"হিজবু তাওহীদের নাস্তিক প্রেম"
১. নাস্তিকরা পরিপূর্ণ ধার্মিক:
হেযবুত তওহীদ নাস্তিকদের ধার্মহীন মনে করেন না, বরং তাদেরকে পরিপূর্ণ ধার্মিক মনে করে থাকে।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
তারা নাস্তিকদের ব্যাপারে লিখতে গিয়ে এক পর্যায়ে লিখেছেন,
‘আমরা তাদেরকে (নাস্তিকদেরকে) ধর্মহীন মনে করি না। কারণ মানুষের পরম ধর্ম ‘মানবতা’ যা তাদের মধ্যে পুরোমাত্রায়ই আছে’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ১১
২।. নাস্তিকরা মুত্তাকি:
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
হেযবুত তওহীদের দাবি হলো, নাস্তিকরাও মুত্তাকি। তারা লিখেছে,
‘অন্যান্য ধর্মে, এমন কি আল্লাহকে অবিশ্বাসকারী নাস্তিক কমিউনিস্টদের মধ্যেও বহু মানুষ আছেন যারা ন্যায়-অন্যায়, ঠিক-অঠিক দেখে জীবনের পথ চলতে চেষ্টা করেন। তারা মিথ্যা বলেন না, মানুষকে ঠকান না, অন্যের ক্ষতি করেন না, যতটুকু পারেন অন্যের ভালো করেন, গরিবকে সাহায্য করেন ইত্যাদি। তারা মুত্তাকী কিন্তু তারা হেদায়েতে নেই’।
সূত্র: তাকওয়া ও হেদায়াহ, পৃ. ৭।
৩।নাস্তিকদের দুঃখ-কষ্ট বুঝা উচিৎ।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
হেযবুত তওহীদ হাসে, যখন নাস্তিকরা হাসে, আবার হেযবুত তওহীদ তখনই কাঁদে, যখন নাস্তিকরা কাঁদে। কারণ তারা তো চোরে চোরে তালতো ভাই। নাস্তিকদের প্রতি হেযবুত তওহীদের দরদ দেখুন। তারা লিখেছে,
‘পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যেকোন ধর্মের মানুষ এমনকি ধর্ম অস্বীকারকারী তথা নাস্তিক ব্যক্তিও যদি দুঃখ-কষ্টের মধ্যে পতিত হয় তবে তার সমপরিমাণ দুঃখ সকলের অনুভব করা উচিত’।
সূত্র: শিক্ষাব্যবস্থা, পৃষ্ঠা. ৮৩।
৪।নাস্তিকদের অধিকার সংরক্ষণ করা জরুরী।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
সময়ের সবচে বড় জালেম ও ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদীরা দিবানিশি ইসলামের মূলে আঘাত করেই চলেছে। তারা ‘কোনো ধর্ম মানেনা’ স্লোগান দিয়ে মূলত ইসলামের শেকড় কাটতেই আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। কিন্তু এই আল্লাহদ্রোহী জাতিটার অধিকার সংরক্ষণ করার মিশনে নেমেছে হেযবুত তওহীদ। তাদের বক্তব্য হলো, নাস্তিকদের নাস্তিকতার স্বাধীনতা আল্লাহই দিয়েছেন। অতএব মুসলমানদের উচিৎ তাদের এ স্বাধীনতা সংরক্ষণ করা। নাউযুবিল্লাহ। কী লিখেছে দেখুন-
‘নাস্তিক বা আস্তিক যে কোনোটি হওয়ার স্বাধীনতা আল্লাহই মানুষকে দিয়েছেন ।তাই যারা বিশ্বাস করেন যে নিখুঁত সৃষ্টি আছে,কিন্তু তার কোন স্রষ্টা নেই,তাদের এই বিশ্বাস করার স্বাধীনতা( Freedom of thinking) সংরক্ষণ করাও একজন প্রকৃত ধার্মিকের কর্তব্য। আল্লাহ যখন মেঘমালা থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন সেই বৃষ্টি ধার্মিকের বাড়িতেও পড়ে,আল্লাহদ্রোহীর বাড়িতেও পড়ে।আল্লাহ প্রদত্ত কোনো নেয়ামত থেকেই তারা কেউ বঞ্চিত হয় না,বৈষম্যের শিকারও হয় না। সুতরাং আল্লাহর এই উদারতা ধার্মিকেরও অনুসরণীয়’।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই, (পৃষ্ঠা. ১৩ /১৪)
‘ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি করে প্রগতি ও মুক্তচিন্তার সকল পথ রুদ্ধ করেছে। শিল্প সংস্কৃতির চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে’।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই, পৃষ্ঠা. ৩
