার প্রসার, প্রযুক্তির বিকাশ এবং সমসাময়িক সমস্যার কারণে এই সম্প্রদায়ের জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে।

শিক্ষা ও প্রযুক্তি:

প্রযুক্তিগত উন্নত শিক্ষা পাত্রের মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছে। বেশিরভাগই আজ প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষায় যোগ দিচ্ছে। এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে প্রযুক্তির আপগ্রেডেশন কোনো না কোনোভাবে তাদের জীবনকে সহজ করেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা নতুন নতুন জ্ঞান শিখছে।

 

সমসাময়িক সমস্যা:

নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায় বিদ্যমান এবং কিছু সমস্যা অনুভব করে। তারা আধুনিক সমাজে তাদের প্রথা ও রীতিনীতি পালনে বাস্তব চ্যালেঞ্জ খুঁজে পাচ্ছে।

সংস্কৃতির ক্ষতি
পরিচয় সংকট
আর্থিক সমস্যা

তারা তাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। তাদের জন্য তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে।জাতিগত গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায় এমন কিছু যা সম্পর্কে জানা উচিত। এটাই আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এখন যেহেতু আমাদের কাছে সত্য আছে,কীভাবে সঠিক তথ্য সংস্কৃতি সংরক্ষণে সহায়তা করে। এইভাবে, পাত্রের সনাক্তকরণ এবং পরিবর্তন থেকে এর সুরক্ষাও প্রয়োজন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্য আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি।



Fact of questions:

প্রশ্ন: পাত্র জাতিসত্তা কি?

উ: উপজাতি একটি পুরানো উপজাতি, যারা পূর্ব ভারতের স্ট্যাটিক।


প্রশ্ন:পাত্র সম্প্রদায়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?

উ:সম্প্রদায়ের লোকেরা কৃষিকাজ, মাছ ধরার ক্ষেত্রে খুব ভাল এবং তারা সংস্কৃতিবানও।


প্রশ্ন:পাত্র জাতিগোষ্ঠী কারা?

উ:একটি জাতিগত গোষ্ঠী যার ইতিহাস পূর্ব ভারতের মতোই পুরনো।


প্রশ্ন:পাত্র সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব কোনটি?

উ:এই তত্ত্ব অনুসারে দোলযাত্রা ও দুর্গাপূজা এই যুগল উৎসব সম্প্রদায়ের আনন্দ উৎসব।


প্রশ্ন: পাত্র উপজাতি নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশের কোন জেলায় বাস করে?

উ:পাত্র জাতি হল বাংলাদেশের সিলেট জেলায় বসবাসকারী স্বল্প পরিচিত একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী।


ইসলামের সাথে রাজনীতির সম্পর্ক

 " ইসলামের সাথে রাজনীতির সম্পর্ক "

ইসলাম ও রাজনীতির সম্পর্ক 

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا ادْخُلُوْا فِی السِّلْمِ كَآفَّةً ۪ وَّ لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوٰتِ الشَّیْطٰنِ ؕ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের অনুসারী হয়ো না, কেননা সে তোমাদের সুস্পষ্ট দুশমন।(বাক্বারা-২০৮)।


اِنَّ الدِّیْنَ عِنْدَ اللّٰهِ الْاِسْلَامُ ۫ وَ مَا اخْتَلَفَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ اِلَّا مِن ۢ ْ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْیً ۢ ا بَیْنَهُمْ ؕ وَ مَنْ یَّكْفُرْ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ فَاِنَّ اللّٰهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ

ইসলাম আল্লাহ‌র নিকট একমাত্র দ্বীন–জীবন বিধান। যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল, তারা এ দ্বীন থেকে সরে গিয়ে যেসব বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, সেগুলো অবলম্বনের এছাড়া আর কোন কারণই ছিল না যে, প্রকৃত জ্ঞান এসে যাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পরের ওপর বাড়াবাড়ি করার জন্য এমনটি করেছে। আর যে কেউ আল্লাহ‌র হেদায়াতের আনুগত্য করতে অস্বীকার করে, তার কাছ থেকে হিসেব নিতে আল্লাহ‌র মোটেই দেরী হয় না।(সূরা আল-ইমরান-১৯)

قُلْنَا اهْبِطُوْا مِنْهَا جَمِیْعًا ۚ فَاِمَّا یَاْتِیَنَّكُمْ مِّنِّیْ هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَایَ فَلَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَ

আমরা বললাম, “তোমরা সবাই এখান থেকে নেমে যাও। এরপর যখন আমার পক্ষ থেকে কোন হিদায়াত তোমাদের কাছে পৌঁছুবে তখন যারা আমার সেই হিদায়াতের অনুসরণ করবে তাদের জন্য থাকবে না কোন ভয় দুঃখ বেদনা।(আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ৩৮)

وَ اِذَا سَاَلَكَ عِبَادِیْ عَنِّیْ فَاِنِّیْ قَرِیْبٌ ؕ اُجِیْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ اِذَا دَعَانِ ۙ فَلْیَسْتَجِیْبُوْا لِیْ وَ لْیُؤْمِنُوْا بِیْ لَعَلَّهُمْ یَرْشُدُوْنَ

আর হে নবী! আমার বান্দা যদি তোমার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তাহলে তাদেরকে বলে দাও, আমি তাদের কাছেই আছি। যে আমাকে ডাকে আমি তার ডাক শুনি এবং জবাব দেই, কাজেই তাদের আমার আহবানে সাড়া দেয়া এবং আমার ওপর ঈমান আনা উচিত একথা তুমি তাদের শুনিয়ে দাও, হয়তো সত্য-সরল পথের সন্ধান পাবে। (সূরা বাকারা-১৮৬।)

كِتٰبٌ اُنْزِلَ اِلَیْكَ فَلَا یَكُنْ فِیْ صَدْرِكَ حَرَجٌ مِّنْهُ لِتُنْذِرَ بِهٖ وَ ذِكْرٰى لِلْمُؤْمِنِیْنَ

এটি তোমার প্রতি নাযিল করা একটি কিতাব।  কাজেই তোমার মনে যেন এর সম্পর্কে কোন সংকোচ না থাকে। এটি নাযিল করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এর মাধ্যমে তুমি (অস্বীকারকারীদেরকে) ভয় দেখাবে এবং মুমিনদের জন্য এটি হবে একটি স্মারক। (সূরা আল-আরাফ-৩)।

حُرِّمَتْ عَلَیْكُمُ الْمَیْتَةُ وَ الدَّمُ وَ لَحْمُ الْخِنْزِیْرِ وَ مَاۤ اُهِلَّ لِغَیْرِ اللّٰهِ بِهٖ وَ الْمُنْخَنِقَةُ وَ الْمَوْقُوْذَةُ وَ الْمُتَرَدِّیَةُ وَ النَّطِیْحَةُ وَ مَاۤ اَكَلَ السَّبُعُ اِلَّا مَا ذَكَّیْتُمْ ۫ وَ مَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَ اَنْ تَسْتَقْسِمُوْا بِالْاَزْلَامِ ؕ ذٰلِكُمْ فِسْقٌ ؕ اَلْیَوْمَ یَئِسَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا مِنْ دِیْنِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَ اخْشَوْنِ ؕ اَلْیَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِیْنَكُمْ وَ اَتْمَمْتُ عَلَیْكُمْ نِعْمَتِیْ وَ رَضِیْتُ لَكُمُ الْاِسْلَامَ دِیْنًا ؕ فَمَنِ اضْطُرَّ فِیْ مَخْمَصَةٍ غَیْرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثْمٍ ۙ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ

