"ইসলামি রাজনীতি ব্যতীত অন্য রাজনীতি করা মুসলমানের জন্য শুধু হারামই নয়,আল্লাহর সাথে সরাসরি যুূ্দ্ধ ঘোষনার শামীল"
“আমি তোমাদের কাছে যা রেখে যাচ্ছি, যত দিন তোমরা সেগুলো আঁকড়ে ধরে রাখবে, পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসুলের সুন্নাত।
হে লোকেরা! শয়তান এ ব্যাপারে নিরাশ হয়েছে, সে তোমাদের দেশে আর উপাসনা পাবে না। কিন্তু সাবধান! অনেক এমন বিষয়কে তোমরা ক্ষুদ্র বলে জ্ঞান করো, অথচ শয়তান তারই মাধ্যমে তোমাদের সর্বনাশ করে ছাড়ে। সে বিষয়গুলো সম্পর্কে খুবই সাবধান থাকবে।"
এখানে দেশ বলতে একটি সার্বভৌম ইসলামি খিলাফতি রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছে, আর হারিয়ে যাওয়া ইসলামি খিলাফতি রাষ্ট্র কায়েমের মুল শক্তি হলো ইসলামি রাজনীতি বা ইনসাফ ভিত্তিক রাজনীতি।
আজকে আমরা আল্লাহ্র বাণী ভূলে গিয়ে শয়তানের আনূগত্য করছি, অথচ আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন :-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ
আপনার নেতা হতে পারে তিনি হয়ত নামায, রোযা, হজ্জ্ব, যাকাত সবই আদায় করছেন,এমন কি কোনো একটি ইসলামি রাজনৈতিক দলের আমীর কিন্তু ব্যাক্তিজীবনে ইসলাম মানবো আর রাজনৈতিক আদর্শ ও জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে মানব সৃষ্ট মতবাদের আনুসারী হব এমন ব্যাক্তিদের আল্লাহ্ হুসিয়ার করে দিয়ে বলেনঃ
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ ۚ فَمَا جَزَاءُ مَن يَفْعَلُ ذَٰلِكَ مِنكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَىٰ أَشَدِّ الْعَذَابِ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
" তাহলে কি তোমরা কিতাবের একটি অংশের ওপর ঈমান আনছো এবং অন্য অংশের সাথে কুফরী করছো? তারপর তোমাদের মধ্য থেকে যারাই এমনটি করবে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কি হতে পারে যে, দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত হবে এবং আখেরাতে তাদেরকে কঠিনতম শাস্তির দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে? তোমাদের কর্মকান্ড থেকে আল্লাহ বেখবর নন।"(আল বাকারাহ, ৮৫)
আজকে আমরা আল্লাহ্র বাণী ভূলে গিয়ে শয়তানের আনূগত্য করছি, অথচ আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন :-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ
" হে ঈমানদারগণ! আনুগত্য করো আল্লাহর এবং আনুগত্য করো রাসূলের আর আর তোমাদের উপর দায়িত্বশীলের।" (আন্ নিসাঃ ৫৯)
এখন আপনি যে নেতার আনুগত্য করছেন তিনি কি আল্লাহ্ এবং রাসূলের আনুগত্য করছেন ? তিনি যে রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী সেটা কি আল্লাহ্ ও রাসূল (সঃ) নির্দেশিত পথে? এ আয়াতে খিলাফতের আমীরের আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে, কোনো পীর-মুর্শেদ কিংবা নেতার আনুগত্যের কথা বলা হয় নি।
এখন আপনি যে নেতার আনুগত্য করছেন তিনি কি আল্লাহ্ এবং রাসূলের আনুগত্য করছেন ? তিনি যে রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী সেটা কি আল্লাহ্ ও রাসূল (সঃ) নির্দেশিত পথে? এ আয়াতে খিলাফতের আমীরের আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে, কোনো পীর-মুর্শেদ কিংবা নেতার আনুগত্যের কথা বলা হয় নি।
আপনার নেতা হতে পারে তিনি হয়ত নামায, রোযা, হজ্জ্ব, যাকাত সবই আদায় করছেন,এমন কি কোনো একটি ইসলামি রাজনৈতিক দলের আমীর কিন্তু ব্যাক্তিজীবনে ইসলাম মানবো আর রাজনৈতিক আদর্শ ও জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে মানব সৃষ্ট মতবাদের আনুসারী হব এমন ব্যাক্তিদের আল্লাহ্ হুসিয়ার করে দিয়ে বলেনঃ