‘আমরা মনে করি যারা নাস্তিক তারাও মানুষ। সুতরাং মানুষ হিসেবে যে অধিকার একজন আস্তিক পেতে পারে, একজন নাস্তিকও তাই পাবে’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলা।
৫।নাস্তিকদের প্রতি হেযবুত তওহীদ আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
মানবতার সেবায় যারা নিয়োজিত, সেসব নাস্তিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তৃপ্তি ঢেকুর তোলেন হেযবুত তওহীদ। তারা লিখেছে,
‘মানবতার কল্যাণে যারা নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে বিপ্লবের অগ্নিময় পথকে সঙ্গী করে জীবন কাটিয়ে গেছেন, আমরা হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই, যদিও তারা অনেকেই হয়তো নাস্তিক ছিলেন’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃষ্ঠা. ১১।
৬।ডানপন্থীরা সমাজকে পশুর সমাজে বানিয়েছে।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
বামপন্থি ও নাস্তিকরা সব সময় ডানপন্থীদের ব্যাপারে বলে থাকে, ডানপন্থীদের মাধ্যমে জাতির কোনো উপকার হবে না, বরং দেশ পিছনে পড়ে যাবে। আর এদিকে হেযবুত তওহীদ তো আরও কঠিন ভাষায় লিখেছে,
‘ডানপন্থীদের দ্বারা ভুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে মানুষের সমাজকে পশুর সমাজে পরিণত করছে’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ৯
ইসলাম কী বলে?
বামপন্থি ও নাস্তিকরা ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে হরদম কটুক্তি করে থাকে। হেযবুত তওহীদও সে কর্মপন্থা বাদ দেননি। তারা বর্তমানে নাস্তিকদের খুশি রাখতে গিয়ে ডানপন্থিদের বিরোধীতা করছে, কিন্তু তাদের আত্মার এমাম পন্নী সাহেব বামপন্থিদের সন্ত্রাসী বলে জানতেন, পন্নী সাহেব লিখেছিলেন,
‘একটি অপরাধ না করা হিজবুত তাওহীদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ (মিডিয়া) পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তার তুলনায় ঐ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী বামপন্থী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে তার শতকরা এক ভাগ প্রচারও তারা চালায়নি’।
সূত্র: যামানার এমামের পত্রাবলী, পৃ. ৫৪।
৭।বামপন্থীরা ডানপন্থীদের থেকে অনেক এগিয়ে।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
বর্তমানের হেযবুত তওহীদের কাছে সমাজ পরিবর্তনে বামপন্থীরা ডানপন্থিদের থেকে অনেক এগিয়ে। তারা বুঝাতে চায় মানুষ হিসাবে ডানপন্থীদের তুলনায় বামপন্থীরা অনেক এগিয়ে আছে। তারা লিখেছে,
‘সেই বিকৃত ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াই প্রতিটি বোধসম্পন্ন মানুষের অবশ্যকর্তব্য। সে দিক থেকে ডানপন্থী রাজনীতির দাবিদারদের থেকে মানুষ হিসেবে বামপন্থীরা এগিয়ে আছেন’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ৯।
৮।বামপন্থিদের অবজ্ঞা করা যাবে না।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
যারা ইসলামকে অবহেলা ও অবজ্ঞা করে থাকে, সেই বামপন্থীদেরকে হেযবুত তওহীদরা অবজ্ঞা করতে পারেন না। তারা লিখেছে,