তোমাদের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে মৃতজীব, রক্ত, শূকরের গোশ্ত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে যবেহকৃত জীব এবং কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে, আহত হয়ে, ওপর থেকে পড়ে গিয়ে বা ধাক্কা খেয়ে মরা অথবা কোন হিংস্র প্রাণী চিরে ফেলেছে এমন জীব, তোমরা জীবিত পেয়ে যাকে যবেহ করে দিয়েছো সেটি ছাড়া। আর যা কোন বেদীমূলে যবেহ করা হয়েছে (তাও তোমাদের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। ) এছাড়াও শর নিক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য নির্ণয় করাও তোমাদের জন্য জায়েয নয়। এগুলো ফাসেকীর কাজ। আজ তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে কাফেররা পুরোপুরি নিরাশ হয়ে পড়েছে। কাজেই তোমরা তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় করো। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছি, আমার নিয়ামত তোমাদের প্রতি সম্পূর্ণ করেছি এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছি (কাজেই তোমাদের ওপর হালাল ও হারামের যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা মেনে চলো। ) তবে যদি কোন ব্যক্তি ক্ষুধার জ্বালায় বাধ্য হয়ে ঐগুলোর মধ্য থেকে কোন একটি জিনিস খেয়ে নেয় গুনাহের প্রতি কোন আকর্ষণ ছাড়াই, তাহলে নিঃসন্দেহে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী।(সূরা মায়েদা-৩)।

وَ قَاتِلُوْا فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ الَّذِیْنَ یُقَاتِلُوْنَكُمْ وَ لَا تَعْتَدُوْا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ الْمُعْتَدِیْنَ

আর তোমরা আল্লাহর পথে তাদের সাথে যুদ্ধ করো, যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, কিন্তু বাড়াবাড়ি করো না। কারণ যারা বাড়াবাড়ি করে আল্লাহ‌ তাদের পছন্দ করেন না।(সূরা আল-বাকারা-১৯০)

وَ قٰتِلُوْهُمْ حَتّٰى لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ وَّ یَكُوْنَ الدِّیْنُ لِلّٰهِ ؕ فَاِنِ انْتَهَوْا فَلَا عُدْوَانَ اِلَّا عَلَى الظّٰلِمِیْنَ

তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো যতক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয়ে যায় এবং দ্বীন একমাত্র আল্লাহ‌র জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয় তাহলে জেনে রাখো যালেমদের ছাড়া আর কারোর ওপর হস্তক্ষেপ করা বৈধ নয়।(সূরা আল-বাকারা ১৯৩)।

وَ لَئِنْ اَتَیْتَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ بِكُلِّ اٰیَةٍ مَّا تَبِعُوْا قِبْلَتَكَ ۚ وَ مَاۤ اَنْتَ بِتَابِعٍ قِبْلَتَهُمْ ۚ وَ مَا بَعْضُهُمْ بِتَابِعٍ قِبْلَةَ بَعْضٍ ؕ وَ لَئِنِ اتَّبَعْتَ اَهْوَآءَهُمْ مِّن ۢ ْ بَعْدِ مَا جَآءَكَ مِنَ الْعِلْمِ ۙ اِنَّكَ اِذًا لَّمِنَ الظّٰلِمِیْنَۘ 

তুমি এই আহ্‌লি কিতাবদের কাছে যে কোন নিশানীই আনো না কেন, এরা তোমার কিব্‌লার অনুসারী কখনোই হবে না। তোমাদের পক্ষেও তাদের কিব্‌লার অনুগামী হওয়া সম্ভব নয় আর এদের কোন একটি দলও অন্য দলের কিব্‌লার অনুসারী হতে প্রস্তুত নয়। তোমাদের কাছে যে জ্ঞান এসেছে তা লাভ করার পর যদি তোমরা তাদের ইচ্ছা ও বাসনার অনুসারী হও, তাহলে নিঃসন্দেহে তোমরা জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(সূরা আল-বাকারা-১৪৫)।

وَ قَاتِلُوْهُمْ حَتّٰى لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ وَّ یَكُوْنَ الدِّیْنُ كُلُّهٗ لِلّٰهِ ۚ فَاِنِ انْتَهَوْا فَاِنَّ اللّٰهَ بِمَا یَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ

হে ঈমানদারগণ! এ কাফেরদের সাথে এমন যুদ্ধ করো, যেন গোমরাহী ও বিশৃংখলা নির্মূল হয়ে যায় এবং দ্বীন পুরোপুরি আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়।(সূরা আনফাল-৩৯)।

وَ اعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللّٰهِ جَمِیْعًا وَّ لَا تَفَرَّقُوْا ۪ وَ اذْكُرُوْا نِعْمَتَ اللّٰهِ عَلَیْكُمْ اِذْ كُنْتُمْ اَعْدَآءً فَاَلَّفَ بَیْنَ قُلُوْبِكُمْ فَاَصْبَحْتُمْ بِنِعْمَتِهٖۤ اِخْوَانًا ۚ وَ كُنْتُمْ عَلٰى شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَاَنْقَذَكُمْ مِّنْهَا ؕ كَذٰلِكَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَكُمْ اٰیٰتِهٖ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَ

তোমরা সবাই মিলে আল্লাহ‌র রুজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি করো না। আল্লাহ‌ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানীতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ‌ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ‌ তাঁর নির্দশনসমূহ তোমাদের সামনে সুস্পষ্ট করে তুলেন। হয়তো এই নিদর্শনগুলোর মাধ্যমে তোমরা নিজেদের কল্যাণের সোজা সরল পথ দেখতে পাবে।(সূরা আল-ইমরান-১০৩)।
اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الَّذِیْنَ یُقَاتِلُوْنَ فِیْ سَبِیْلِهٖ صَفًّا كَاَنَّهُمْ بُنْیَانٌ مَّرْصُوْصٌ

আল্লাহ সেই সব লোকদের ভালবাসেন যারা তাঁর পথে এমনভাবে কাতারবন্দী হয়ে লড়াই করে যেন তারা সীসা গলিয়ে ঢালাই করা এক মজবুত দেয়াল।
(সূরা সফ :৪)।

وَ كَیْفَ تَكْفُرُوْنَ وَ اَنْتُمْ تُتْلٰى عَلَیْكُمْ اٰیٰتُ اللّٰهِ وَ فِیْكُمْ رَسُوْلُهٗ ؕ وَ مَنْ یَّعْتَصِمْ بِاللّٰهِ فَقَدْ هُدِیَ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ۠

তোমাদের জন্যে কুফরীর দিকে ফিরে যাবার এখন আর কোন্‌ সুযোগটি আছে, যখন তোমাদের শুনানো হচ্ছে আল্লাহ‌র আয়াত এবং তোমাদের মধ্যে রয়েছে আল্লাহ‌র রসূল? যে ব্যক্তি আল্লাহ‌কে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে, সে অবশ্যই সত্য সঠিক পথ লাভ করবে।(সূরা আল-ইমরান-১০১)।

وَ اِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُكُمْ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّ اَنَا رَبُّكُمْ فَاتَّقُوْنِ

আর তোমাদের এ উম্মত হচ্ছে একই উম্মত এবং আমি তোমাদের রব, কাজেই আমাকেই তোমরা ভয় করো। (সূরা মুমিনুল-৫২)।

وَ لْتَكُنْ مِّنْكُمْ اُمَّةٌ یَّدْعُوْنَ اِلَى الْخَیْرِ وَ یَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَ یَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ ؕ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ

তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক অবশ্যই থাকতে হবে, যারা নেকী ও সৎকর্মশীলতার দিকে আহবান জানাবে, ভালো কাজের নির্দেশ দেবে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে। যারা এ দায়িত্ব পালন করবে তারাই সফলকাম হবে।(সূরা আল ইমরান-১০৪)।

