expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫

চেতনা ৭১, ছাত্র জনতা ও রাজনৈতিক দল

চেতনা ৭১, ছাত্র জনতা ও রাজনৈতিক দল




আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বৃন্দ।ইদানীং চেতনা ৭১ ও ১৯৭২ এর সংবিধান নিয়ে অনেক বাঘা বাঘা রাজনৈতিক দলের নেতারা মায়াকান্না করছেন। কেউ কেউ ৭২ এর সংবিধানকে কবর দেওয়ার কথাকে অপমান করা বলে দু:খ করছে। কেউ বলছে ছাত্ররা নয়, বরং নির্বাচিত সরকার সংবিধান সংশোধন করবে। আবার কেউ চেতনা একাত্তরকে নিয়ে চেতনাবাজী করছে।  কি একটা লেজে গোবরে অবস্থা!

এই চেতনার কথা গোড়া হতে আলোচনা দরকার। বেশি দিন নয় ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লব হতে শুরু করে ফকির আন্দোলন, বালাকোটের আন্দোলন, মজনু শাহের আন্দোলন, বাঁশের কেল্লা আন্দোলন ও ফরায়েজি আন্দোলন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ খেদাও সব কিছুই আমাদের স্বাধীনতার  একটি ক্রম ধারা। উপরে লিখিত আন্দোলন গুলো যেমন আমাদের জাতীয় মুক্তি ও চেতনার সাথে জড়িত তেমনি পরবর্তী আন্দোলন গুলোও আমাদের মুক্তির চেতনায় যুক্ত। ১৯৪৭ এর আগের আন্দোলন গুলো ছিলো ব্রিটিশ হতে ভারত মুক্তির আন্দোলন আর ১৯৪৭ হতে ১৯৭১ এর মধ্যবর্তী আন্দোলন গুলো হলো বাংলাদেশের মানুষের পাকিস্তানের শোষন হতে মুক্তির আন্দোলন। আর সর্বশেষ ২০২৪ হলো ভারতের সম্রাজ্যবাদ হতে মাতৃভূমি ও জাতিকে রক্ষার আন্দোলন। এখানে কেউ একটি গন আন্দোলনকেও ফেলে দিতে পারবে না।

১৯৪৭ এর আগের আন্দোলন গুলোর চেতনা অস্বীকার করার অর্থ হবে ব্রিটিশ দের দালালী করা।১৯৪৭-১৯৬৬ এই সময়কার অধিকারের আন্দোলন গুলো নিয়ে চেতনাবাজি করে ১৯৭১ পরবর্তী বাংলাদেশে চালবাজি করার অর্থ হলো পশ্চিম পাকিস্তানের দালালি করা। আবার ১৯৭১ এর চেতনা পাছায় মেখে আগের আন্দোলন গুলোর বিরোধিতা করা বা চেতনাবাজী করার অর্থ হলো বাকশাল, ভারতীয় আগ্রাসনের দালালী করা কেননা ১৯৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ আমাদেরকে পিন্ডির গোলামি হতে মুক্তি দিলেও দিল্লীর গোলামীর শৃংখলে বেঁধে দিয়েছিলো।

রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লব শুধু মাত্র একটি আন্দোলনই নয়, শুধু মাত্র ভারতের বেতন ভুক্ত স্বৈরাচার হাসিনাকে সরানোই নয়, বরং ভারতের সম্রাজ্যবাদিতার শৃংখল হতে জাতিকে মুক্ত করা।  বিগত ৫৪ বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলো বিনা প্রতিবাদে ভারতের গোলামী করে আসছিলো। গৌরিবালার অবৈধ সন্তান শেখ মুজিবই প্রথম ভারতের সাথে যৌথ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতার লোভে ভারতীয় বাহিনীর নিকট দেশ বন্দক দিয়ে ক্ষমতার লোভে বাকশাল গঠন করেছিলো। তার পর দক্ষিন তালপট্টি নিয়ে ভারতের সাথে বিবাদের জেড়ে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর আর কোনো ভারত বিরোধী ও বাংলাদেশের জনগনের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে ভারতের সাথে চোখ তোলে কথা বলার মত শক্তি এদেশের মসনদে বসে নি।

সর্ব শেষ ২০২৪ বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতের কেনা গোলাম, গৌরিবালার নাতনী খুনি হাসিনাকে সরিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদারী হতে মুক্ত করে নতুন ভাবে দেশকে  স্বাধীন করেছে৷ ছাত্র জনতা। এই স্বাধীনতার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, এই স্বাধীনতা কোনো রাজনৈতিক দলের দলীয় অর্জন নয়। এখন রাজনৈতিক দলগুলো এই ২৪ স্বাধীনতা কে দলীয়করণ করতে না পেরে ৭১ চেতনা দিয়ে ২৪  ম্লান করে আবারো ভারতের দালালিতে নির্লজ্জ ভাবে লেগে পড়েছে। বলছে ছাত্র জনতার দাবীতে নয়, বরং নির্বাচিত সরকার সংবিধান সংশোধন করবে, জাতিকে মুক্তির সাধ দিবে।

রাজনৈতিক দল জাতিকে কি দিয়েছে?

