চরমোনাইর পীর ও তার সকল মূরীদ মুশরীক, প্রমান সহ দেখুন
১।চরমোনাইর সেকেন্ড পীর মাহফিলে বলে বসেছেন যে,আদম আঃ এর গন্ধম খাওয়ার পর পায়খানার বেগ হইছিলো আর তখন দুনিয়ায় পায়খানা করার জন্য এসেছিলেন, মূরীদরা ঠিক ঠিক বলে লাফাচ্ছিলো। অথচ আল্লাহ কোরআনে বলেছেন আমি মানুষ ও জ্বীন জাতিকে একমাত্র আমার ঈবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।
২।আরেক মাহফিলে পীর নতুন ডেলিভারিতে বলে বসেন এজিদ কে হযরত এজিদ ১০০ রাকাত তাহাজ্জুদ গুজার ছিল ইমাম হোসেনের শাহাদাৎ এ তার হাত ছিল না, মূরীদরা লাফাইয়া নলে ঠিক ঠিক।
৩।মজিদের বন্দনা সহ নানান বিষয় চরমোনাই পীরের ভ্রান্ত কুফুরী আকিদা আজ প্রকাশ করব!! শিরকি ও কুফুরী কথা প্রকাশ করার জন্য তার কিতাব থেকে অসংখ্য বানোয়াট এর কাহিনী তুলে ধরা হলো।কেউ যদি বই গুলোর পৃষ্ঠার লেখা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তবে কমেন্ট করবেন, বইয়ের পাতার ছবি আপলোড দিয়ে প্রমান করা হবে।
৪। আরেক ওয়াজে বলেছে সাহাবিরা নাকি মুরদাত হয়ে গেছেন, মুরীদরা ঠিক বলে ব্যাঙ্গের মত লাফিয়ে উঠেছে। অথচ এই চরমনাই পীর ও তার মূরীদরা সারাক্ষন সাহাবাগনের সন্মানের নিমিত্তে গলাবাজি করে।
আমি আজ নীচে আরো কিছু প্রমান তাদের বই পুস্তক হতে দেব যে গুলো দেখে সাধারন মানুষও বুঝতে পারবে এই চরমোনাই পীর ও তার সকল মূরীদ ১০০% মুশরেক। আমার এই চ্যালেঞ্জ সয়ং চরমোনাই পীর সহ তাদের দলে থাকা সকল মূফতী, মুহাদ্দেস ও আলেমদের প্রতিও বটে। তারা যদি আমার এই দাবী গুলো মিথ্যা প্রৃান করতে পারে আমি আজীবন তাদের গোলামী করব এবং যে সাজা দেওয়া হয় তা মাথা পেতে নেব। আর যদি আমার দাবী সত্য হয় আমি বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব যে হে মহান পীর ও তার মূরীদরা আপনারা প্রকাশ্যে দরকার নাই, গোপনেই আল্লাহর কাছ তাওবাহ করুন এবং সহজ-সরল মুসলমানদেরকে পথ ভ্রষ্ট করা হতে বিরত হউন।
চরমোনাই দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ ইছহাক সাহেব । তিনি মৃত্যু বরণ করলে তার ছেলে সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম খেলাফত লাভ করেন । তিনি পিতার তরীকা অনুসারে মানুষকে মুরীদ করেন । তার মৃত্যুর পর এছহাক সাহেবের আরেক ছেলে সৈয়দ রেজাউল করীম এখন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন । সৈয়দ এছহাক সাহেব মানুষকে সহজে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্যে ছোট-বড় ২৭খানা কিতাব রচনা করেছেন । এসকল কিতাবে শত শত কুফুরী ও শিরকী আকীদার কথা লিখা রয়েছে যে গুলোর একটিও ধারন করলে ইসলাম হতে খারিজ হয়ে যাবে মানুষ। আমি তাদের আকিদার কিতাব হতে কিছু আকিদার কথা তুলে ধরলাম।
সে লিখেছেন যে ২৭ খানা কিতাব বাংলা ভাষায় লিখিয়া দিলাম । ইহা পাঠ করিয়া আমল করুন, আপন বাড়ী বেহেশতে চলুন ।” (ভেদে মারেফত ৯৪ পৃষ্ঠা )।
(১) মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশী ! (আশেক মাশুক ৮৮-৯০ পৃষ্ঠা )
(২) আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করবে । ( ভেদে মারেফত ৬০ পৃষ্ঠা )
(৩) পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা )
(৪) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ । ( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া ৫৫ পৃষ্ঠা )
(৫) আল্লাহর কাছে আন্দাজ নাই । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা)
(৬) শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক । ( আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী ৩৫ পৃষ্ঠা )
(৭) পীর কাফন চোরকে পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন । ( ভেদে মারেফত ২৭-২৮ পৃষ্ঠা )
(৮) পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা থাকিবে না । ( আশেক মাশুক ৮১ পৃষ্ঠা )
(৯) পীর কেয়ামতের দিন সকল মুরীদের গুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন ।(ভেদে মারেফত ৩৪ পৃষ্ঠা )
(১০) আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক করে রুহ নিয়ে আসিয়াছি । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা )
(১১) পীরগণ কেয়ামতের দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে । ( ভেদে মারেফত ২৫-২৬ পৃষ্ঠা, আশেক মাশুক ৬৬-৮১ পৃষ্ঠা )
(১২) মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান থেকে বাঁচাতে পারেন ।(ভেদে মারেফত ৩১ পৃষ্ঠা )
(১৩) চরমোনাই পীর সাহেব ১২৬ তরীকার কথা লিখেছেন এসকে এলাহি বইয়ে, উনি এগুলো কোথায় পাইলেন ?