وَ ذَرِ الَّذِیْنَ اتَّخَذُوْا دِیْنَهُمْ لَعِبًا وَّ لَهْوًا وَّ غَرَّتْهُمُ الْحَیٰوةُ الدُّنْیَا وَ ذَكِّرْ بِهٖۤ اَنْ تُبْسَلَ نَفْسٌ ۢ بِمَا كَسَبَتْ ۖ ۗ لَیْسَ لَهَا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَلِیٌّ وَّ لَا شَفِیْعٌ ۚ وَ اِنْ تَعْدِلْ كُلَّ عَدْلٍ لَّا یُؤْخَذْ مِنْهَا ؕ اُولٰٓئِكَ الَّذِیْنَ اُبْسِلُوْا بِمَا كَسَبُوْا ۚ لَهُمْ شَرَابٌ مِّنْ حَمِیْمٍ وَّ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ۢ بِمَا كَانُوْا یَكْفُرُوْنَ۠

তাদেরকে পরিত্যাগ করুন যারা নিজেদের ধর্মকে ক্রীড়া ও কৌতুকরূপে গ্রহন করেছে এবং পার্থিব জীবনে যারা যাদেরকে ধোকায় ফেলে রেখেছে। কোরআন দ্বারা তাদেরকে উপদেশ দিন যাতে কেউ স্বীয় কর্মে এমনভাবে গ্রেফতার না হয়ে যায় যে আল্লাহ ব্যাতিত আর কোন সাহায্যকারী ও সুপারিশকারী নেই এবং যদি তারা জগতের বিনিময় ও প্রদান করে,তবু তাদের কাছ থেকে তা গ্রহন করা হবে না। একাই স্বীয় কর্মে জড়িত হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য উত্তপ্ত পানি এবং যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে কুফরের কারণে।(সূরা আনআম-৭০)।

اُولٰٓئِكَ الَّذِیْنَ اشْتَرَوُا الضَّلٰلَةَ بِالْهُدٰى وَ الْعَذَابَ بِالْمَغْفِرَةِ ۚ فَمَاۤ اَصْبَرَهُمْ عَلَى النَّارِ

এরাই হিদায়াতের বিনিময়ে ভ্রষ্টতা কিনে নিয়েছে এবং ক্ষমার বিনিময়ে কিনেছে শাস্তি। এদের কী অদ্ভুত সাহস দেখো। জাহান্নামের আযাব বরদাস্ত করার জন্য এরা প্রস্তুত হয়ে গেছে।(সূরা আল-বাকারা ১৭৫)

یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ كُلُوْا مِمَّا فِی الْاَرْضِ حَلٰلًا طَیِّبًا ۖ ٘ وَّ لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوٰتِ الشَّیْطٰنِ ؕ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ

হে মানব জাতি! পৃথিবীতে যে সমস্ত হালাল ও পাক জিনিস রয়েছে সেগুলো খাও এবং শয়তানের দেখানো পথে চলো না। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।(সূরা আল-বাকারা ১৬৮)।

وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا بِاللّٰهِ وَ رُسُلِهٖ وَ لَمْ یُفَرِّقُوْا بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْهُمْ اُولٰٓئِكَ سَوْفَ یُؤْتِیْهِمْ اُجُوْرَهُمْ ؕ وَ كَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا۠

আর যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর তাঁর রাসূলের উপর এবং তাদের কারও প্রতি ঈমান আনতে গিয়ে কাউকে বাদ দেয়নি,শীগ্রই তাদেরকে প্রাপ্য সওয়াব দান করা হবে। বস্তুত; আল্লাহ মাশীল দয়ালু।(সূরা আন নিসা-১৫২)।

ذٰلِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ نَزَّلَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ ؕ وَ اِنَّ الَّذِیْنَ اخْتَلَفُوْا فِی الْكِتٰبِ لَفِیْ شِقَاقٍۭ بَعِیْدٍ۠

এসব কিছুই ঘটার কারণ হচ্ছে এই যে, আল্লাহ‌ তো যথার্থ সত্য অনুযায়ী কিতাব নাযিল করেছিলেন কিন্তু যারা কিতাবে মতবিরোধ উদ্ভাবন করেছে তারা নিজেদের বিরোধের ক্ষেত্রে সত্য থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছে।( সূরা আল-বাকারা-১৭৬)।


৩  আলে-ইমরান, আয়াত: ৩

نَزَّلَ عَلَیْكَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیْهِ وَ اَنْزَلَ التَّوْرٰىةَ وَ الْاِنْجِیْلَۙ 

مِنْ قَبْلُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَ اَنْزَلَ الْفُرْقَانَ ؕ ۬ اِنَّ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا بِاٰیٰتِ اللّٰهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِیْدٌ ؕ وَ اللّٰهُ عَزِیْزٌ ذُو انْتِقَامٍ

তিনি তোমার ওপর এই কিতাব নাযিল করেছেন, যা সত্যের বাণী বহন করে এনেছে এবং আগের কিতাবগুলোর সত্যতা প্রমাণ করছে। আর তিনি তাওরাত ও ইঞ্জিল নাযিল করেছিলেন
এর আগে মানুষের হিদায়াতের জন্য । আর তিনি মানদণ্ড নাযিল করেছেন (যা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করে দেয়)। এখন যারা আল্লাহ‌র বিধানসমূহ মেনে নিতে অস্বীকার করবে, তারা অবশ্যই কঠিন শাস্তি পাবে। আল্লাহ‌ অসীম ক্ষমতার অধিকারী এবং তিনি অন্যায়ের শাস্তি দিয়ে থাকেন।
+সূরা আল-ইমরান:৩-৪)।

وَ قَدْ نَزَّلَ عَلَیْكُمْ فِی الْكِتٰبِ اَنْ اِذَا سَمِعْتُمْ اٰیٰتِ اللّٰهِ یُكْفَرُ بِهَا وَ یُسْتَهْزَاُ بِهَا فَلَا تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتّٰى یَخُوْضُوْا فِیْ حَدِیْثٍ غَیْرِهٖۤ ۖ ٘ اِنَّكُمْ اِذًا مِّثْلُهُمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ جَامِعُ الْمُنٰفِقِیْنَ وَ الْكٰفِرِیْنَ فِیْ جَهَنَّمَ جَمِیْعَاۙ 

আল্লাহ এই কিতাবে তোমাদের পূর্বেই হুকুম দিয়েছেন, যেখানে তোমরা আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধে কুফরী কথা বলতে ও তার প্রতি বিদ্রূপবাণ নিক্ষেপ করতে শুনবে সেখানে বসবে না, যতক্ষন না লোকেরা অন্য প্রসঙ্গে ফিরে আসে। অন্যথায় তোমরাও তাদের মতো হবে। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ‌ মুনাফিক ও কাফেরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় একত্র করবেন। (সূরা আন নিসা-১,৪০)।


৩  আলে-ইমরান, আয়াত: ৩১

قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللّٰهَ فَاتَّبِعُوْنِیْ یُحْبِبْكُمُ اللّٰهُ وَ یَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ

قُلْ اَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ الرَّسُوْلَ ۚ فَاِنْ تَوَلَّوْا فَاِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ الْكٰفِرِیْنَ



হে নবী! লোকদের বলে দাওঃ “যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহ‌কে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ‌ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল ও করুণাময়।”
তাদেরকে বলোঃ আল্লাহ‌ ও রসূলের আনুগত্য করো। তারপর যদি তারা তোমাদের এ দাওয়াত গ্রহণ না করে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ‌ এমন লোকদের ভালোবাসবেন না, যারা তাঁর ও তাঁর রসূলদের আনুগত্য করতে অস্বীকার করে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, বলুন,যদি তোমরা আ্ল্লাহকে ভালবাস,তাহলে আমাকে অনুসরন কর যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন মাকারী দয়ালু। (আল-ইমরান-৩১-৩২)

وَ اَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَۚ 

-আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের,যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়।) সূরা আল-ইমরান ১৩২)

৪  আন-নিসা, আয়াত: ৮০

مَنْ یُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ اَطَاعَ اللّٰهَ ۚ وَ مَنْ تَوَلّٰى فَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ عَلَیْهِمْ حَفِیْظًاؕ 

যে ব্যক্তি রসূলের আনুগত্য করলো সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করলো। আর যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিলো, যাই হোক, তাদের ওপর তো আমি তোমাকে পাহারাদার বানিয়ে পাঠাইনি।( সূরা আন নিসা ৮০)।

