"জামায়াত নেতার সাথে যে কাজ করতে গিয়ে পুলিশ কেঁদে ফেলে"
![]() |
এক পুলিশ সদস্য ঢাকার রাস্তায় ডিউটি দিচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ তিনি দেখলেন একজন স্থানীয় জামায়াত নেতা একটি বড় কাটন বক্স নিয়ে রিক্সায় উঠছেন। তখন এই পুলিশ সদস্যটি একটু চমকে গিয়ে তার পিছু পিছু অগ্রসর হতে লাগলেন এবং গোয়েন্দা নজরদারি করার জন্য তাকে ফলো করতে শুরু করেন। তিনি ভাবলে নিশ্চয়ই এতে নাশকতার জন্য প্রচুর ককটেল কিংবা অস্ত্র অথবা ধারালো কিছু আছে এবং এই জামাত নেতাকে ফলো করে নাশকতার বড় কোনো পরিকল্পনা বেরকরে আনা যাবে এবং বহু আসামী ধরা যাবে।
তারপর ঐ জামায়াত নেতার পেছনে পেছনে কিছু সময় যাওয়ার পর পুলিশ সদস্যটি দেখতে পেলেন, একটি বস্তি এলাকার পাশে এসে তিনি রিক্সা থামিয়ে বাক্সটি নিয়ে নামছেন এবং বাক্সটি নিয়েই বস্তি এলাকার ভেতরে যাচ্ছেন। তখন পুলিশ সদস্যটি আরো বেশি চমকে গেলেন এবং অতি সিরিয়াস হয়ে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে দেখতে লাগলেন, তিনি বাক্সটি নিয়ে ঠিক কোথায় যাচ্ছেন ? কাদের সাথে দেখা করতে চাচ্ছেন ? কিংবা কাদের হাতে কি জিনিস দিয়ে আসতে চাচ্ছেন !?
কিন্তু তারপরে তিনি যা দেখলেন তাতে এই পুলিশ সদস্যটি এতটাই আশ্চর্য হন যে তার চোখে পানি চলে আসে। আবেগে তিনি কেঁদেই ফেলে ছিলেন!
তিনি দেখলে বাক্স থেকে লোকটি কিছু শীতের কাপড়, কিছু কম্বল এবং কিছু পুরাতন কাপড় বের করে অভাবী এবং দরিদ্র কিছু মানুষের মাঝে বিতরন করছে! এতেই এই পুলিশ সদস্যটি লজ্জিত হয়ে কেঁদে ফেললেন!
রাসূল সাঃ যে চার শ্রেণীর মানুষ জান্নাত পাবে বলে জানিয়েছিলেন তার মধ্যে একটি হলো সিদ্দিকীন। অর্থাৎ যারা অরাজনৈতিক কারণ কিংবা রাজনৈতিক কারণ থাকা সত্ত্বেও সত্যকে সত্য হিসাবে নির্দিধায় স্বীকার করে নিতে পারে এবং বলতেও পারে।
যে উন্নয়ন ৮ থেকে ৯ বছরে করা সম্ভব ছিল, সেই উন্নয়ন শেখ হাসিনা সরকারের কেনো ১৫ বছর সময় লাগলো ? তা বুঝতে হলে তাদের লুটপাট, দুর্নীতি এবং টাকা পাচারের তথ্য জানতে হবে!
জামাত শিবির ক্ষমতায় এসেছে; একথা শোনামাত্রই সিন্ডিকেট ওয়ালারা দরজা বন্ধ করে ফেলবে। অপবিত্র ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ নেতারাও বুঝতে পারবে যে এখন কর্ম করেই খেতে হবে!
জামাত-শিবিরের হাতে দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। কারণ তারা জানে শহীদ ব্যক্তিও জান্নাত পাবে না; ঋণের টাকা না দিয়ে! সুতরাং অবৈধ টাকা তো বহুৎ পরের কথা!
একথা শুনে একজনের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল যে জামাত শিবিরের রাজনীতি করলে প্রত্যেক মাসেই নিজ পকেট থেকে টাকা দিয়ে করতে হয় এবং তা মরনের পর ছাড়া ফেরত পাওয়ার সুযোগ নেই।
জামাত শিবিরকে অনেকেই একটি রাজনৈতিক দল মনে করে। অথচ রাজনীতি হলো এই দলের কার্যক্রমের একটা অংশ মাত্র। বরং মানুষের জীবন বাস্তবতার সব শিক্ষাই দলটিতে রয়েছে।
এদেশে যারাই আ'লীগের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ধ্বংস করে দিয়ে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে এবং সাম্প্রদায়িক চেতনা, প্রতিহিংসার রাজনীতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে; তাদের শেষ পরিণতি এই আ'লীগের মতোই হবে! ইনশাআল্লাহ্।
আওয়ামী লীগ মূলত দেশের মানুষকে ২ শ্রেণীতে ভাগ করে ফেলেছিল!
১. আওয়ামী লীগ শ্রেণী। যারা আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে। তারা হবে শাসকগোষ্ঠী এবং তারাই হবে উঁচু নাগরিক শ্রেণী এবং শুধু মাত্র তাদেরই ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে।
২. নন আওয়ামী লীগ শ্রেণী। যারা নিচু নাগরিক শ্রেণী এবং যাদের কোন ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে না এবং তাদের সবাইকে আওয়ামী লীগের শাসন ও আইনের অধীনে থাকতে হবে।
৩.৭১ সনে জামাত শিবির কি কি কারনে ভারতের পক্ষে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব ছিল না এবং এর পেছনের রহস্য এবং ঐতিহাসিক কারণ গুলো কি কি ? তা বুঝতে হলে অধ্যাপক গোলাম আযমের লেখা বই "পলাশী থেকে বাংলাদেশ" এই বইটি পড়তে হবে।
৪.মনে রাখবেনঃ সাড়ে তিন হাত বডির মধ্যে ইসলাম নিয়ে আসা অনেক সহজ। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ইসলাম মানা এবং অন্তরের মুনাফিকি ও অহংকার দূর করে তাকওয়া নিয়ে আসা এতো সহজ নয়!
৪.জামাত-শিবিরকে চিনতে বা বুঝতে হলে নবীদের এবং সাহাবাদের বাস্তব কঠিন জীবন ইতিহাস যেমন বুঝতে হবে; ঠিক তেমনি মাদানী সূরার দিকনির্দেশনা গুলোও প্র্যাকটিক্যাল বা ব্যবহারিকভাবে বুঝতে হবে!
৬.জামাত-শিবির এমন একটি দল যাদের আকিদার মধ্যে কোন শির্ক কিংবা কুফর নেই। আলহামদুলিল্লাহ্। অথচ বর্তমান সমাজ ও সভ্যতায় বিভিন্ন দলের আকিদাতে শির্ক ও কুফর অনেক।
(এটি একটি সংগ্রিহীত পোস্ট)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