‘যারা রাসুলুল্লাহকে নিজেদের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন তাদের অনুভূতিকে অবজ্ঞা করার কোন উপায় নেই। ঠিক একইভাবে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির অভিলাষী বাম আদর্শকেও আমরা অবজ্ঞা করতে পারিনা’।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই, পৃষ্ঠা. ১০।
৯।নাস্তিকদের জন্য ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া যুক্তিসঙ্গত।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
কুকুরের মধ্যে আর ধর্মহীন মানুষের মধ্যে আদতে কোনো তথাৎ নেই। কারণ কুকুরের যেমন কোনো ধর্ম নেই, ধর্মহীনদেরও তেমন ধর্ম নেই। ঠিক তেমনিভাবে কুকুর যেন স্বাধীন ও মুক্তমনা, ঠিক তদ্রুপ নাস্তিকরাও স্বাধীন ও মুক্তমনা। সভ্য মানুষের জন্য এভাবে মুক্ত হওয়া কখনই উচিৎ নয়, যুক্তিসঙ্গত নয়। কিন্তু হেযবুত তওহীদ নাস্তিকদের এহেন কাজকে বৈধতা দিয়ে দিচ্ছে পাইকারি দরে। হেযবুত তওহীদ বুঝাতে চায়, পৃথিবীর সব ধর্ম বিকৃত ও কুপমন্ডুকতা। এই কুপমন্ডুকতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া যুক্তিসঙ্গত। তারা লিখেছে,
‘অনেক যুক্তিশীল মানুষ ধর্মের নামে চলা এই কুপমন্ডুকতাকে মেনে নিতে না পেরে পুরোপুরি ধর্মবিদ্বেষী হয়েছেন’।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয়, পৃ. ৫৯
‘আমরা দেখেছি বাম আদর্শের অনুসারীরা মূলত ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধত্ব থেকে নিজেদের মননকে মুক্ত করতে সচেষ্ট। বর্তমানে পৃথিবীতে বিরাজিত সবগুলো ধর্মই যখন বিকৃত হয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের পণ্যে পরিণত হয়েছে, সেগুলো সাম্প্রদায়িক উগ্রপন্থীদের দ্বারাই এবং তথাকথিত ডানপন্থীদের দ্বারা ভুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে মানুষের সমাজকে পশুর সমাজে পরিণত করছে, সেই বিকৃত ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াই প্রতিটি বোধসম্পন্ন মানুষের অবশ্যকর্তব্য’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ৯
‘বিকৃত ধর্মের আঘাতে জর্জরিত ক্লান্ত মানুষ এমন স্বপ্ন দেখতে বাধ্য হচ্ছে’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৬১।
১০।লেলিন, কালমার্কস, মাও সেতুংদের ধর্ম বিরোধীতা ঠিক ছিলো।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
হেযবুত তওহীদ সময়ের ভাইরাল নাস্তিকদের ব্যাপারেও খুব পজেটিভ আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তারা ইসলামের চরম দুশমন লেলিন, কালমার্কস, মাও সেতুংদের ধর্ম বিরোধীতা ঠিক ছিলো বলে দাবি করে লিখেছে,
‘তোমরা এই মুক্তির বাণী নিয়ে, এই সাম্যের বাণী এই মুক্তির গান নিয়ে তোমরা কেন সেখানে গেলে না? যখন তোমরা যেতে ব্যর্থ হয়েছ তখন তোমাদের ধর্ম তাদের কাছে আবেদন হারিয়েছে। এই দোষ কি লেলিন, কালমার্কস মাও সেতুংদের? কাজেই শত্রুতা করে কোন লাভ নেই’।
সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষণ, পৃ. ২০
‘প্রচলিত ধর্মগুলোর অসারতা ধর্মের ধারক-বাহকদের অন্ধত্ব দেখেই ধর্মকেই অবাঞ্চিত ঘোষণা করলেন মার্কস। বললেন জনগণের সুখলাভের প্রথম শর্ত হল ধর্মের বিলোপ সাধন করতে হবে। মানুষ ধর্মের বিকৃতরুপের অসারতা ও কুফল বুঝতো তাই এই বক্তব্যের যুক্তি খুঁজে পেল’।