১১  হুদ, আয়াত: ১৮

وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰى عَلَى اللّٰهِ كَذِبًا ؕ اُولٰٓئِكَ یُعْرَضُوْنَ عَلٰى رَبِّهِمْ وَ یَقُوْلُ الْاَشْهَادُ هٰۤؤُلَآءِ الَّذِیْنَ كَذَبُوْا عَلٰى رَبِّهِمْ ۚ اَلَا لَعْنَةُ اللّٰهِ عَلَى الظّٰلِمِیْنَۙ 

الَّذِیْنَ یَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ یَبْغُوْنَهَا عِوَجًا ؕ وَ هُمْ بِالْاٰخِرَةِ هُمْ كٰفِرُوْنَ

আর যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করে তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হবে?  এ ধরনের লোকদের তাদের রবের সামনে উপস্থিত করা হবে এবং সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবে, এরাই নিজেদের রবের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করেছিল। শোনো, জালেমদের ওপর আল্লাহর লানত।
এমন জালেমদের ওপর যারা আল্লাহর পথে যেতে মানুষকে বাধা দেয়, সেই পথকে বাঁকা করে দিতে চায়  এবং আখেরাত অস্বীকার করে।(সূরা হুদ:১৮-১৯)

২  আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ৮৫

ثُمَّ اَنْتُمْ هٰۤؤُلَآءِ تَقْتُلُوْنَ اَنْفُسَكُمْ وَ تُخْرِجُوْنَ فَرِیْقًا مِّنْكُمْ مِّنْ دِیَارِهِمْ ٘ تَظٰهَرُوْنَ عَلَیْهِمْ بِالْاِثْمِ وَ الْعُدْوَانِ ؕ وَ اِنْ یَّاْتُوْكُمْ اُسٰرٰى تُفٰدُوْهُمْ وَ هُوَ مُحَرَّمٌ عَلَیْكُمْ اِخْرَاجُهُمْ ؕ اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِ ؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ

কিন্তু আজ সেই তোমরাই নিজেদের ভাই-বেরাদারদেরকে হত্যা করছো, নিজেদের গোত্রীয় সম্পর্কযুক্ত কিছু লোককে বাস্তভিটা ছাড়া করছো, যুলুম ও অত্যধিক বাড়াবাড়ি সহকারে তাদের বিরুদ্ধে দল গঠন করছো এবং তারা যুদ্ধবন্দী হয়ে তোমাদের কাছে এলে তাদের মুক্তির জন্য তোমরা মুক্তিপণ আদায় করছো। অথচ তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে উচ্ছেদ করাই তোমাদের জন্য হারাম ছিল। তাহলে কি তোমরা কিতাবের একটি অংশের ওপর ঈমান আনছো এবং অন্য অংশের সাথে কুফরী করছো? তারপর তোমাদের মধ্য থেকে যারাই এমনটি করবে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কি হতে পারে যে, দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত হবে এবং আখেরাতে তাদেরকে কঠিনতম শাস্তির দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে? তোমাদের কর্মকান্ড থেকে আল্লাহ‌ বেখবর নন।( আল-বাকারা-৮৫)।


اُولٰٓئِكَ هُمُ الْكٰفِرُوْنَ حَقًّا ۚ وَ اَعْتَدْنَا لِلْكٰفِرِیْنَ عَذَابًا مُّهِیْنًا

তারা সবাই আসলে কট্টর কাফের। আর এহেন কাফেরদের জন্য আমি এমন শাস্তি তৈরী করে রেখেছি, যা তাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবে।( আন নিসা-১৫১)।

وَ لَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَ تَكْتُمُوا الْحَقَّ وَ اَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ

মিথ্যার রঙে রাঙিয়ে সত্যকে সন্দেহযুক্ত করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না।(আল-বাকারা-৪২)।

وَ مَنْ یَّبْتَغِ غَیْرَ الْاِسْلَامِ دِیْنًا فَلَنْ یُّقْبَلَ مِنْهُ ۚ وَ هُوَ فِی الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ

এ আনুগত্য (ইসলাম) ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায় তার সে পদ্ধতি কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ব্যর্থ, আশাহত ও বঞ্চিত।(আল ইমরান-৮৫)।

যারা আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করে না তারা ফাসেক, জালেম ও কাফের। (সূরা মায়েদা)।

ব্যাখ্যা তাফসির সহ পরে করা হবে ইনশাআল্লাহ। 

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫

যাদের বুঝাতে যাওয়া বোকামী

 "যাদের বুঝাতে যাওয়া বোকামী"

শিখাতে যাওয়া আর গাধা পিটানো সমান


১। যারা কোন রাজনৈতিক দলের অন্ধ কর্মী।


 ২।কোনো পীরের মূরীদ।


৩। যারা বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে মানে বিজ্ঞান শিখতে রাজি না৷


৪। যারা যারা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইউনানী, হোমিপ্যাথি বৈদিক, গাছের ছাল বাকলের রসের চিকিৎসা এবং এলোপ্যাথিতে এক সাথে বিশ্বাসী নয়৷


৫। যারা জ্বেনা বন্ধের নামে বাল্য বিয়ে দারিদ্র

বিয়ের উস্কানি দেয়, অথচ মানব জাতিকে যাকাত দিয়ে কিংবা সাহায্য দিয়ে স্বনির্ভর করতে রাজি নয়।


৬।যারা সরলমনা মানুষ বিশ্বাসী সুশীল,

অতি সূফী,অতি নৈতিক, কোনো ঝুট ঝামেলায় যেতে চায় না। কারো ভালোও করে না খারাপও করে না।


৭। যারা ইতিহাস জানেনা কিংবা ইতিহাস জানলেও নিজের বিশ্বাসে অনড় থাকে এমন ঘাউড়া টাইপের লোক।


৮। যারা অতি অল্পেতুষ্ট, সূফী,ধুতি রক্ষা তত্বে বিশ্বাসী নয়! কোনো মতে চলতে পারলেই খুশি, সমাজের ধার ধারে না।


৯।যারা আলীগড়ি পন্থায় বিশ্বাসী নয়,অর্থাদ তারা নিজ ধর্মের সহজ কাজ গুলো করতে চায়, কিন্তু সমাজ বিপ্লবের পক্ষে নয়। তারা শর্টকাট পথে স্রষ্টাকে পেতে চায়।


১০। এমন সব ধার্মিক যারা গভীর রাতে জায়নামাজে আল্লাহকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল কিন্তু নিজের ঘরের পাশে জ্বেনা, সুদ,ঘুষ ইত্যাদি চলমান, এগুলোতে বাঁধা দুতে রাজি নয়।


১২। যারা সূরা আনফালের ৬৭,নিসার ৫নং আয়াত

না মেনে অতি ক্ষমাশীল হয়, বার বার বাঁশ খেয়েও অপরাধীকে ক্ষমা করে আরো অপরাধের রাস্তা খুলে দেয়।


(কপি কৃত ও আংশিক সংযোজিত, মূল লেখক মোঃ নাজমূল হুদা মোজাদ্দেদী)।

বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রায় গোণ্ডি উপজাতি

 "বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রায় গোণ্ডি উপজাতি"

গোন্ডি নৃগোষ্ঠী 



গোণ্ডি (Gōndi) গোঁড় অথবা গোণ্ড জাতি একটি ভারতীয় আদিবাসী জাতি,বাংলাদেশেও তাদের অন্বস্থান ছিলো, যারা দ্রাবিড় ভাষায় কথা বলে। এই জাতির মানুষ মধ্যপ্রদেশ, পূর্ব মহারাষ্ট্র (বিদর্ভ) ছত্তিসগড়উত্তরপ্রদেশতেলেঙ্গানাঅন্ধ্রপ্রদেশবিহার পশ্চিম ওড়িশয়া, বাললাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা প্রভৃতি এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে।

