expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫

পৃথিবী স্থিতিশীল না গতিশীল, কোরআন সত্য না বিজ্ঞান সত্য?

পৃথিবী স্থিতিশীল না গতিশীল,  কোরআন সত্য না বিজ্ঞান সত্য?

ছবি

প্রশ্নঃ
কোরআনের দাবি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে, বিজ্ঞান বলে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘূরছে। কোরআন সত্য না বিজ্ঞান সত্য? কোরআন আর প্রমানিত বিজ্ঞান কি পরস্পর সাংঘর্ষিক? 


উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তর জানতে ও বুঝতে হলে পাঠকরা আগেই কিছু বিষয় পরিস্কার ভাবে ধারনা থাকতে হবে। 

আর বিষয় গুলো হলো-
১। কোরআনের পরিভাষা ও আয়াতের পরিভাষা: অর্থাদ কোরআন শুধু মহাজ্ঞানের সমষ্টিই নয়, ইহা একটি সর্বকালে শ্রেষ্ঠ সাহিত্য ও কাব্যিক বৈশিষ্ট্য পূর্ণ সত্যবানীও বটে।

২। জোতির্বিজ্ঞান: 
গ্রহ, নক্ষত্র, আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি, সময়, মানমন্দির, সৌরজগতে গ্রহ ও নক্ষত্রের অবস্থান ও গতিবিধি এসব কিছু জানতে হবে।

৩। পদার্থ বিজ্ঞান: গতি বিদ্যা, স্থিতি বিদ্যা, দ্রুতি, গতি,আপেক্ষিক গতি ও আপেক্ষিক স্থিতি এসব কিছু জানতে হবে।

উপরের সব গুলো বিষয়ের উপর পরিস্কার ধারনা নেওয়ার পর আমার এই প্রতিবেদনটি পড়লে ১০০% বুঝতে সক্ষম হবেন। অন্যথায় আন্দাজে ফতোয়া দিয়ে বসবেন না, কেননা এদেশের নাস্তিক গুলা যেমন কোরআন ও হাদিসের বিষয়ে না জেনে তাদের পূর্বসূরীদের প্রেসক্রিপশন দেওয়া চটি বই পড়ে নাস্তিক হয় যাদের শতকরা ৯৮% মানবিক কিংবা ব্যবসা শিক্ষা শাখার ছাত্র হয়,অর্থাদ নাস্তিকদের ২% এরও কম বিজ্ঞান শিক্ষিত হয় না তেমনি আমাদের মুসলমানদের আলেমদের অবস্থা আরো খারাপ, তারা কোরআন হাদিস পড়লেও বিজ্ঞানের ধারে কাছেও যায় না। আলেমদের মধ্যে ১%ও বিজ্ঞান শিক্ষিত নাই। মোদ্দা কথা হলো আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষার দৃষ্টিতে আলেমরা ১০০% অজ্ঞ। 

অথচ এই আল কোরআন এমন একটা বিজ্ঞানময় আল্লাহর বানী যা যতই বিজ্ঞানের উন্নতি সাধিত হবে ততই কোরআন অক্ষরে অক্ষরে প্রমানিত হবে।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়,  আলেম জানে না বিজ্ঞান আর নাস্তিকরা না জানে কোরআন আর না জানে বিজ্ঞান।  তাই আলেম ও মূর্খ নাস্তিক উভয় পক্ষই গোঁজামিলের সাহায্যে তর্ক করে, আদতে কোন পক্ষই সত্যের  খোঁজ পায় না।

এবার আসুন মূল আলোচনায়। নাস্তিকদের দাবী কোরআন বলছে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে আর আধুনিক বিজ্ঞান বলে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে।  এই নিয়ে দন্দ চলছে৷ আলেমরা সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে মর্মে বিভিন্ন দলিল পেশ করে, যে গুলো দেখে নাস্তিকরা মজা করে।

সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী নিয়ে কোরআনের মোট ৩৪ জায়গায় সরাসরি আলোচনা কীরা হয়েছে এবং রুপক অর্থে আরো কয়েক জায়গায় আলোচনা করা হয়েছে।