১১।আব্রাহাম লিংকন মুক্তির বানী এনেছিলেন।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
আব্রাহাম লিংকনের ব্যাপারে হেযবুত তওহীদের বক্তব্য হলো,
‘মানুষের সমস্যা সমাধানে ধর্মের ধারক-বাহকরা সমাধান না নিয়ে আসায় মুক্তির বাণী নিয়ে আসলেন লিংকন আসলেন জেফারসন আসলেন ওয়াশিংটন তাদেরকে ইসলামের পন্ডিত আলেম-ওলামারা কাফের নাস্তিক বলে গালিগালাজ করেন’।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে, পৃ. ১১।
১২।হুমায়ুন আজাদের ধর্মের বিরোধীতা করে ভুল করেননি।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
বাঙ্গালী ইতিহাসের পাতায় এক নোংড়া লম্পট ও নাস্তিকের নাম হুমায়ুন আজাদ। তার নাস্তিকতা ও লাম্পট্য ইতিহাস দেখতে তার লেখা ‘আমার ধর্মবিশ্বাস’ ‘মাতাল তরুনী’ ইত্যাদী বইগুলো পড়লে ঘৃণায় থু আসে। কিন্তু এই সর্বনিকৃষ্ট মানুষটা সম্পর্কে হেযবুত তওহীদের কত দরদ জানেন? হেযবুত তওহীদের বক্তব্য হলো, হুমায়ুন আজাদ ধর্মের বিরোধীতা করে ভুল করেননি। তারা লিখেছে,
‘যে ধর্মের উত্থান দেখে হুমায়ুন আজাদ আতঙ্কিত। সেটা আতঙ্কিত হওয়ারই মতো। কারণ সেটা ধর্ম নয়, ধর্মের উল্টোটা’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ১৬৪।
১৩।ইসলামের ব্যার্থতার কারণেই পুঁজিবাদ তৈরি হয়েছে।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
এই ধ্বংসাত্মক পুঁজিবাদী সভ্যতা সম্পর্কে হেযবুত তওহীদের দাবি হলো, ইসলামের ব্যার্থতার কারণেই পুঁজিবাদ তৈরি হয়েছে। তারা লিখেছে,
‘উম্মতে মোহাম্মদী তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় মানুষকে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার একটা বিকল্প ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে হলো এবং সেটা করা হলো এবং স্বভাবতই সেটা ঐ পুঁজিবাদের মতোই হল মানুষ দ্বারা সৃষ্ট এবং সেটার স্রষ্টা হলেন কার্লমার্কস’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ৩১।
১৪।আল্লাহর উপর ঈমান আনা জরুরি নয়:
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
আমি এ কথা বারবার বুঝাতে চাচ্ছি, হেযবুত তওহীদ মূলত নাস্তিকদের দোসর। আর কারণেই হেযবুত তওহীদ এখন নাস্তিকদেরও তাদের দিকে আহ্বান করে যাচ্ছে। তারা বলতে চায়, সবাই হেযবুত তওহীদের ডাকে সাড়া দিন। হেযবুত তওহীদে আসতে ধর্ম মানতে হবে না, এমনকি আল্লাহ তা”আলার উপর বিশ্বাসীও হতে হবে না। তারা লিখেছে,
‘আমরা বলি না যে, আপনারা আল্লাহ বিশ্বাসী হয়ে যান, মো’মেন হয়ে যান, পরকালে বিশ্বাসী হয়ে যান, আল্লাহর প্রতি কে ঈমান আনবে না আনবে সেটা তারা আল্লাহ সঙ্গে বুঝবে। সুতরাং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করানো আমাদের কাজ নয়,আমাদের কাজ আল্লাহর শেষ রসুলের আনীত আকাশের মত উদার, সমুদ্রের মতো বিশাল, দুর্দান্ত গতিশীল ইসলামকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করে মানবজাতিকে শান্তিময়, নিরাপদ, ন্যায়, ও সুবিচারে পূর্ণ একটি জীবন উপহার দেওয়া’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ৫১।
১৫।আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করানো আমাদের কাজ নয়।”
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ: ৫২।হেযবুত তওহীদ কী বলে?