গোণ্ডদের রাজ গোণ্ডও বলা হয়ে থাকে। ১৯৫০-এর দশকে শব্দটির বহুলভাবে ব্যবহৃত হলেও, বর্তমানে এর ব্যবহার হয় না বললেই চলে, এর কারণ সম্ভবত গোণ্ড রাজাদের রাজনৈতিক ক্ষমতার বিলোপ।

গোণ্ডি ভাষা দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অংশ এবং তেলুগু ভাষার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। গোণ্ডি জাতির প্রায় অর্ধেক লোক গোণ্ডি ভাষায় কথা বলে এবং বাকিরা হিন্দিমারাঠি সহ অন্যান্য ইন্দো-আর্য ভাষায় কথা বলে।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারি অনুযায়ী, তাদের জনসংখ্যা ৫.০১ মিলিয়ন। ১৯৯১-এর আদমশুমারিতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৯.৩ মিলিয়ন হয় এবং ২০০১ আদমশুমারিতে প্রয় ১১ মিলিয়ন হয়ে যায়। গত কয়েক দশক ধরে তারা ভারতের মধ্যাঞ্চলের নকশাল–মাওবাদী বিদ্রোহের সাক্ষী। নক্সাল বিদ্রোহীদে বিরুদ্ধে লড়তে গোণ্ডি জাতির লোকেরা, ছত্তিসগড় সরকারের নির্দেশে সালওয়া জুড়ুম নামে একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে।


ইতিহাসঃ

ইতিহাসবিদগণ ধারণা করেন যে, গোণ্ড জাতির রাজাগণ ১৩ম শতক থেকে ১৯শ শতকের মাঝামাঝি সময় গণ্ডোয়ানা নামক অঞ্চলটি শাসন করতেন; যা বর্তমানে পূর্ব মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও পশ্চিম ওড়িশার অন্তর্গত। মুসলিম লেখকগণ ১৪ম শতকরের পরবর্তী সময়ে গোণ্ড রাজত্বের উত্থানে বর্ণনা দিয়েছেন।

গোণ্ডরা ১৬ম শতক ও ১৮ম শতকের মাঝামাঝি সময়ে মধ্য ভারতের চারটি রাজ্যে (গার্হা রাজ্য, দেওগড়, চন্দ, ও খের্লা রাজ্য) রাজত্ব করেন। সেসময় তারা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দুর্গ, প্রাসাদ, হ্রদ, ও মন্দির নির্মাণ করেন। গণ্ডোয়ানা রাজ্য ১৬ম শতাব্দীর শেষার্ধ সময় পর্যন্ত ঠিকে ছিল। ১৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে মারাঠাগণ কর্তৃক মুঘলরা পরাস্ত হলে মালবা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ গোণ্ডরা ফিরে পায়। ১৭৪০ খ্রিষ্টাব্দে মারাঠাগণ গণ্ডোয়ানা দখল করে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করে। মারাঠাগণ গোণ্ড রাজাদের উৎখাত করে এবং তাদের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নেয়, যদিও কিছু গোণ্ড জমিদারি সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত ছিল।


বিজ্ঞান ও ধর্মঃ

বহু জ্যোতির্বিদ্যাগত ধারণা সম্পর্কে প্রাচীন গোণ্ডরা অবহিত ছিলেন।[৯] সূর্য, চাঁদ, নক্ষত্রপুঞ্জ ও ছায়াপথের জন্য গোণ্ডদের নিজস্ব স্থানীয় নাম ছিল। এই ধারণার অধিকাংশই ছিল তাদের সময়-পালন এবং পঞ্জিকাগত কার্যকলাপ ভিত্তিক। গোণ্ড জাতি ছাড়াও, লম্বাণি ও কোলাম জাতির লোকেরাও জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান রাখত।

তাদের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মৃত্যুকে তারা এক প্রকার রাগ হিসেবে বর্ণনা করে, কারণ তারা বিশ্বাস করে যে এটি জাদুকর ভূতদের দ্বারা সৃষ্ট হয়। তাদের ধর্ম ছিল মূলত গোষ্ঠী ও গ্রাম-দেবতার উপাসনা, সেইসাথে পূর্বপুরুষগণের উপাসনা করা।


গোণ্ডিদের বর্গীকরণঃ

তারা অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত।

উত্তরপ্রদেশ সরকার গোণ্ডি জাতিকে তফসিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করে কিন্তু ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ তারা উত্তরপ্রদেশে তাফসিলি জনগোষ্ঠী হিসেবে নিবন্ধিত ছিল।২০১৭ সালের হিসাবে, এই উপজাতীয় পদটি কেবল নির্দিষ্ট জেলাতেই প্রযোজ্য, সম্পূর্ণ রাজ্যে নয়।২০১১-এর জনগণনায় উত্তরপ্রদেশে তফসিলি উপজাতি ভুক্ত গোণ্ডদের সংখ্যা ২১,৯৯২ দর্শানো হয়।



বীরের জাতি সাঁওতালদের জীবন

 "বাংলাদেশের বীরের জাতি সাঁওতাল নৃগোষ্ঠীর অজানা ইতিহাস  "

সাঁওতালদের জীবন 


সাঁওতাল হলো দক্ষিণ এশিয়ার একটি অস্ট্রোএশিয়াটিক ভাষী জাতিগোষ্ঠী । সাঁওতালরা জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বৃহত্তম উপজাতি এবং তাদের উপস্থিতি আসামত্রিপুরাবিহার ও ওড়িশা রাজ্যেও রয়েছে। তারা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগ ও রংপুর বিভাগের বৃহত্তম জাতিগত সংখ্যালঘু। নেপালে তাদের বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে। সাঁওতালরা সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে, এটি অস্ট্রো-এশীয় পরিবারের তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা।

স্থানীয় উৎপত্তিঃ
সাঁওতাল সম্ভবত একটি বহিরাগত শব্দ থেকে উদ্ভূত। শব্দটি পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর অঞ্চলের পূর্ববর্তী সিলদায় সাওন্টের বাসিন্দাদের বোঝায় ।সংস্কৃত শব্দ সামন্ত বা বা বাংলা সাঁওত মানে সমতল ভূমি।তাদের জাতি নাম হর হোপন ("মানবজাতির সন্তান")।
সাওতাল



নৃতাত্ত্বিক সূত্রঃ
ভাষা এবং নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যে সাঁওতালরা বাংলাদেশের অন্য অনেক নৃগোষ্ঠীর মত মঙ্গোলীয় গোত্রের নয়। এরা সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে যে ভাষাটি অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত। এদের মধ্যম গড়নের আকৃতির শরীরত্বকের গাঢ় রঙ, চ্যাপ্টা নাক, পুরু ঠোঁট এবং কোঁকড়ানো চুল তাদের অস্ট্রেশীয় নৃতাত্ত্বিক উৎস নির্দেশ করে যে গোষ্ঠির মানুষ ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিল দ্রাবিড়দেরও আগে অস্ট্রেলিয়া এবং সন্নিহিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপমালা থেকে। দেহ কাঠামোর বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে সাঁওতালদেরকে বিশুদ্ধ প্রাক-দ্রাবিড়ীয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধি বলে মনে করা হয়। তবে অস্ট্রেলীয় কৌমগুলোর সাথে সাঁওতালদের বেশ মিল লক্ষ করা যায় বলে তাদেরকে আদি অস্ট্রেলীয় বলা হয়। ধারণা করা হয় সুঁতার (Soontar) কথাটি থেকে সাঁওতাল শব্দের উদ্ভব।

