expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫

ইসলাম,স্যেকুলারিজম ও ডেমোক্রেসী

  ইসলাম প্রতিষ্ঠায় স্যেকুলারিজম  ডেমোক্রসির মত মানব সৃষ্ট পদ্ধতি গ্রহন যোগ্য না

ইসলাম,স্যেকুলারিজম ও ডেমোক্রেসী

ইসলাম প্রতিষ্ঠায় স্যেকুলারিজম  গনতন্ত্রের মত মানব সৃষ্ট পদ্ধতি কখনোই গ্রহন যোগ্য নয়।
কারনটা বুঝার জন্য শেষ লাইনটা পর্যন্ত দয়া করে পড়তে হবে প্রিয় পাঠকগন।

 আমরা সবাই জানি ইসলাম শুধু মাত্র একটি গতানুগতিক ধর্মই নয়, এটা একটা স্বাশত  পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে দোলনা হতে কবর পর্যন্ত সকল পর্যায়ে কখন  কিভাবে চলতে হবে, মানব সভ্যতার অতীত,বর্তমান  ভবিষ্যত নিয়ে বিস্তারিত  সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে।

এই মানব সমাজের সবচেয়ে বড় নিয়ামক হলো সমাজ ব্যবস্থা  রাষ্ট্র ব্যবস্থা। রাষ্ট্র ব্যবস্থা যদি ইসলামের অনুকূলে না থাকে তাইলে যতই চেষ্টা করা হোক অথবা যত বড় বুজুর্গ হউক নিজের অজান্তেই কুফরিতে জড়িয়ে যাবে। আর এই সুমসৃন ইসলাম পালনের জন্য ব্যক্তিগত, সমাজিক  রাষ্ট্রীয় সকল স্তরে ইসলামী করনের কোন বিকল্প নাই। ব্যক্তি, সমাজ  রাষ্ট্রের সর্ব স্তরে ইসলামীক ব্যবস্থা প্রবর্তনের নাম ই ইক্বামতে দ্বীন এবং এই কাজে বিভিন্ন পর্যায়ে নানান কৌশলে প্রচেষ্টার নামই হলো ইসলামি আন্দোলন। এই ইসলামি আন্দোলন যারা বুঝে না তারা ইক্বামতে দ্বীন বুঝে না। ইক্বামতে দ্বীন না বুঝলে ইসলাম বুঝা সম্ভব না।


দুনিয়ার বুকে সকল জাতি, ধর্ম,বর্ন নির্বিশেষে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ইসলাম প্রতিষ্ঠা ফরজ করেছে আল্লাহ তা'লা। কোরআন-হাদিসে বহু আয়াত  হাদিসের মাধ্যমে তা প্রমানিত।পরে একটি পোষ্টে এই বিষয়ে আলোচনা করা যাবে।

এখন আমি এক এক করে ইসলামী আন্দোলন তথা ইক্বামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি গুলো বর্ণনা করব।

১। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর দ্বীন প্রতিষ্ঠা:
হযরত মুহাম্মদ (সা:) হলেন আল্লাহর সরাসরি নির্বাচিত প্রতিনিধি, জীবন্ত কোরআন। হযরত মুহাম্মদ সা: যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তা ছিলো সরাসরি আল্লাহর নির্দেশ। 
দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সাহাবা কেরামদের সঙ্গে নিয়ে দায়াত, হিযরত,রক্ষনাত্বক জি*হা*দ  রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলো আর ঐ সমাজটা ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ব শ্রেষ্ঠ সমাজ  রাষ্ট ব্যবস্থা। এই পদ্ধতিটা সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি। 

২। এর পরের যুগে পর্যায়ে আরেকটি পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো আর তা হলো সাহাবাদের আমলে, যা ১০০% হুবহু মদিনা রাষ্ট্র পদ্ধতির মত হলে স্থান, কাল  পাত্র নির্বিশেষে কিংশ্চিৎ পরিবর্তিত কিছু নতুন নতুন কৌশল যুক্ত করতে হয়েছিলো। কেননা হযরত মুহাম্মদ সা: এর প্রস্থানের পর ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যেসকল নতুন নতুন সমস্যা উপস্থিত হয়েছিলো সেগুলো ইসলামের আলোকে হযরত মুহাম্মদ সা: এর নীতিকে সর্বোচ্চ প্রধান্য দিয়েই নতুন কিছু কৌশল অবলম্বনে নিজেদের মেধা  যোগ্যতা দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ঐ আন্দোলন গুলাতে দায়াত, রক্ষনাত্বক জি*হা*দ  কৌশল সবই ছিলো।