তারা বুঝাতে চায়, মোমেন হওয়ার জন্য একটাই শর্ত মানুষের কল্যানে কাজ করা। মোমেন হওয়ার জন্য ঈমান আনাও শর্ত নয়। তারা লিখেছে,
‘নিজেদের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করে সংগ্রাম করার মধ্যে দিয়েই মোমেন হতে হবে, অন্য কোন পন্থা আল্লাহ দেননি’।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১১৩
‘মানুষের শান্তির লক্ষ্যে কাজ করাই মানুষের প্রকৃত এবাদত। নবী-রাসূল অবতারগণ এ লক্ষ্যেই সংগ্রাম করে গেছেন। এ কাজ যারা করবে তারাই স্রষ্টার সান্নিধ্য ও সন্তুষ্টি পাবে, তারাই প্রকৃত মোমেন বা বিশ্বাসী’।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান, পৃ. ৮৩
সূত্রাপুরে হেযবুত তওহীদ আয়োজীত একটা সম্মেলনে তাদের দ্বিতীয় এমাম হুসাইন সেলিম বিভিন্ন ধর্মের লোকদের উদ্দেশ্য করে বলেন,
‘হে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা! হে হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা! হে খৃষ্টান ধর্মের অনুসারীরা! হে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা! আজ সারা দুনিয়াময় মানবতা বিপর্যস্ত। এই মানুষকে রক্ষার জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন। তাহলে আপনারা হবেন ধার্মিক, আপনার হবেন মো’মেন। আপনারা হবেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা, আপনাদের জন্য জান্নাত -স্বর্গ রয়েছে’।
সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষণ, পৃ. ২১।
১৭।ধর্মগ্রহণ করা জরুরি নয়:
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
হেযবুত তওহীদ মূলত নাস্তিকদের পক্ষো দালালী ঠিক রাখতে গিয়ে ধর্মকে একেবারে মূল্যহীন বানিয়ে ফেলেছে। ধর্মগ্রহণ তাদের কাছে জরুরী কোনো বিষয়ই না। হেযবুত তওহীদের নিন্মোক্ত বক্তব্যের শেষাংশটুকু একটু গভীরভাবে পড়বেন। পারলে ২/৩ বার পড়ুন। তারা কী লিখেছে,
‘কাজেই এই আদর্শের লড়াইয়ে বাম আদর্শের সৈনিকদের কেউ এগিয়ে আসতে হবে আমরা বলছি না যে আপনাকে বিশেষ কোন ধর্মে বিশ্বাসী হতে হবে সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। মানুষকে বাঁচানোর জন্য জঙ্গিবাদ ধর্মব্যবসা স্বার্থের রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করা দরকার মোটিভেশন করা দরকার সেটা ত্যাগী মানুষদেরকে দিয়েই। আমাদের ইহকালের সমস্যা তাই সমাধানটাও ইহকালের হিসেবেই করতে চাই।পবিত্র কোর’আনে আছে যার ইহকাল ভালো তার পরকালও ভালো’।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই, পৃ. ১৪।
১৮।মানবতাবাদী নাস্তিকরাও জান্নাতে যাবে।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
তাদের মূল বক্তব্য হলো, মানবতার কাজ যে করবে সেই ধর্মিক, সেই মুমিন, সেই জান্নাতী। এ ক্ষেত্রে কোনো ধর্ম পালন করা জরুরি নয়। নিন্মে তাদের বক্তব্যগুলো তুলে ধরছি-
এক.