সর্দার কানু



ইতিহাস:
উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নথির অভাবের কারণে, সাঁওতালদের আদি জন্মভূমি নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। তবে ভাষাবিদ পল সিডওয়েলের মতে , অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষাভাষীরা সম্ভবত প্রায় ৪,০০০-৩,৫০০ বছর আগে ইন্দোচীন থেকে ওড়িশার উপকূলে এসেছিলেন ।অস্ট্রোএশিয়াটিক ভাষাভাষীরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় ভারতীয় জনসংখ্যার সাথে ব্যাপকভাবে মিশে যায়।ভারতে আসার পর, মুন্ডা জনগণ ব্যাপকভাবে দ্রাবিড় উপজাতি গোষ্ঠীর সাথে মিশে যায়।

পরিবারঃ

সাঁওতাল সমাজ পিতৃতান্ত্রিক। সম্পত্তিতে পুত্রদের অধিকার সমান, কিন্তু মেয়েদের কোন অধিকার নেই। তবে পিতা ইচ্ছা করলে মেয়েকে কিছু দিয়ে যেতে পারেন। তবে সম্পত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে পিতা প্রত্যেক মেয়েকে একটি করে গাভী প্রদান করে। পুত্রহীন ব্যক্তির যাবতীয় সম্পত্তির মালিকানা তার সহোদর ভাইয়েরা পেয়ে থাকে।

গোত্রঃ

সাঁওতালরা বিশ্বাস করে যে, আদি মানব ও মানবী পিলচু হাড়াম ও পিলচু বুডহির সাত জোড়া সন্তান থেকেই তাদের উদ্ভব। এজন্যই সাঁওতালরা সাতটি গোত্রে বিভক্ত। সাঁওতালি ভাষায় এ গোত্র গুলো ‘পারিস‘ নামে অভিহিত । গোত্র (পারিস) গুলো হলো-

হাঁসদাসরেনটুডুকিসকুমুর্মুমাণ্ডিবাস্কেবেসরাহেম্বরমপাউরিয়াচঁড়ে ও বেদেয়া

প্রথমে সাতটি গোত্র ও পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে আরও পাঁচটি গোত্রের উদ্ভব ঘটে মোট বারটি গোত্র হয় । সাঁওতালদের মধ্যে টোটেম বিশ্বাস প্রচলিত আছে। প্রতিটি গোত্র তাদের পূর্বপুরুষ কিংবা গাছপালা, জীবজন্তু ও পশুপাখী ইত্যাদি নামে পরিচিত। হাঁসদা গোত্রের লোকের বিশ্বাস তাদের উদ্ভব ঘটেছে হাঁস থেকে। তাই হাঁসদা গোত্রের সাঁওতালদের হাঁস ভক্ষণ নিষিদ্ধ। আবার সরেন গোত্রের উৎপত্তি হরিণ থেকে তাই তাদের হরিণের মাংস খাওয়া নিষেধ।


উৎসব

সোহরাই সাঁওতাল সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব। এছাড়া বাহা , করম , দশইন , সক্রাত, মাহমোর, রুন্দো এবং ম্যাগসিম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। তারা ঐতিহ্যগতভাবে এই উৎসবগুলোর সময় তাদের অনেক নাচের সাথে 'তমক এবং তুমডাক' নামে দুটি ড্রামের সাথে থাকে।

পুতুল নাচের একটি রূপ 'চাদর বদর' যা সাঁওতাল পুতুলনাট্য নামেও পরিচিত, একটি লোক শো যা একটি ছোট খাঁচায় রাখা কাঠের পুতুলকে জড়িত করে যা মঞ্চ হিসেবে কাজ করে।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়গুলি একটি গ্রাম পরিষদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় যার নেতৃত্বে মাঝি (সমাজের স্থানীয় প্রধান) নামে একজন ব্যক্তি । মাঝি অন্যান্য কাউন্সিল সদস্যদের দ্বারা স্থানীয় বিষয়গুলি পরিচালনা ও মোকাবিলা করতে সহায়তা করে।

সাঁওতাল শিল্প তার জটিল খোদাই শৈলীর জন্য প্রশংসিত। ঐতিহ্যবাহী সাঁওতাল বাড়ির দেয়ালগুলি খোদাই করা নকশা, শিকারের দৃশ্য, নাচের দৃশ্য, জ্যামিতিক নিদর্শন এবং আরও অনেক কিছু দিয়ে অলঙ্কৃত থাকে । সাঁওতাল-শৈলীর পালকি সূক্ষ্মভাবে খোদাই এবং নকশা করে থাকে।


আচার অনুষ্ঠান

এরা নিজস্ব সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলে। এদের জীবনযাপন সহজ ও সরল। বর্তমানে সাঁওতালিদের ওপর বাঙালি সমাজের প্রভাব পড়েছে। এদের অনেকে শিক্ষালাভ করে আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হচ্ছে। সাঁওতালদের পালিত অনুষ্ঠানগুলো বেশ আকর্ষণীয়। এরা জাঁকজমকের সাথে নিজেদের অনুষ্ঠানগুলো পালন করে। অনুষ্ঠানগুলো সাঁওতালি ভাষায় প্রকাশ করা হলো-

  1. বাপলা (ববাহ),
  2. ভান্ডান (ফতে অনুষ্ঠান)
  3. সরহায় (হিন্দুদের পুশনার সময় সাধারমত এই অনুষ্ঠানটা করা হয়)
  4. বাহা পরব
  5. বারনি (বারুনি মেলা)

বিবাহ

সাঁওতাল সমাজে বহিঃগোত্র বিবাহ প্রচলিত। এমনকি উপগোত্রের মধ্যেও বিবাহ হয় না। সাঁওতাল সমাজে যেকোন রকম পণপ্রথা পূর্ব কাল থেকেই নিষিদ্ধ । তাদের সমাজে ছয় প্রকার বিবাহ রীতির প্রচলন থাকলেও বর্তমানে তিন ধরনের বিবাহের প্রচলন দেখা যায়। যথা-

  • আসলি
  • রাজারাজি
  • হুর কাটারা বা ইতুঃবিবাহ

সাধারণত ছেলের বয়স ১৯ ও মেয়ের বয়স ১৫-১৬ হলে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া নিরবোলক নামক বিয়ের প্রচলন সাঁওতাল সমাজে লক্ষণীয়।

  • আসলি বিবাহ: আসলি বিবাহ সম্ভ্রান্ত পরিবার ও শিক্ষিত সমাজের মধ্যেই প্রচলিত। এ ধরনের বিবাহ কন্যার পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনের সম্মতিতেই সম্পন্ন হয়।
  • রাজারাজি: রাজারাজি বিবাহ হল প্রেম করে বিবাহ। সাঁওতালদের প্রত্যেক গ্রামেই হাট বসে। বস্তুত কেনাবেচার উদ্দেশ্য হলেও সাঁওতাল যুবক যুবতীরা তাদের পছন্দমত প্রিয়জনদের সেখানে খোঁজ করে। মেয়েরা যখন হাটে যায়, তখন তাদের সাথে একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি থাকে। সাঁওতালি ভাষায় তাদের যোগমাঝি বলা হয়। কোন সাঁওতাল মেয়ের যদি কোন ছেলেকে পছন্দ করে তখন সে যুবতী যোগমাঝির কাছে তা প্রকাশ করে। তারপর যোগমাঝি সে যুবককে সন্ধান করে বের করে এবং তার নিকট সব কিছু খুলে বলে। যুবকটি যদি এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে, তখন যোগমাঝি ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকের সাথে আলাপ-আলোচনা করে বিয়ের দিন ধার্য করে।
সাঁওতাল বিদ্রোহ 



  • হুর কাটারা: হুর কাটারা বিবাহ হচ্ছে জোর করে বিবাহ। কোন যুবক যদি কোন যুবতীকে ভালোবেসে ফেলে এবং সেই যুবতী যদি তাকে অপছন্দ করে ও বিয়েতে অসম্মতি জানায় এক্ষেত্রে যুবক তাকে পাবার জন্য হাটে যায়। সেখানে সে যুবতীর খোঁজ করতে থাকে। যুবতীর সাক্ষাৎ পেলে যুবক সুযোগ মত যদি যুবতীর কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিতে পারে তাহলে সে যুবতীর অন্যত্র বিয়ে হতে পারে না। সাঁওতালদের মধ্যে প্রচলিত সংস্কার হল অবিবাহিত যুবতীর কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিলে সে যুবতীর আর অন্যত্র বিয়ে হতে পারে না। তার গ্রামের মাতব্বরদের মাধ্যমে যুবককে অর্থদন্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং তা আদায় হলে যুবক যুবতীর বিবাহ কার্য সমাধা করা হয়।

