expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫

বীর্য ও হালাল পশুর মলমূত্র পাক মর্মে মাদখালিদের দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা, পারলে চ্যালেঞ্জ করুন

 "বীর্য ও হালাল পশুর মলমূত্র পাক মর্মে মাদখালিদের দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা, পারলে চ্যালেঞ্জ করুন"

হালাল বস্তু




এত দিন মানুষের বীর্য পাক এবং ইহা খওয়া জায়েজ মর্মে ফতোয়া দিতে দিতে মুখে ফেনা তুলত মাদখালি মতি বিহারী গংরা, এখন আবার মানুষের বীর্যের পাশাপাশি হালাল প্রানীর মলমূত্রকেও পবিত্র বলা শুরু করেছে। তারা বলে বীর্য যেহেতু পাক সেহেতু হালাল প্রানীর মলমূত্রও পাক। আসুন তাদের দাবী যে মিথযা তা নীচে প্রমান সহ দিলাম।

নি:সন্দেহে বীর্য নাপাক এবং পাক হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বীর্য পাক হওয়ার বিষয়ে মাদখালিরা যে দাবী করে তা নিত্যান্তই মিথ্যা কথা। কোন ওহাবী আহলে হাদিসের অনুসারী বীর্য পাক দাবী করলে আমার এই প্রবন্ধ দিয়ে যে কোন ফতোয়াবাজকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। 

প্রথম অভিমতঃ
বীর্য নাপাক। পাক হবার প্রশ্নই উঠে না।বীর্য নাপাক বলেই শুকনা হলে খুটিয়ে তুলে ফেলা ও ভিজা হলে কাপড়টি ধৌত করার কথা হাদীসে এসেছে। যেমন-

عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ

অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

আসলে এটি ইমাম বুখারী এর মত নয়, কথিত আহলে হাদীসদের মত। ইমাম বুখারী এর দিকে মিথ্যার নিসবত করা হয় এটি বলে। 

বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের ৩৬ নং পৃষ্ঠায় ইমাম বুখারী একটি পরিচ্ছেদ এনেছেন। সেটি হল- بَابُ إِذَا غَسَلَ الجَنَابَةَ أَوْ غَيْرَهَا فَلَمْ يَذْهَبْ أَثَرُهُ • “যখন কেউ বীর্য ইত্যাদি ধৌত করা হয়, কিন্তু তার চিহ্ন না যায়”।

উক্ত পরিচ্ছেদের অধীনে ইমাম বুখারী দুটি হাদীস এনেছেন, যার মাঝে একটি হল, عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ (ص:٥٦) فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ • আমার বিন মাইমুন সুলাইমান বিন ইয়াসার কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, হযরত আয়শা বলেছেন, “আমি রাসূল এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে, কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। 

[সূত্রঃহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯]

এ পরিচ্ছেদের অধীনে গায়রে মুকাল্লিদ আলেম ওহীদুজ্জামান সাহেব লিখেছেনঃ “ইমাম বুখারী এ পরিচ্ছেদে বীর্য ছাড়া অন্য কোন নাপাকীর কথা উল্লেখ করেননি। হয়তো বাকি নাপাককে বীর্যের উপরই কিয়াস করেছেন। এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ইমাম বুখারী এর নিকট বীর্য নাপাক।

[সূত্রঃ তাইসীরুল বারী-১/১৭০]

গায়রে মুকাল্লিদ আলেম মাওলানা ওহীদুজ্জামান সাহেবের বক্তব্য দ্বারা একথা স্পষ্টভাবে বুঝা গেল যে, ইমাম বুখারী এর নিকট বীর্য নাপাক। অথচ গায়রে মুকাল্লিদ ভাইদের মত হল যে, বীর্য পাক। এ কারণেই বুখারীর মতের বিরোধীতা করে আহলে হাদীস অহীদুজ্জান সাহেব লিখেনঃ “বীর্য পাক, চাই তা ভিজা হোক, বা শুকনো হোক, ঘাঢ় হোক বা পাতলা। 

[সূত্রঃ-কানযুল হাকায়েক-১৬; নুজুলুল আবরার-১/৪৯]

আহলে হাদীস নওয়াব নূরুল হাসান সাহেব লিখেছেনঃ “বীর্য সর্ববস্থায় পবিত্র”। 

[সূত্র-আরফুল জাদী-১০]