(১৪) তারা তাদের তাবীজের কিতাব নামক এক বইয়ে নকশা করে লিখে দিয়েছেন যে স্বপ দোষ হলে ইবলীশ শয়তান, নমরুদ ও ফেরাউনের নাম লিখে পুরুষরা ডান হতে আর মহিলারা বাম হাতে ধারন করলে নাকি স্বপ্ননদোষ হবে না(তাবিজের কিতাব,পৃষ্ঠা-৩৬)।
এর পরও তারা মুসলমান হয় কিভাবে?
আমরা সকলেই জানি জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা হলো একমাত্র একটা – আর সেটা হলো – ইসলাম । আল্লাহ বলেনঃ “যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত ।“ (সুরা আল-ইমরান আয়াত ৮৫) ইসলাম মানেই হচ্ছে সুন্নাত অর্থাত, নবীর তরীকা । "বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে (নবীর সুন্নত) অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন । আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী ও দয়ালু ।" সুরা আলে-ইমরান । সুবাহানাল্লাহ কত স্পষ্ট জিনিস তারপরেও মানুষেরা বুঝতে পারেনা । চরমোনাই পীর সাহেব তার ভেদে মারেফত বইয়ের ১ নাম্বার পৃষ্ঠাতে লিখেছেনঃ “জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য জান্নাতে যাওয়ার জন্য তরীকা হচ্ছে ১২৬ টি ।”
কিন্তু, তিনি কোথাও প্রমান দিতে পারলেন না ইসলামে ১২৬ তরীকার কথা কোথায় আছে। ইসলামে ১২৬ তরীকা আছে এই কথায় কে বলেছেন ? আল্লাহ বলছেন ? না আল্লাহর রাসুল বলেছেন ? কুরআনেও নাই, হাদীসেও নাই তবু নাকি এই ১২৬ তরীকা ইসলামে আছে !! আবার তার বাপের চালু করা বিনা পূজির বংশগত পীর মুরিদীর ব্যবসা সফল করার জন্য নিজের মনগড়া ফতোওয়া দেওয়া শুরু করেছেন – ১২৬ তরীকার মধ্যে তার তরীকাটা নাকি একেবারে শর্টকার্ট ??? ১২৬ তরীকারই কোনো দলীল নাই, নিজেদের বানানো মনগড়া ১২৬ টা তরীকা পয়দা করে নিয়েছে – ব্যবসা করার জন্য ।
তার উপর, এই গুলোর মাঝে চরমোনাই পীর সাহেবের চিশতীয়া সাবেরিয়া যে শর্টকার্ট তাকে এই গ্যারান্টি কে দিলো ?? ব্যবসায়ীরা যেমন নিজের পণ্যকেই সবচাইতে ভালো বলে, কাস্টমারদেরকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভাবে বিজ্ঞাপন দেয় – এই পীর সাহেবও দলীল ছাড়াই নিজের ভুয়া তরীকাকে শর্টকাট বলে প্রচার করছে । আর অন্ধ মুরিদেরা শর্টকাটে জান্নাতে যাওয়ার জন্য ফরজ, সুন্নত বাদ দিয়ে শর্টকাট তরীকাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে । যাই হোক, যেই তরীকা কুরআনে নাই, হাদীসে নাই, সাহাবারা যেই তরীকার উপর ছিলেন না – এই তরীকা হচ্ছে শয়তানের পক্ষ থেকে ওহী করা, যেমনটা আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ "নিশ্চয়ই শয়তান তার আওলিয়াদের কাছে ওহী করে, তারা যেন তোমাদের সাথে তর্ক করে । ( হে মুসলমানেরা সাবধান ) যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো, তাহলে তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে ।" (সুরা আল-আন'আম আয়াত ১২১)
আর আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম বাদ দিয়ে, সুন্নত বাদ দিয়ে এই সমস্ত ভুয়া অলি আওলিয়াদের তরীকা মানতে নিষেধ করে দিয়েছেন । “তোমরা অনুসরণ কর যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ওহী করা হয়েছে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো আওলিয়াকে অনুসরণ করো না ।” (সুরা আল-আরাফ আয়াত ৩) বিষয়টা স্পষ্টঃ কুরআন হাদীসে যেই তরীকার কথা আসে নাই – কেউ যদি সেই তরীকাকে অলি-আওলিয়ার তরীকা দাবী করে – আসলে সেটা শয়তানের।
অনেকে আমার এই লেখ গুলো নিয়ে সন্দেহ কিংবা প্রশ্ন করতে পারেন। কোন লেখা নিয়েমপ্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান আমি বইয়ের পাতা গুলোর ছবি সুন্ধর ভাবে আপলোড করে দেব।
ইদানীং চরমোনাইরা নতুন কৌশল করে দাবী করে এসকল এসকে এলাহি ও ভেদে মারেফত তারা মানে না। যদি এটাই সত্যি হয় তবে উনারা এই কুফুরী আকীদার বই গুলো কি বাতিল বলে ঘোষনা করেছে? নাকি তাদের বই ও কুফুরী ওয়াজ গুলার জন্য তাওবাহ করেছে? করে নি, আসলে তারা মুখে যাই বলুক অন্তরে মুশরিকই রয়ে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