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ ۚ فَمَا جَزَاءُ مَن يَفْعَلُ ذَٰلِكَ مِنكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَىٰ أَشَدِّ الْعَذَابِ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
" তাহলে কি তোমরা কিতাবের একটি অংশের ওপর ঈমান আনছো এবং অন্য অংশের সাথে কুফরী করছো? তারপর তোমাদের মধ্য থেকে যারাই এমনটি করবে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কি হতে পারে যে, দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত হবে এবং আখেরাতে তাদেরকে কঠিনতম শাস্তির দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে? তোমাদের কর্মকান্ড থেকে আল্লাহ বেখবর নন।"(আল বাকারাহ, ৮৫)
প্রিয় ভাইয়েরা, এই আয়াতে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে ব্যক্তি পূজা ও মানব সৃষ্ট মতবাদের ধারক হয়ে যতই ঈমান আর আমল হাসিল করুক না কেন সে কঠিন তম জালেম, তাকে আখিরাতে তো শাস্তি দেওয়া হবেই, দুনিয়াতেও লাঞ্চিত করা হবে। আর বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থাও তাই। সরাদিন নামাজ পড়ে, রাতে তাহাজ্জুূ পড়ে আর ভোটের সময় রায় দেয় মানব সৃষ্ট মতবাদ প্রতিষ্ঠার পক্ষে,যার জন্যই মুসলিম জাতি আজ এত লাঞ্চিত।
সয়ং সৌদি আরবে, যেখানে মানুষ যায় পাপ মোচন করতে, ইসলামের সুতিকাগার, দয়াল নবীর মতৃভূমি সেখানকার রাজারা সব কিছুই করে ইসলাম সম্মত কিন্তু রাষ্ট্র চালায় শুধু একনায়ক ভাবে, যার ফলাফল আমাদের সামনেই। জাজিরাতুল আরব যেদিন সৌদি আরব হলো সেদিন হতে মুসলমানদের চোখের পানি আর শুকাচ্ছে না।
মহান আল্লাহ (
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের অনুসারী হয়ো না, কেননা সে তোমাদের সুস্পষ্ট দুশমন। (আল বাকারাহ, ২০৮)
আমরা কি পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ খোঁজে বের করতে পারবো যে পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করতে পেরেছে? আমি নিজেই কি বলতেৃপারব যে আমি পূর্নাঙ্গ ঈমানদার? ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক আমরা সুদি ব্যাংকে লেনদেন করতে হচ্ছে, অফিস আদালতে পর্দা লঙ্ঘন হচ্ছে কারন প্রতিষ্ঠিত খেলাফত নাই এমনকি একটি পুরোপুরি একটি ইসলামি সমাজও পৃথিবীর কোথাও নাই।
আল্লাহ আরো বলেন,
إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ ۗ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِآيَاتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
" ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন–জীবন বিধান। যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল, তারা এ দ্বীন থেকে সরে গিয়ে যেসব বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, সেগুলো অবলম্বনের এছাড়া আর কোন কারণই ছিল না যে, প্রকৃত জ্ঞান এসে যাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পরের ওপর বাড়াবাড়ি করার জন্য এমনটি করেছে। আর যে কেউ আল্লাহর হেদায়াতের আনুগত্য করতে অস্বীকার করে, তার কাছ থেকে হিসেব নিতে আল্লাহর মোটেই দেরী হয় না।"( আলে ইমরান, ১৯)।
মহান আল্লাহ (
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের অনুসারী হয়ো না, কেননা সে তোমাদের সুস্পষ্ট দুশমন। (আল বাকারাহ, ২০৮)
আমরা কি পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ খোঁজে বের করতে পারবো যে পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করতে পেরেছে? আমি নিজেই কি বলতেৃপারব যে আমি পূর্নাঙ্গ ঈমানদার? ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক আমরা সুদি ব্যাংকে লেনদেন করতে হচ্ছে, অফিস আদালতে পর্দা লঙ্ঘন হচ্ছে কারন প্রতিষ্ঠিত খেলাফত নাই এমনকি একটি পুরোপুরি একটি ইসলামি সমাজও পৃথিবীর কোথাও নাই।