২০১১ সালের ভারতীয় আদমশুমারি অনুসারে, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বিহারের সম্মিলিত ৬৩% হিন্দুধর্ম পালন করে। ৩১% হিন্দুধর্মের পাশাপাশি সারনা ধর্ম ও পালন করে এবং ৫% খ্রিস্টধর্ম পালন করে । ইসলাম , শিখধর্ম , বৌদ্ধ এবং জৈনধর্ম ১%-এরও কম অনুসরণ করে।[১৭]

ধর্মাচার

সাঁওতালদের পালন করা রীতিনীতি বিভিন্নতা আছে। সাঁওতালি ভাষায় দেবতাকে বলে ‘বোংগা‘। এদের প্রধান দেবতা হচ্ছে চান্দোবোংগা(সূর্যদেব)। অন্ দেবতাকে বলে ‘মারাং বুরু‘। এর প্রভাব সাঁওতালদের জীবনে সবচেয়ে বেশি। এ দেবতাকে তারা জন্ম-মৃত্যুরও কারণ বলে মনে করে থাকে। সাঁওতালদের গৃহদেবতার নাম ‘আবগে বোংগা‘। সাঁওতালরা খুব আনন্দ প্রিয় মানুষ। বিভিন্ন পূজাপার্বণ ও সামাজিক উৎসবে এরা নাচ গানে মেতে ওঠে। প্রকৃতির সাথে এদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এরা বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করে থাকে। সাঁওতালদের বার্ষিক উৎসবের নাম সোহরাই। এই উৎসবে মেয়েরা দলবদ্ধভাবে নাচে। শীতের শেষে যখন বনে ফুল ফোটে তখন এরা বাহা উৎসব উদ্‌যাপন করে। দুর্গাপূজার সময় সাঁওতালরা একটি বিশেষ নাচের উৎসবে মেতে ওঠে,যা সাঁওতালি ভাষায় দাসাই নামে পরিচিত। এছাড়াও এরঃ, মাঃ মড়ে, সাকরাত প্রভৃতি উৎসব প্রকৃতির পালা বদলে সাথে সাথে পালন করে থাকে। ফাল্গুন এবং আশ্বিন মাসে, সাঁওতালিদের অসুর সম্প্রদায় দ্বারা "হুদুর দুর্গা" নামে মহিষাসুরের বার্ষিকভাবে দুইবার পূজা করা হয়।

আবাস:

সাঁওতালরা ভারতের ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, আসাম ছাড়াও বাংলাদেশের দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে বাস করে। দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জবিরামপুরঘোড়াঘাট, ফুলবাড়ি, চিরিরবন্দরকাহারোল এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জে সাঁওতালরা অধিক সংখ্যায় বাস করে। রাজশাহীনওগাঁ এবং বগুড়া অঞ্চলে কিছু সংখ্যক সাঁওতাল আছে। প্রাচীনকাল থেকেই সাঁওতালরা এদেশে বসবাস করে আসছে।

বাসস্থান ও পোশাকঃ

এদের ঘরগুলো ছোট এবং মাটির তৈরি। সাঁওতালরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসে। সাঁওতাল পুরুষরা আগে সাদা থান কাপড়ের ধুতি পরতেন। বর্তমানে পাঁঞ্চি, ধুতি, পায়ঞ্জামাগামছা ব্যবহার করে। নারীরা ‘ফতা‘ নামের দুই খন্ডের কাপড় পরে থাকে। বর্তমানে 'আরা পাঁঞ্চি'ও ব্যবহার করতে দেখা যায়। পুরুষ সকলে হাতে উল্কির ছাপ দেয়। মেয়েরা রূপার তৈরি গহনা যেমন- বালাঝুমকাআংটিমলহাঁসুলি ইত্যাদি ব্যবহার করে এবং খোঁপায় ফুল গুঁজতে ভালোবাসে। অভিভাবকদের পছন্দ অনুযায়ী সাঁওতালি সমাজে যে বিয়ে হয় তাকে সাঁওতালি ভাষায় ‘বাপলা‘ বলে। আগের দিনে মৃতদেহ দাহ করার নিয়ম ছিল। বর্তমানে অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশের সকল এলাকায় সাঁওতালরা মরদেহের কবর দেয়। তবে ভারতের সাঁওতালরা মরদেহ কবর ও চিতায় আগুনও দেয়।


খাদ্যভ্যাসঃ

ভাত সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য। মাছ, কাঁকড়াশুকরমোরগমুরগিখরগোশের মাংস এদের খুবই প্রিয় খাবার।


পেশা:

আদিকাল থেকেই কৃষিকে এরা প্রধান পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। নারী পুরুষ সবাই জমিতে কাজ করে। পুরুষেরা হাল চাষ এবং নারীরা বীজ বোনা ও ফসল তোলার কাজ করে। সাঁওতালরা কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি নিজেরা তৈরি করে। শিকার করার ব্যাপারে এদের উৎসাহ খুব বেশি। বাংলাদেশে বন জঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে তাদের এই পেশায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে অনেক সাঁওতাল নারী-পুরুষ কুলি, মজুর, মাটি কাটার শ্রমিক ও অন্যান্য কাজ করে।


শিল্পকলাঃ

শিল্পকলার প্রতি সাঁওতালিদের আগ্রহ রয়েছে। এরা ঢোলদোতারাবাঁশিমেগো প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে ও বাজায়। ঘরবাড়ির দেয়ালে ছবি আঁকে। হাঁড়ি কলসির গায়ে চুনকালি দিয়ে ছবি আঁকে।


দিবস:

সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসঃ

৩০ জুন সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস।আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে, ৩০শে জুন ১৮৫৫, অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসক এবং শোষক জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা গণআন্দোলন শুরু করে। নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় সাঁওতাল আদিবাসিরা ভারতবর্ষে জ্বালিয়ে দেয় প্রতিবাদের দাবানল। আদিবাসিদের অধিকার ও মযার্দা প্রতিষ্ঠায় করা সে রক্তঝরা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসটি বিশেষ র‌্যালি এবং সাঁওতাল কৃষ্টিতে নৃত্যের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিপালিত হয়ে থাকে।

সাঁওতাল বিদ্রোহ 


সাঁওতালি ভাষা দিবসঃ

২২ ডিসেম্বর, ২০০৩ সাল ভারতের সংবিধানের ৯২তম সংশোধনীর দ্বারা সাঁওতালি ভাষাসহ চারটি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে, ভারতের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। এই চারটি ভাষা হল – বোড়ো, ডোগরি, মৈথিলি ও সাঁওতালি। সারা পৃথিবীর সাঁওতালি ভাষী মানুষের জন্য এটা আনন্দের ও স্মরণীয় দিন।

তখন থেকেই ভারতের সাঁওতালরা ২২ ডিসেম্বরকে সাঁওতালি ভাষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ ও নেপালে বহু সংখ্যক সাঁওতাল বসবাস করে। তারাও সাঁওতালি ভাষার চর্চা করে যাচ্ছে।


সাঁতাল ব্যক্তিত্বঃ


সাঁতাল বিদ্রোহের ইতিহাসঃ

সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সাঁতাল হুল হলো ১৯ শতকে ব্রিটিশ ভারতে সংঘটিত একটি ঔপনিবেশিক ও জমিদারি শাসন-বিরোধী আন্দোলন, যাকে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী নেতৃত্ব দিয়েছিলো। এর সূচনা হয় ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়। ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজদের রাজস্ব ও কৃষি নীতির বিরুদ্ধে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় চার মুরমু ভাই- সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব। ১৭৯৩ সালে বড়লাট (গভর্নর-জেনারেল) লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে তাঁদের প্রাচীন স্থানান্তর চাষ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা বিদ্রোহ গড়ে তোলে।