৩। তৃতীয় পর্যায়ের ইসলামী আন্দোলন গুলো ছিলো সাহাবা কেরামদের পরবর্তী যুগ। এই যুগটা মুটামুটি ২য় পর্যায়ের আন্দেলনের মতই ছিলো। প্রথমে দায়াত  পরেদ্বীন প্রতিষ্ঠায় যে সকল দুনিয়া পূজারীরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাঁধা দিয়েছে সে সকল জালিমদের সাথে মজলুমদের পক্ষে রক্ষনাত্বক জি*হা*দ করতে হয়েছে।

৪। চতুর্থ স্তরে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিষয়টা ছিলো ১১০০ শতাব্দীর পরবর্তী যুগে। এই সময় ইসলামের শান্তির পতাকা উড়ানোর জন্য দায়াত, রক্ষনাত্বক জি*হা*দ  কোন কোন স্থানে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পর্যন্ত সরাতে হয়েছে।

৫। পঞ্চম স্তরটা হলো মুটা মুটি বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে। সন্মানিত পাঠক গন, আমার লেখায় খেয়াল করে দেখবেন যে প্রত্যেকটি স্তরেই হযরত মুহাম্মদ সা: এর পদ্ধতি হুবহু ঠিক রেখে সময়, স্থান, পাত্র  অবস্থার প্রেক্ষিতে আরো কিছু নতুন,নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। কোথা দায়াতি কাজেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়েছে(যেমন মালদ্বীপ),  আবার কোথা কোথা নির্যাতিত-নিপিরীত মানবতার পক্ষ হয়ে রক্ষনাত্বক যুদ্ধ করতে হয়েছে(যেমন ভারতীয় জালিম হিন্দু রাজাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে)।

৬। শেষ পর্যায়টা হল বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত। এই সময়ে মুসলমানদের ক্ষমতাসীনদের ভুলে হউক, আমাদের ইসলাম হতে সরে যায়ার কারনে হউক আর আমাদের যেকোন ভুলেই হউক বর্তমান সমাজের উপর মানব সৃষ্ট  ১০০% ত্রুটিপূর্ন স্যেকুলারিজম, না*স্তি*ক্য বাদ  গনতন্ত্র নামক কুফরী বোঝা ঝেঁকে বসেছে। এটা আমরা সহজেই অস্বীকার করতে পারব না, আবার এটা কৌশল ছাড়া ভাঙ্গতে পারব না। এই কুফুরী ব্যবস্থা গুলোকে কিন্তু আমরা মেনে নিতে পারব না। মন থেকে মেনে নিলে কুফরীকে মেনে নেয়ারই শামীল হবে।

তাইলে এই ত্রিশঙ্কু অবস্থায় করবটা কি? ইসলামি সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াটাই বা হবে কি? আল্লাহ  আল্লাহর দেয়া নিয়ম অনুযায়ী মানব জাতির মুক্তির লক্ষ্যে সরাসরি জি*হা*দের ডাক দেব? কিন্তু জিহাদের ডাক যে দেব, মুসলমানদের ৮০% লোক তো ইক্বামতে দ্বীন বুঝে না। এদের বেশীর ভাগ জেনে হউক আর না জেনেই বাতিলের দালালি করছে। এ অবস্থায় তো জি*হা*দের ডাক দিলে সবার আগে মুসলমানরাই বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। তাইলে কি জি*হা*দ ইসলাম প্রতিষ্ঠায় বর্তমান প্রেক্ষিতে ভুল পন্থা? আল্লাহ  আল্লাহর হাবীবের প্রদর্শিত পথ ভুল হতে পারে?৷ শুধু জি*হা*দের মাধ্যমে যে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব তার প্রমান তো আফগানিস্তান  ইরান আমাদের চোখের সামনেই ভাসছে।