আল্লাহ আরো বলেন,
إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ ۗ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِآيَاتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
" ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন–জীবন বিধান। যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল, তারা এ দ্বীন থেকে সরে গিয়ে যেসব বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, সেগুলো অবলম্বনের এছাড়া আর কোন কারণই ছিল না যে, প্রকৃত জ্ঞান এসে যাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পরের ওপর বাড়াবাড়ি করার জন্য এমনটি করেছে। আর যে কেউ আল্লাহর হেদায়াতের আনুগত্য করতে অস্বীকার করে, তার কাছ থেকে হিসেব নিতে আল্লাহর মোটেই দেরী হয় না।"( আলে ইমরান, ১৯)।
এখন আমরা নিজেকে মুসলিম দাবী করি, নিজের দলকে মুসলমান দাবী করি, একমাত্র নিজেকেই যারা হক্বের ডিলার দাবী করি অথচ কোরআনের আলোকে আমরা এখনও পূর্নাঙ্গ মুসলমানই হতে পরি নি, পূর্নাঙ্গ ঈমানই আমরা ধারন করতে পারি নি, অথচ আবেগের ঠেলায় লাফাফালাফির শেষ নাই।। আমরা সুদি লেনদেন করছি রাষ্ট্র ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে, টিভিতে খবর দেখার সময় বেপর্দা নারীর বিজ্ঞাপন দেখছি, আর বলছি এতে আমাদের কি দোষ,ল? এটাতো সমাজ ও রাষ্ট্রের দোষ, আমার কিছু করার নাই বলে ফতোয়া দিয়ে নিজেকে হাক্বানী দাবী করে বসি।
এই ফতোয়া ইঞ্জিনিয়ার একবারও ভাবে না এই যে বুর্জোয়া, হারাম,মানব সৃষ্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা কাদের তৈরী? কারা এই মানব সৃষ্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই মানব সৃষ্ট মতবাদ গুলো এক-দুই দিনে এমনি এমনি ইসলামকে গ্রাস করে নি, করেছে হাজার বছরে। মুসলমান আলেমরা যেদিন হতে দ্বীনের শর্টকাট পদ্ধতি আবিষ্কারের মাধ্যমে তরবারি বিক্রি করে জায়নামাজ কিনেছে সে দিন হতেই ধীরে ধীরে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এসকল বাতিল পদ্ধতি ঢুকে পড়েছে।
এখন এই বাতিল পদ্ধতি ও মানব সৃষ্ট জীবন ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা সরিয়ে যদি ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র কায়েম করতেই হয় তাহলে ইসলামী রাজনীতি ও মুসলমানদের ভূমি রক্ষার আন্দোলনে সকল মুসলমান নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। ইসলামি রাজনীতি করতে হবে, ইসলামী রাজনীতি ছাড়া মানুষের ঈমানই যেখনে পূর্নতা পায়না সেখানে মুসলমানরা অনৈসলামিক রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার সুযোগ কোথায়?বরং ইসলামি রাজনীতি ব্যতিত অন্য রাজনীতি করা বড় কুফুরী। কেননা রাষ্ট্র ব্যবস্থাই মানব জীবনের সব চেয়ে বড় প্রভাবক, আর এই মানব সৃষ্ট পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনা ও তার সহযোগী হওয়া তো সরাসরি আল্লাহর বিধানকে চ্যালেঞ্জ করার সমান।
বর্তমানে মুসলমানরা এই কাজটাই সবচেয়ে বেশী করছে যার কারনে সমগ্র বিশ্বে মুসলিমরা পদলিত হচ্ছে। মুসলমানদের এই পদদলিত হওয়া ভাগ্যের পরিহাস নয় বরং কর্মের ফল। তাই বলি মুসলমানরা ইসলামি রাজনীতি বাদ দিয়ে মানব সৃষ্ট আদর্শের রাজনীতি করা আল্লাহর সাথে সরাসরি যুূ্দ্ধ ঘোষনার শামীল, চরম কুফুরী।আল্লাহ সবাইকে কুফরি হতে বাঁচার তাওফিক দিন(আমিন)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