মানবতাই ধর্ম:
‘মানুষের ধর্ম কি? মানুষের ধর্ম হচ্ছে মানবতা। অর্থাৎ যে ব্যক্তি অন্যের দুঃখ কষ্ট হৃদয়ে অনুভব করে এবং সেটা দূর করার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালায় সে-ই ধার্মিক। অথচ প্রচলিত ধারণা হচ্ছে যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট লেবাস ধারণ করে সুরা কালাম, শাস্ত্র মুখস্থ বলতে পারে, নামাজ-রোযা,পূজা, প্রার্থনা করে সে-ই ধার্মিক।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান, পৃ. ৪৫
দুই.
মানবতাবাদীরাই মুমিন:
‘নিজেদের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করে সংগ্রাম করার মধ্যে দিয়েই মোমেন হতে হবে, অন্য কোন পন্থা আল্লাহ দেননি। এই মুমিনের জন্য নামাজ রোজা, হজ্ব, যাকাতসহ ইসলামের অন্যান্য সব আমল’।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান, পৃ. ১১৩
তিন.
মানবতাবাদীরাই শহীদ:
‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা জীবন দেয়, মানবতার কল্যাণে যারা জীবন দেয়, মানুষের মুক্তির জন্য যারা জীবন দেয় তারাই হচ্ছে শহীদ’।
সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষন, পৃ. ১৫
চার.
মানবতার কাজ না করলে সে কাফের:
‘যদি আমার জীবন-সম্পদ মানুষের কল্যাণে ব্যয় না করি, আমি কাফের হয়ে যাব, মো’মেন হতে পারব না’।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয়, পৃ. ৫৪।
পাঁচ.
মানবতার কাজ না করলে সে ধার্মিক নয়:
‘কেউ যদি নামাজ রোজা হজ্ব পূজা-অর্চনা উপাসনা ইত্যাদি নিয়ে দিনরাত ব্যপৃত থাকে, কিন্তু তার ভিতরে মানবতার গুণাবলী না থাকে তাহলে সে প্রকৃত ধার্মিক নয়, আল্লাহর প্রকৃত উপাসক নয়’।
সূত্র: ধর্মবিশ্বাস, পৃ. ১৪
ছয়.
মানবতাবাদী নাস্তিকরাও ধার্মিক:
‘আমরা তাদেরকে ধর্মহীন মনে করি না। কারণ মানুষের পরম ধর্ম ‘মানবতা’ যা তাদের মধ্যে পুরোমাত্রায়ই আছে’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ১১
সাত.
মানবতার কল্যানে কাজ করাই ইবাদত ও জান্নাতের পথ:
‘এখন মানুষকে বোঝাতে হবে- মানবতার কল্যাণে কাজ করাই তোমার প্রকৃত এবাদত, এই এবাদতই আল্লাহর কাম্য, এটা করলেই জান্নাত সুনিশ্চিত’।
সূত্র: জঙ্গীবাদ সংকট, পৃ. ৭৬ ধর্মবিস্বাস, পৃ. ১২
আট.
মানবতাবাদী বামপন্থীরাও জান্নাতী:
‘কাজেই এই আদর্শের লড়াইয়ে বাম আদর্শের সৈনিকদের কেউ এগিয়ে আসতে হবে আমরা বলছি না যে আপনাকে বিশেষ কোন ধর্মে বিশ্বাসী হতে হবে সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। মানুষকে বাঁচানোর জন্য জঙ্গিবাদ ধর্মব্যবসা স্বার্থের রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করা দরকার মোটিভেশন করা দরকার সেটা ত্যাগী মানুষদেরকে দিয়েই। আমাদের ইহকালের সমস্যা তাই সমাধানটাও ইহকালের হিসেবেই করতে চাই।পবিত্র কোর’আনে আছে যার ইহকাল ভালো তার পরকালও ভালো’।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই, পৃ. ১৪
‘এক কথায় মানুষকে সুখ-শান্তি নিরপত্তার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোই মানুষের প্রকৃত এবাদত। এই এবাদত করলে সে পরকালে জান্নাত পাবে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৫১।
নয়.