আহলে হাদীস নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান সাহেব লিখেছেনঃ “মানুষের বীর্য নাপাক হওয়ার কোন দলীল নেই”। 

[সূত্বুরঃদুরুল আহিল্লাহ-১৫]

অথচ বুখারী, হাদীস স্পষ্ট প্রমাণ করছে যে, বীর্য নাপাক। কারণ যদি বীর্য পাকই থাকতো, তাহলে আম্মিজান আয়শা কেন তা পানি দিয়ে ধুয়ে দিতেন? ইমাম বুখারীর বিরোধীতা করে বীর্যকে কথিত আহলে হাদীসরা দলীল ছাড়াই সর্ববস্থায় পবিত্র বলে থাকে তাদের আকাবীরদের অন্ধ তাকলীদ করে। তাইলে বীর্য খাওয়া-পান করা সবই মনে হচ্ছে জায়েজ তাদের কাছে?!

তাছাড়া রাসূল এটা সিক্ত থাকলে ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর কাপড়ে লাগলে তা ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাক হলে ধৌত করার নির্দেশনা দিলেন কেন? আর নবীজী এর কাপড়ে যে বীর্য লেগে শুকিয়ে গেয়েছিল, তা তিনি খুটিয়ে তুলে ফেলাটাই প্রমাণ করে তা পাক থাকলে খুটে ফেলে দেয়ার দরকার কি?

যেমন কাপড়ে যদি আটা লেগে শুকিয়ে যায়, তাহলে তা খুটিয়ে ফেলে দিলে তা একেবারেই উঠে যায়, এমনি বীর্যও শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে তা তুলে ফেললে তার কোন কিছু আর বাকি থাকে না, তাই নবীজী খুটিয়ে তুলে ফেলার পর তা না ধুয়েই নামায পড়েছেন। বীর্য পাক এজন্য নয়। 

এছাড়া অন্যান্য হাদীসে এসেছে- يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ • আম্মার বিন ইয়াসার থেকে বর্ণিত: রাসূল ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা- ১. পায়খানা, ২. প্রশ্রাব, ৩. বমি, ৪. রক্ত, ৫. বীর্য। 

[সূত্র;সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮]

হযরত ওমর বিন খাত্তাব বলেন-বীর্য সিক্ত থাকলে তা ধুয়ে ফেল, আর শুকিয়ে গেলে তা খুটিয়ে ফেল। 

[সূত্রঃমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৯৩৩]

২য় অভিমত:

২য় অভিমত হলো মনি পবিত্র। এটা ইমাম শাফেঈ, দাউদ ও আহমাদ এর ২টি অভিমতের মধ্যে একটি সহীহ অভিমত। এ ব্যাপারে তারা আয়িশা (রা.) এর হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।

عَنْ عَائِشَةَ فِي الْمَنِيِّ قَالَتْ: كُنْتُ أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللهِ ﷺ "

আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি মনির ব্যাপারে বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর কাপড় থেকে বীর্য রগড়িয়ে ফেলতাম।

আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত অপর এক হাদীস থেকেও তারা দলীল পেশ করে থাকেন:

أَنَّ رَجُلاً نَزَلَ بِعَائِشَةَ فَأَصْبَحَ يَغْسِلُ ثَوْبَهُ فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّمَا كَانَ يُجْزِئُكَ إِنْ رَأَيْتَهُ أَنْ تَغْسِلَ مَكَانَهُ فَإِنْ لَمْ تَرَ نَضَحْتَ حَوْلَهُ وَلَقَدْ رَأَيْتُنِى أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ - فَرْكًا فَيُصَلِّى فِيهِ.

একদিন জনৈক ব্যক্তি আয়িশা (রা.) এর গৃহে মেহমান হলো। আয়িশা দেখলেন, ভোরে সে তার কাপড় ধুচ্ছে। (অর্থাৎ রাতে তার স্বপ্নদোষ হয়েছিল)। তা দেখে আয়িশা বললেন: মূলতঃ তোমার পক্ষে এতটুকুই যথেষ্ট হতো যে, তুমি নাপাক বস্ত্তটি দেখে থাকলে কেবলমাত্র সে স্থানটি ধুয়ে নিতে। আর যদি তা দেখে না থাক, তাহলে (সন্দেহ দূর করার নিমিত্তে) স্থানটিতে পানি ছিটিয়ে হালকাভাবে ধুয়ে নিতে পারতে। কেননা এমনও হয়েছে আমি নিজে রাসূল (ﷺ) এর কাপড় থেকে শুকনো বীর্য রগড়িয়ে ফেলেছি, আর তিনি সে কাপড় পরে সালাত আদায় করেছেন। ঘর্ষণ বা রগড়ানোর মাধ্যমে যথেষ্ট মনে করাটাই পবিত্রতা প্রমাণ করে।