এই ৩৪ জায়গায় কোথায়ও সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে মর্মে সরাসরি বলা হয় নি। যদি কোরআনের কোথায়ও সরাসরি সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘূরছে মর্মে বলা হয় নি।  সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে এমন দাবি কোরআন সরাসরি করে থাকলে আমাকে দেখান, কিন্তু কেউ পারবেন না। রুপক আয়াতের অর্থ এখানে এনে বিতর্ক সৃষ্টি করলে এটা হবে মিথ্যা।



যেসকল রুপক আয়াতের অর্থ বিকৃত করে নাস্তিকরা এই বিষয়ে প্যাঁচাল বাজায় তার কয়েকটি উদাহরন দিয়ে নেই তার পর বৈজ্ঞানিক আলোচনায় যাব।

১।

وَ هُوَ الَّذِیْ خَلَقَ الَّیْلَ وَ النَّهَارَ وَ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ١ؕ كُلٌّ فِیْ فَلَكٍ یَّسْبَحُوْنَ

আর আল্লাহই রাত ও দিন তৈরি করেছেন এবং সূর্য ও চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন, প্রত্যেকেই এক একটি কক্ষপথে সাঁতার কাটছে।

২।সূরা ইয়া-সীন, আয়াত: ৩৮

وَ الشَّمْسُ تَجْرِیْ لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا١ؕ ذٰلِكَ تَقْدِیْرُ الْعَزِیْزِ الْعَلِیْمِؕ

আর সূর্য, সে তার নির্ধারিত গন্তব্যের দিকে ধেয়ে চলছে। এটি প্রবল পরাক্রমশালী জ্ঞানী সত্তার নিয়ন্ত্রিত হিসেব।

৩।সূরা ইয়া-সীন, আয়াত: ৪০

لَا الشَّمْسُ یَنْۢبَغِیْ لَهَاۤ اَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَ لَا الَّیْلُ سَابِقُ النَّهَارِ١ؕ وَ كُلٌّ فِیْ فَلَكٍ یَّسْبَحُوْنَ

না সূর্যের ক্ষমতা আছে চাঁদকে ধরে ফেলে এবং না রাত দিনের ওপর অগ্রবর্তী হতে পারে, সবাই এক একটি কক্ষপথে সন্তরণ করছে।

৪।সূরা:  আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ২৫৮

اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِیْ حَآجَّ اِبْرٰهٖمَ فِیْ رَبِّهٖۤ اَنْ اٰتٰىهُ اللّٰهُ الْمُلْكَ١ۘ اِذْ قَالَ اِبْرٰهٖمُ رَبِّیَ الَّذِیْ یُحْیٖ وَ یُمِیْتُ١ۙ قَالَ اَنَا اُحْیٖ وَ اُمِیْتُ١ؕ قَالَ اِبْرٰهٖمُ فَاِنَّ اللّٰهَ یَاْتِیْ بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَاْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ فَبُهِتَ الَّذِیْ كَفَرَ١ؕ وَ اللّٰهُ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَۚ

তুমি সেই ব্যক্তির অবস্থা সম্পর্কে চিন্তা করোনি, যে ইবরাহীমের সাথে তর্ক করেছিল? তর্ক করেছিল এই কথা নিয়ে যে, ইবরাহীমের রব কে? এবং তর্ক এ জন্য করেছিল যে, আল্লাহ‌ তাকে রাষ্ট্রক্ষমতা দান করেছিলেন। যখন ইবরাহীম বললোঃযার হাতে জীবন ও মৃত্যু তিনিই আমার রব। জবাবে সে বললোঃ জীবন ও মৃত্যু আমার হাতে। ইবরাহীম বললোঃ তাই যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে, আল্লাহ‌ পূর্ব দিক থেকে সূর্য উঠান, দেখি তুমি তাকে পশ্চিম দিক থেকে উঠাও। একথা শুনে সেই সত্য অস্বীকারকারী হতবুদ্ধি হয়ে গেলো কিন্তু আল্লাহ‌ জালেমদের সঠিক পথ দেখান না।