মানবতাবাদী নাস্তিকরা মুত্তাকি:
‘অন্যান্য ধর্মে, এমন কি আল্লাহকে অবিশ্বাসকারী নাস্তিক কমিউনিস্টদের মধ্যেও বহু মানুষ আছেন যারা ন্যায়-অন্যায়, ঠিক-অঠিক দেখে জীবনের পথ চলতে চেষ্টা করেন। তারা মিথ্যা বলেন না, মানুষকে ঠকান না, অন্যের ক্ষতি করেন না, যতটুকু পারেন অন্যের ভালো করেন, গরিবকে সাহায্য করেন ইত্যাদি। তারা মুত্তাকী’।
সূত্র: তাকওয়া ও হেদায়াহ, পৃ. ৭
অর্থাৎ তারা বুঝাতে চায়, মানবতার কাজ করলেই সে ধার্মিক, মোমেন, শহীদ এবং মানবতার কাজ করলে সে অমুসলিম এমনকি নাস্তিক হলেও সে পরকালে জান্নাত পাবে।
আমাদের ইহকালের সমস্যা তাই সমাধানটাও ইহকালের হিসেবেই করতে চাই।পবিত্র কোর’আনে আছে যার ইহকাল ভালো তার পরকালও ভালো’।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই, পৃ. ১৪।
১৮।নাস্তিকদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যাওয়া অন্যায়।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
তারা নাস্তিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। তাদের কষ্ট ও বিপত হেযবুত তওহীদ একদসই সহ্য করতে পারেনা। এজন্য তারা লিখেছে,
‘অন্য কোন আদর্শের অনুসারীরা ইসলামের সমালোচনা করতেই পারেন….. আল্লাহ স্বয়ং যেখানে তার কোরআন সম্পর্কে সৃষ্টি সম্পর্কে, আয়াত এমনকি তার নিজের সম্পর্কে ভুল সন্ধান করার জন্য আহবান করছেন সেখানে কেউ যদি ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা করে, তার দৃষ্টিতে ধরা পড়া কোন অসঙ্গতি তুলে ধরে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আক্রোশ প্রদর্শন করা, তাকে আক্রমণ করা, তাকে হত্যা করা ইত্যাদি অবশ্যই অন্যায্য ও প্রগতিশীল, ক্ষুদ্রতা,অযৌক্তিক, আল্লাহর অভিপ্রায় বহির্ভূত কাজ’।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই, পৃষ্ঠা. ১২
অর্থাৎ তারা বলতে চায়, ইসলাম নিয়ে কেউ সমালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেও অন্যায়।
১৯।হেযবুত তওহীদ কী বলে?
ধর্মহীন সমাজ বিনির্মানে নাস্তিকরা প্রচলিত ধর্মগুলোর ব্যাপারে বেশ কিছু অভিযোগ করে থাকে। ঠিক একই অভিযোগগুলো হেযবুত তওহীদও করেছে। চলুন নিন্মে কয়েকটা উদহরণ হিসাবে পেশ করি।
এক.
সকল সমস্যার মূল হলো ধর্ম:
নাস্তিকরা পৃথিবীর সকল সমস্যার মূল হিসাবে মনে করে ধর্মকে। ঠিক একই দাবি করেছে হেযবুত তওহীদ। তারা লিখেছে,
‘চলমান দুনিয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে বড় বড় সমস্যাগুলো বিরাজ করছে সেগুলোর উৎপত্তি ধর্মকে কেন্দ্র করেই। ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনের প্রসঙ্গে এখানে আসছি না, তবে সেখানেও যাবতীয় সংকটের প্রধান কারণ যে ধর্ম একটু ভেবে দেখলে সকলে তা বুঝতে সক্ষম হবেন’।
সূত্র: জঙ্গিবাদ সংকট, পৃ. ৬৬
দুই.
ধর্মগুলো অশান্তির কারণ:
নাস্তিকরা পৃথিবীময় অশান্তির মূল কারণ হিসাবে দাঁড় করিয়ে দেয় ধর্মকে, ঠিকই একই অভিযোগ হেযবুত তওহীদও করে লিখেছে,
‘প্রচলিত ধর্ম গুলোই মানুষের জীবনে অনেকাংশে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে’।
সূত্র: ধর্মবিশ্বাস, পৃ. ৫ জঙ্গিবাদ সংকট, পৃ. ৬৭
তিন.