যারা এটাকে নাপাক বলেন, এ ব্যাপারে তাদের জবাব হলো: ঘর্ষণ করাটা পবিত্রতা প্রমাণ করে না, বরং তা পবিত্র করার একটি মাধ্যম মাত্র। যেমনটি জুতা পবিত্র করার মাধ্যম হলো তা মাটিতে ঘর্ষণ করা।

এর প্রতিউত্তরে বলা যায় যে, আয়িশা (রা.) কখনও মনিকে ঘর্ষণ করেছেন আবার কখনও তা ধৌত করেছেন। সুতরাং তা (মনি) নাপাক হওয়ার দাবী রাখে না। যেমন কাপড়ে নাকের ময়লা, থুথু কিংবা আবজর্না লাগলে তা ধুয়ে ফেলা হয়। সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ), ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও আরও অনেকেই এরূপ কথাই বলেছেন যে, ‘‘এটা (মনি) নাকের ময়লা এবং থুথুর সমতুল্য। ঘাস দিয়ে হলেও তা মুছে ফেল’’।

সুতরাং, একথা স্পষ্ট হলো যে, হযরত আয়িশা (রা.) এর কাজটি পরিচ্ছন্নতার এখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মনি পবিত্র হওয়ার সমর্থনে আরও একটি দৃষ্টান্ত হলো, মহানাবী (ﷺ) এর যুগে অনেক সাহাবার স্বপ্নদোষ হতো। ফলে তাদের কারও শরীরে বা কাপড়ে মনি (বীর্য) লেগে যেত। এটা কারও অসুস্থতার কারণে ব্যাপকভাবে নির্গত হতো। যদি তা নাপাক হতো, তাহলে রাসুল (ﷺ) এর উপর সাহাবাদের জন্য তা দূর করার আদেশ দেয়া ওয়াজিব হতো, যেমনটি তিনি ইসতিনজার ক্ষেত্রে আদেশ দিয়েছেন। অথচ কেউ এটা বর্ণনা করেন নি। সুতরাং নিশ্চিতভাবে জানা গেল যে, তা দূর করা ওয়াজিব ছিল না। আল্লাহ্ই সর্বাধিক অবগত।

বীর্য নাপাক হওয়ার সুষ্পষ্ট প্রমান হলো স্ত্রী সঙ্গম ও স্বপ্ন দোষ হলে গোসল ফরজ হওয়া। গোসল ফরজ কখন হয়? শরীর যখন সর্বোচ্চ অপবিত্র হয় তখনই গোসল ফরজ হয়,আর বীর্য অপবিত্র হওয়ার কারনেই স্বপ্ন দোষ হলে গোসল ফরজ হয়।

এত প্রমানের পরও যারা বীর্যকে পবিত্র মনে করে তাদের বুঝার ভুল আছে। কারন খ্রিস্টান ও ই*হু*দিরা চায় আমরা যে সারাক্ষন অপবিত্র থাকি আর আমাদের ইবাদত কবুল না হয়, তার নিজেরাও অভিশপ্ত, আমাদেরও নিজেদের কাতারে নামাতে চায়।

অতএব যেহেতু বীর্য নাপাক প্রমানিত হলো সেহেতু বীর্য পাকের দোহাই দিয়ে হালাল পশুর মলমূত্র পাক হওয়ার ফতোয়াও ভুল।পশুর মল মূত্র নাপাক তাও প্রমানিত। এর পরও যদি তারা বীর্য ও হালাল প্রানীর মলমূত্র পাক বলে দাবী করে তাইলে হিন্দুদের মত গরুর চানা বা গোবর তাদেরকে আমাদের সামনে খেয়ে প্রমান করতে আবেদন করব এগুল পাক, কেননা আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ এর ফতোয়া অনুযায়ী তারা যেহেতু বীর্যের মত নোংরা বস্তু খেতে পারে সেহেতু গোবর-চানাও খেতে পারার কথা। 

ডা.বশির আহাম্মদ, চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...