সাঁওতালদের দৃষ্টিতে, ১৮৫৫ সালে সাঁওতালরা সশস্ত্র সংগ্রাম করেছিল তাঁদের অধিকার আদায়ের জন্য। তাঁরা এ যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল ইংরেজ, মহাজন ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এ যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিলো ব্রিটিশ সৈন্য ও তাঁদের দোসর ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের বিভিন্ন নিয়মনীতি থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। সাঁতাল হুলের ইতিহাস হতে জানা যায়, দামিন-ই কোহ ছিলো সাঁওতালদের নিজস্ব অঞ্চল।


বিদ্রোহের সময়ঃ

১৮৫৫ সালের ৩০ জুন যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়। সাওতাঁলরা তীর-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করায় ইংরেজ বাহিনীর আধুনিক বন্দুক ও কামানের কাছে টিকতে পারে নি। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা মারা গিয়েছিলো।যুদ্ধে পর্যায়ক্রমে সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব (সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রধান নেতাসমূহ) নিহত হলে ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে যুদ্ধ শেষ হয় ও বিদ্রোহের পরিসমাপ্তি ঘটে।

নির্যাতন ও প্রতিবাদঃ

  • ১৮৫৫ খ্রি. ৩০শে জুন প্রায় ত্রিশ হাজার সাঁওতাল কৃষকেরা বীরভূমের ভগনডিহি থেকে সমতলভূমির উপর দিয়ে কলিকাতাভিমুখে পদযাত্রা করেন। ভারতের ইতিহাসে এটাই প্রথম গণপদযাত্রা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
  • ৭ই জুলাই দিঘি থানার মহেশলাল দারোগাসহ ১৯ জনকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা।
  • হকে নির্মুল করার জন্য কোম্পানীর বড়লাটগণ ৩৭শ, ৭ম, ৩১শ রেজিমেন্ট, হিল রেঞ্জার্স, ৪৩, ৪২ ও ১৩ রেজিমেন্ট প্রভৃতিকে ব্যবহার করেছিলো।
  • সাঁওতাল নেতাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য কমিশনার প্রধান নায়কের জন্য দশ হাজার টাকা, সহকারী নায়কের প্রত্যেকের জন্য পাঁচ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় নায়কদের জন্য এক হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন।
  • ১৮০৪ খ্রি. ১০ নং রেগুলেশনের ৩ ধারা অনুযায়ী ১০ই নভেম্বর, সামরিক আইন জারি করা হয়।
  • এই ইতিহাসখ্যাত আন্দোলনে আদিবাসী সাঁওতাল নারীদের অংশগ্রহণ ছিলো স্বতস্ফূর্তভাবে। ২৩ .৭. ১৮৫৫ তারিখে Hindu Intelligence পত্রিকাতে এক সাঁওতাল প্রধানের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা কারণ হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে।
  • বারো জন সাঁওতাল পুরুষ ও ১০০ জন নারীর এক দল মহারাজপুর নামক গ্রামে প্রবেশ করে পুরুষরা গ্রামের প্রজাদের প্রহার করতে থাকে এবং স্ত্রীলোকেরা লুটপাট করে।
  • সিধু ও কানুর বোন ফুলমনির লাশ উদ্ধার করা হয় রেললাইনের ধার থেকে। শোনা যায়, ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের পর ব্রিটিশ সেপাইরা তাকে হত্যা করে সেখানে ফেলে যায়। এই ফুলমনিকে নিয়ে আদিবাসী সাঁওতালদের গান রয়েছে।


নেতা ও লিপিকারঃ

  • সিধু মুরমু ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রধান নেতা। কিছু লোকের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
  • কানু মুরমু ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের দ্বিতীয় প্রধান নায়ক ও সিধুর ভাই। বীরভূম জেলার ওপারে সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়।
  • চাঁদ মুরমু ও ভৈরব মুরমু ছিলেন সিধু ও কানুর প্রধান দুজন সহযোগী ও ভাই। তাঁরা দুজন ভাগলপুরের কাছে এক যুদ্ধে প্রাণ হারান।
  • কলেয়ান গুরু ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাসের লিপিকার এবং সাঁওতালদের গুরু। তিনি তাঁর "হড়কোড়েন মারে হাপড়ামকো রেয়াঃ কথা" শীর্ষক একটি রচনায় সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিবৃত্ত রেখে গেছেন। এই ইতিবৃত্তে সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক সিধু ও কানুর সংগ্রাম-ধ্বনি, যেমন- "রাজা-মহারাজাদের খতম করো""দিকুদের (বাঙালি মহাজন) গঙ্গা পার করে দাও""আমাদের নিজেদের হাতে শাসন চাই" প্রভৃতি লিপিবদ্ধ আছে।
  • চানকু মাহাতো একজন অন্যতম নেতৃত্ব ছিলেন যিনি সাঁওতাল বিদ্রোহে শহীদ হয়েছিলেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করার পর প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয় ১৫ মে ১৮৫৬ সালে।



ফলাফলঃ

সাঁওতাল বিদ্রোহের পর ইংরেজ সরকার সাঁওতালদের অভিযোগ সম্পর্কে তদন্তের ব্যবস্থা করে। বিদ্রোহের পরবর্তীকালে ভাগলপুর ও বীরভূমের কিছু অংশ নিয়ে ৫, ৫০০ বর্গ মাইল জুড়ে এবং প্রথমে দেওঘর ও পরে দুমকায় প্রধান কার্যালয় নির্দিষ্ট করে সাঁওতাল পরগণা জেলা গঠিত হয়, সেটি বিদ্রোহ প্রশমনের পর প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একটি বিশিষ্ট পরিবর্তন। এই পরগণাকে অনিয়ন্ত্রিত (নন- রেগুলেটেড) একটি জেলা ঘোষণা করা হয়। প্রথমে এই জেলার নাম হয় ডুমকা, যেটি পরবর্তীতে সাঁওতাল পরগনা নামে পরিচিত হয়। এখানে সাঁওতাল মানঝি্, পরানিক, পরগনা জেলার শাসন পরিচালনার জন্য দারোগা, পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারি কমকর্তা-কর্মচারী ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। সাঁওতালদের বিচার সালিশ তাদের আইনে করার জন্য সরকার ক্ষমতা প্রদান করে। খাজনা, কর প্রভৃতি তাঁদের হাতে অর্পণ করা হয়। তাঁরা জেলা প্রশাসকে নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হতে থাকে। ১৮৮৫ সালে বেঙ্গল টেনান্সি এ্যাক্ট অনুযায়ী আদিবাসীরা তাদের জমি সরকারি অনুমতি ছাড়া বিক্রি করতে পারতো না। এই আইন এখনও পর্যন্ত কার্যকর আছে।


বিদ্রোহের প্রভাবঃ

ইংরেজি লেখক চার্লস ডিকেন্স হাউসহোল্ড ওয়ার্ডসে বিদ্রোহের উপর নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদটি লিখেছেন:

তাঁদের মধ্যে সম্মানের অনুভূতিও আছে বলে মনে হয়; কারণ এটা বলা হয় যে তাঁরা শিকারে বিষাক্ত তীর ব্যবহার করে, কিন্তু তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে কখনোই নয়। যদি এমন হয় এবং সাম্প্রতিক সংঘাতে আমরা বিষাক্ত তীরগুলির কিছুই না শুনি, তবে তাঁরা আমাদের সভ্য শত্রু রুশদের চেয়ে অসীমভাবে বেশি সম্মানিত, যাঁরা সম্ভবত এই ধরনের সহনশীলতাকে বোকামি বলে মনে করবে এবং ঘোষণা করবে যে, এটি যুদ্ধ নয়।



দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...