ধর্মগুলোর কারণে রক্তপাত হচ্ছে:
নাস্তিকরা ধর্মের উপর অভিযোগ করে বলে থাকে, ধর্মের কারণে মারামারি ও রক্তপাত হয়। ঠিক একই অভিযোগ করে থাকে হেযবুত তওহীদও। তারা লিখেছে,
‘ধর্মের নামে যে পরিমাণ রক্তপাত হয়েছে তেমনটা আর কোনো কারণে হয়নি’।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে, পৃ. ৭২
চার.
ধর্ম থেকে জঙ্গিবাদ তৈরি হয়:
নাস্তিকদের অভিযোগ হলো, ধর্মের কারণে জঙ্গিবাদ তৈরি হয়, হেযবুত তওহীদ আরও জঘন্য ভাষায় বলেছে,
‘ধর্ম থেকে জন্ম নিচ্ছে জঙ্গিবাদ ফতোয়াবাজি সাম্প্রদায়িকতা হুজুগে উম্মাদনা, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি ইত্যাদি বহুবিধ ক্ষতিকারক রোগজীবাণু, প্যারাসাইট’।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে, পৃ. ১৩৯
পাঁচ.
ধর্মগুলো বিষাক্ত:
নাস্তিকরা ধর্মকে বিষবৃক্ষ বলে দাবি করে থাকে। ঠিক একই অভিযোগ তুলেছে হেযবুত তওহীদও। তারা লিখেছে,
‘ধর্ম থেকে ধর্ম ব্যবসার মাধ্যমে এর প্রাণকে নিংড়িয়ে নিয়ে বের করে নেওয়া হয়েছে, ফলে বর্তমানে প্রতিটি ধর্মই বিষে পরিণত হয়েছে। খাদ্য হিসেবে মানুষকে সেই বিষাক্ত বর্জ্যই গেলানো হচ্ছে।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে, পৃ. ১৩৯।
ছয়.
ধর্মগুলো আফিম:
নাস্তিকরা ধর্মকে আফিম বলে কটাক্ষ করে থাকে। ঠিক সে কথাটিই সত্যায়ণ করে থাকে হেযবুত তওহীদ। তারা লিখেছে,
‘কাল মার্কস পৃথিবীর দিকে চেয়ে যে ধর্ম’গুলো তখন দেখলেন সে গুলোকে তিনি আফিম আখ্যা দিয়েছিলেন সে জন্য তাকে কিছুমাত্র দোষ দেই না। তিনি একেবারে সত্য কথা বলেছিলেন’।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে, পৃ. ১৭
‘কাল মার্চ সকল ধর্মকে আফিম বলেছেন। সেজন্য তাকে কিছুমাত্র দোষ দেই না, তিনি একেবারে সত্য কথা বলেছিলেন। কারন পৃথিবীতে কোন ধর্ম অবিকৃত ছিল না’।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম, পৃ. ৬০
সাত. সমস্যার সমাধান কোন ধর্মে নেই:
নাস্তিকরা বলে কোনো ধর্ম দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়। ঠিক একই কথা হেযবুত তওহীদও লিখেছে,
‘মানুষের আত্মিক এবং মানসিক পরিশুদ্ধির এই প্রশিক্ষণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা গুলির মধ্যে নেই, ধর্ম গুলির মধ্যে অনুপস্থিত’।
সূত্র: ধর্ম বিশ্বাস, পৃ. ১৫
সুতরাং বুঝা গেলো, মুখে মুখে ধর্মের কথা বললেও মূলত হেযবুত তওহীদ ধর্মহীন সমাজ গঠনে নাস্তিকদের পূর্ণ অনুসারী। হেযবুত তওহীদও নাস্তিকদের মত জাতিকে নাস্তিক্যবাদের মানবধর্মের দিকে আকৃষ্ট করে যাচ্ছে। সে হিসাবে ধর্মহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় হেযবুত-নাস্তিক ভাই ভাই’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