৫।৬সূরা: আল-আনয়াম, আয়াত: ৯৬

فَالِقُ الْاِصْبَاحِ١ۚ وَ جَعَلَ الَّیْلَ سَكَنًا وَّ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ حُسْبَانًا١ؕ ذٰلِكَ تَقْدِیْرُ الْعَزِیْزِ الْعَلِیْمِ

রাতের আবরণ দীর্ণ করে তিনিই ফোটান উষার আলো। তিনিই রাতকে করেছেন প্রশান্তিকাল। চন্দ্র ও সূর্যের উদয়াস্তের হিসেব তিনিই নির্দিষ্ট করেছেন। এসব কিছুই সেই জবরদস্ত ক্ষমতা ও জ্ঞানের অধিকারীর নির্ধারিত পরিমাপ।

৭।সূরা: ইউনুস, আয়াত: ৫

هُوَ الَّذِیْ جَعَلَ الشَّمْسَ ضِیَآءً وَّ الْقَمَرَ نُوْرًا وَّ قَدَّرَهٗ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوْا عَدَدَ السِّنِیْنَ وَ الْحِسَابَ١ؕ مَا خَلَقَ اللّٰهُ ذٰلِكَ اِلَّا بِالْحَقِّ١ۚ یُفَصِّلُ الْاٰیٰتِ لِقَوْمٍ یَّعْلَمُوْنَ

তিনিই সূর্যকে করেছেন দীপ্তিশালী ও চন্দ্রকে আলোকময় এবং তার মঞ্জিলও ঠিকমত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যাতে তোমরা তার সাহায্যে বছর গণনা ও তারিখ হিসেব করতে পারো। আল্লাহ‌ এসব কিছু (খেলাচ্ছলে নয় বরং) উদ্দেশ্যমূলকভাবেই সৃষ্টি করেছেন। তিনি নিজের নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে পেশ করেছেন যারা জ্ঞানবান তাদের জন্য।




এরকম মোট ৩৪ জায়গায় চন্দ্র, সূর্য, পৃথিবী, দিন রাতের আবর্তন ও গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে আল কোরআনে আলোচনা করা হয়েছে, কিন্তু কোথাও সরাসরি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে এমন দাবিতো করা হয় নি, তাইলে নাস্তিকরা কোথায় হতে এমন আজগুবী তথ্য পেলো আমার জানার খুব ইচ্ছা।

কোরআনের এই ৩৪টি জায়গায় চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ ও নক্ষত্র আল্লাহর হুকুম মেনে আপন আপন কক্ষপথে আবর্তনের মাধ্যমে স্রষ্টার হুকুম পালন ও তাঁকে এই হুকুম পালনের মাধ্যমেই সিজদা করার কথা বলা হয়েছে।

কোথাও দিন ও রাতের আবর্তনের কথা বলা হয়েছে, কোথাও দিন রাতও যে আল্লাহর সৃষ্ট মহাকালে নীতি অনুযায়ী আল্লাহর হুকুম পালন করে সে কথা বলা হয়েছে, কিন্তু কোথাও তো সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে এমন দাবী পাওয়া যায় নি, বরং বলা হয়েছে সকল গ্রহ ও নক্ষত্র এবং উপ গ্রহ গুলো আপন আপন ক্ষপথে আবর্তনশীল বলে জানানো হয়েছে যা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে ১০০% মিল। 

সূর্য তার আপন কক্ষপথ বরাবর আপন গ্যালাক্সিতে নির্দ্দিষ্ট পথে চলমান, পৃথিথিবী সহ সকল গ্রহ নিজ নিজ কক্ষপথে নির্দিষ্ট পথে ধাবমান,পৃথিবীও একটি গ্রহ মাত্র। উপগ্রহ চন্দ্রের বেলায়ও একই নিয়ম। গ্যালাক্সি গুলো এক একটি ছায়াপথে আবর্ত মান যাদের শেষ গন্তব্য কৃষ্ণ গহ্বর।

আধুনিক বিজ্ঞান যা বলেছে,  কোরআনও তো তাই বলেছে ১৪০০ বছর আগে, কৈ এখানে তো কোরআন ও বিজ্ঞানের কোন সাংঘর্ষিক দাবি নাই।