আফগানিস্তান  ইরানের অবস্থা আর অন্যান্য দেশের অবস্থা এক নয়। কোন কোন মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে গনতন্ত্র  স্যেকুলারের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করলেই জিহাদ দূরে থাক মুসলমানদের বেঁচে থাকা দায়, যেমন বাংলাদেশ, মিশর।

এসকল দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতিটা কি হবে? আমরা কি মানব সৃষ্ট গনতন্ত্র  স্যেকুলারিজম মেনে নেব? এই পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব? এটা জায়েজ হবে? এই গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মিশরে মুরসি ক্ষমতায় গিয়ে কত দিন টিকেছিলো? পারে নি, পারবে না। কেন না কথায় আছে শুকনা মাটি দিয়ে পাতিল বানানো যায় না, মাটিকে ভিজিয়ে কাঁদা বানাতে হয়। তদ্রুপ আল্লাহর দেয়া নিয়ম মতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা না করলে তা বেশি দিন টিকবে না, কেননা গনতন্ত্র, স্যেকুলারিজম  কমিউনিজম সব গুলোইতো শয়তানের সৃষ্টি। 

এখন আবার প্রশ্ন আসে তাইলে প্রলিত গনতন্ত্র বিদ্যমান সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম দেশ গুলোর লোকজন যেখানে আর কোন বিকল্প পদ্ধতি বিদ্যমান নাই তারা কি করবে?

সোজা উত্তর আল্লাহ  রাসূল সা: এর প্রদর্শিত পথ ব্যতিরেখে অন্য কোন পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ব্যর্থ হবেই।

আমার কথায় আরো বিরক্ত হলেন? মানুষটা বলে কি? তাইলে মানব সৃষ্ট পদ্ধতি প্রচলিত মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশের মুসলমানরা করবেটা কি? ইক্বামতে দ্বীন ছেড়ে দেবে?

না আমি তা বলি নি। আমি বার বার জোড় দিয়ে একটা কথাই বলছি যে জিহাদ ব্যতিত কখনোই পূর্ণাঙ্গ ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব না, আর হলে সাময়িক।

তাইলে এখানে একটাই পদ্ধতি মানব সৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা, যেখানে সরাসরি বিকল্প কোন ব্যবস্থা নাই, সে সকল মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ গুলোতে চুড়ান্ত পর্যায় জিহাদের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে  দায়াতের মাধ্যমে মুসলমানদের ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত করতে হবে, মানব সৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা গুলোকে কৌশলে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইচ্ছুক লোকদের দ্বারা প্রভাবিত করতে হবে। বাতিল শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকা বাতিল পন্থী লোক গুলোকে সুক্ষ্ম কৌশলে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইচ্ছুক লোকদের দ্বারা প্রতিস্থাপন করে তারপর চুড়ান্ত জিহাদের মাধ্যমে মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে হবে। এই কৌশল অবলম্বন করতে হলে কখনো কখনো জিহাদকে মূল টার্গেটে রেখে মানব সৃষ্ট মতবাদ গুলো হারাম জেনেই কোন কোন জায়গায় গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ইসলাম  দ্বীন প্রতিষ্ঠার অনুকূলে পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তাদের সাথে কাজ করা লাগতে পারে। কিন্তু জিহাকেই একমাত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠার অবলম্বন মাথায় রাখতে হবে। জিহাদের পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই গনতন্ত্রকে হারাম জেনেই বার বার মনে মনে তাবা  সর্বক্ষন আল্লাহর নিকট সহায়তা কামনা করে গনতন্ত্র  মানব সৃষ্ট পদ্ধতি গুলোকে জিহাদের দিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যেতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক ইসলাম দল আছে জিহাদের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা না ভেবে গনতন্ত্রকেই ইসলামি করনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ রুপে ভুল। 

আল্লাহর দেয়া পদ্ধতি ব্যতিত আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা কখনোই সম্ভব না এবং অন্য পদ্ধতিকে ইসলামি করনের চেষ্ট কাকের শরীরে ময়ূরের পালক লাগানোর মত বোকামী  হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না।

ডা.বশির আহাম্মদ, চিকিৎসক, জার্নালিস্ট  আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...