১। গৌরিবালার অবৈধ সন্তান শেখ মুজিব ও হাসিনা মিলে মোট ২৪ বছর শাসন করে আমাদের ভোটাধিকার হরন করেছে আর বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব ভারতের নিকট বিক্রি করেছে।

২। মেজর জিয়াউর রহমান ও বেগম জিয়া মিলে মোট ১৪ বছর শাসন করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কমিয়ে এক ব্যক্তির হুকুমের রাজ্যে পরিনত করেছে বাংলাদেশকে।

৩। বাচ্চা চোর হু.মু এরশাদ ৯ বছর ভারতের পদলেহন করেই ক্ষমতায় ছিলো।

রাজনৈতিক দল গুলোর প্রতি প্রশ্নঃ
১। বিগত ৫৪ বছরে আপনারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারেন নি অথচ আপনারা ৭১ নিয়ে চেতনাবাজী করেন, লজ্জা করে না?একটি স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা পর্যন্ত করার ক্ষমতা ছিলো না?

২। বিগত ৫৪ বছরে জাতির জন্য একটি শিক্ষা নীতি চালু করতে পারেন নি, আপনারা এবার ক্ষমতায় গিয়েই সব সংস্কার করে ফেলবেন এটা জাতি বিশ্বাস করবে কেমনে?

৩। বিতগ ৫৪ বছরে ৭১ এর চেতনা দিয়ে জাতির জন্য ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন? নাকি ভারতের পদলেহন করেছেন শুধু মাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য?

৪। বিগত সময়ে একটি শিল্প নীতি প্রনয়ন করতে পারছেন?

৫। ভারতের উজানের নদী হতে শুষ্ক মৌসুমে পানির হিস্যার নিশ্চয়তা ও বন্যায় অতিরিক্ত পানি প্রবাহ বন্ধে কোনো অবদান রাখতে পেরেছেন?

৬। সবচেয়ে জরুরী হলো শিল্প নীতি, এটা চালু করতে পেরেছেন?

৭। মানুষের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে পেরেছেন? 

৮। একটি কৃষি নীতি চালু করতে পেরেছে রাজনৈতিক দলগুলো? 

৯। এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের টাকা চুরি ব্যতিত আর কি করেছেন?

আবার রাজনৈতিক দল নামের চোরের দল বলে তারা ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার করবে নাকি।  কত বড় নির্লজ্জ এই দল গুলো।


ছাত্ররা কি করেছে দেখুন:
১। কোনো রাজনৈতিক দল যেখানে হাসিনার কিছু করতে পারেন নি সেখানে হাসিনাকে ছাত্ররা পালাতে বাধ্য করেছে।

২। যে রাজনৈতিক দল তাদের নেতৃকে ৫বছরে মিথ্যা মামলা হতে মুক্ত করতে পারে নি, সেখানে ছাত্ররা কয়েক ঘন্টায় তা করেছে।

৩। ৫ আগষ্টের পর যখন রাজনৈতিক দল গুলো নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলো তখন ছাত্ররাই দেশকে আবর্জনা মুক্ত করেছে এবং বন্যা মোকাবেলা করেছে।

এখন বলুন জনগন ৫৪ বছরের চোর, ব্যর্থ, বস্তাপঁচা ৭২ এর সংবিধানের পুজারী ও ৭১ এর চেতনা ধারী অসভ্য রাজনৈতিক দল গুলোকে সংস্কারের দায়িত্ব দেবে নাকি দায়িত্বশীল ও পরিক্ষীত জাতির বীর সেনানী ছাত্রজনতাকে জাতির অভিবাবক বানাবে?

আমি বলি, ছাত্রজনতা ও জনগন ৪৭,৫২,৬৬,৭১ কে সমান ভাবে ধারন করেই ২৪ স্বাধীনতাকে প্রধান্য দিয়ে ৭২ এর সংবিধানকে ডাসবিনে ছুঁড়ে বর্তমান চাহিদার আলোকে একটি সংবিধান রচনা করা উচিত।

এই প্রচলিত চোর, বাটপার, সুবিধাবাদী ও চরিত্রহীন ও ৭১ এর চেতনাধারী রাজনৈতিক দল গুলোকে বাদ দিয়ে বর্তমান ছাত্র জনতাই সংস্কারের কাজ নিশ্চিত করুক।

FAQ:
প্র: ৭২ এর সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব?
উ:হ্যাঁ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...