এখন আবার অনেক আলেম প্রশ্ন করে আমাকে গালিগালাজ করবে যে পৃথিবীকে ঘুরছে মর্মে প্রমান করতে পারবেন? তো প্রমান করতে না পারলে পৃথিবী স্থিতিশীল,  চন্দ্র ও সূর্য ঘূর্নায়মান এটাই ঠিক।আপনাদের এই দাবীটিও ভুল।

এটা বুঝতে হলে গতি ও স্থিতি বুঝতে হবে। পদার্থ বিজ্ঞানের মতে দুনিয়ায় কোন কিছুই স্থিতিশীল নয়, সব কিছুই গতিশীল এমন কি গ্রহ, নক্ষত্র ও গ্যালক্সি গুলোও আপন আপন গতিতে ধাবমান। কোরআনও তাই বলে।

স্থিতি: 
কোন বস্তু যদি তার আসপাশের কোন বস্তুর সাথে সময়ের নিরিক্ষে স্থান পরিবর্তন না করে তাকে স্থিতি বলে।যেমন, প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়ে থাকা কোন ট্রেন প্লাটফর্মের স্বাপেক্ষে স্থিতিশীল। 

গতি: 
কোন বস্তু অপর একটি বস্তুর সাপেক্ষে সময়ের নিরিক্ষে যদি স্থান পরিবর্তন করে তবে তাকে গতি বলে। যেমন চলন্ত ট্রেন প্ল্যাটফর্মের স্বাপেক্ষে গতিশীল।

সহজে বুঝার জন্য এই ঘটনাটি খেয়াল করুন, কোন ব্যক্তি যদি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকে তাইলে প্ল্যাটফর্মের স্বাপেক্ষে সে স্থিতিশীল।  আবার প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির স্বাপেক্ষে চলন্ত ট্রেন গতিশীল এবং চলন্ত ট্রেনে বসে থাকা যাত্রীও গতিশীল। আবার চলন্ত ট্রেনের যাত্রী ট্রেনে বসে থাকা অবস্থায় স্থিতিশীল কেননা ট্রেনের স্বাপেক্ষে সে স্থান পরিবর্তন করছে না।৷ চলন্ত ট্রেনে পাশাপাশি বসা দুই যাত্রীও ট্রেনের স্বাপেক্ষে যেমন আপেক্ষিক স্থিতিশীল তেমনী পাশাপাশি বসা দুই যাত্রীও পরস্পর পরস্পরের স্বাপেক্ষে স্থিতিশীল কেননা তারা দুই জন নিজেদের মধ্যে কোন দূরত্বের পরিবর্তন করছে না।

দুনিয়া সব কিছুই গতিশীল বা ধাবমান, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া।

আপনি যখন পৃথিবীতে ভূপৃষ্ঠে স্থির ভাবে বসে থাকেন তখন আপনি পৃথিবীর স্বাপেক্ষে স্থিতিশীল,  চন্দ্র ও সূর্য আপনার স্বাপেক্ষে গতিশীল মনে হবে। আবার যদি কেউ চন্দ্র পৃষ্ঠে  স্থির হয়ে থাকে তখন তার স্বাপেক্ষে মনে হবে পৃথিবী ও সূর্য গতিশীল বা ঘূর্ণায়মান।

আবার মঙ্গল গ্রহে অবস্থান করা নভোচারীর নিকট চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবী তিনটাকেই ঘূর্ণায়মান লাগবে।

অর্থাদ আধূনিক বিজ্ঞান ও কোরআনের একই দাবী মহাবিশ্বের কোন কিছুই স্থিতিশীল না, সব কিছুই গতিশীল এবং আপন আপন পথে ঘূর্নায়মান

অতএব বিজ্ঞান ও কেসরআনের দাবী একই, কোন সাংঘর্ষিক কিছুই নাই, বরং মূর্খ নাস্তিক ও বিজ্ঞান বিষয়ে অজ্ঞ আলেম উভয় পক্ষই ভুলের মধ্যে আছে।

এজন্যই বলি কোরআন,হাদিস ও ফিকাহ শাস্ত্রের পাশাপাশি আলেমদের সমান তালে বিজ্ঞান শিক্ষাও অর্জন করা উচিত। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...