expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫

সাবধান মুসলিম বোনেরা!!!

 "হে মুসলিম বোকা আবেগী বোনেরা সাবধান হউন"





টার্গেট যখন মুসলিম মেয়েরা। 
সাম্প্রদায়িক উস্কানী নয়; মেয়েদের সতর্ক করাই আমার কাজ। এর বেশী আর কি ই বা করার আছে আমার?

বর্তামান জেনারেশনের মাঝে ফ্রি মিক্সিং বেড়েছে। বেড়েছে হারাম রিলেশন থেকে শুরু করে জিনা, ধর্ষণ পরকীয়া এমনকি কিশোরী মাতা হওয়ার প্রবনতা।

এখন এসব অবৈধ সম্পর্ক গুলো শুধু কেবল নিজ ধর্মীয় লোকদের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই৷ উদার মনমানসিকতার নামে বর্তমান সময়ে তরুন প্রজন্ম সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ছে ভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে। 

মেয়েটার সহপাঠী অমুসলিম। শুরুটা বন্ধত্ব দিয়ে। ধীরে ধীরে বহুদূর সম্পর্ক গড়ায়। বন্ধুত্ব হতে হয় প্রেম, প্রেম হতে একান্তে সময় কাটানো এবং একসময় অমুসলিম বন্ধুটির হাতে হয়তো হচ্ছ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ কিংবা মুসলিম হয়ে যাবার নামে বিয়ে করে হচ্ছে প্রতারণার শিকার। 


এমনটা এক দিনে হয় না, প্রথমে অমুসলিম ছেলেটি ভেজা বেড়াল সেজে পর্দাশীল মেয়েটির সাথে শুরু করে বন্ধুত্ব, ইসলামের প্রতি সন্মান দেখানোর অভিনয় করে। আফসোস করে পরিবারের জন্য মুসলমান হতে পারি না। মা বানার কথা মনে করে হতে পারছিনা মুসলিম, তবে এক সময় মুসলমান হওয়ার টার্গেট আছে। এই ফাঁকে মুসলিম মেয়েটি তাকে মুসলমান বানিয়ে বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে মর্মে শয়তানের এই যুক্তির প্রলোভনে পড়ে শুরু করে 
অমুসলিম ক্লাশমেট বা অফিস কলিগের সাথে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব হতে ছেলেটিকে আটকে রাখার জন্য প্রেমের ব্যর্থ চেষ্টা, তার পর শয়তানের সেই ফাঁদে পা দিয়ে অবৈধ দৈহিক সম্পর্কে জাড়িয়ে এক সময় হয়ে যায় কিশোরী মাতা। তখন না পারে বলতে আর না পারে সইতে। এক সময় মান বাচাতে অনেক মেয়েরা নিজেই হয়ে যায় ধর্মান্তরিত। 

ইসলাম অন্য ধর্মের লোকদের বিয়ে করা জায়েয করেনি। কোনো ছেলে আপনাকে ভালোবেসে দ্বীনের ফিরতে চায়৷ আপনি ভাবছেন এতে মন্দ কী? একজন মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আসবে। আসলে এটা একটা শয়তানের নেক সুরতে ধোকা, কিন্তু বোকা মুসলিম মেয়েরা বুঝে না।

আমার নিজের দেখা জামায়াতে ইসলামে এক রোকনের(সালাফী মতাদর্শের) মেয়ে, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে টিকেছে। সে মেয়েও পর্দাশীল। মেয়েটির স্বভাব চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব দেখে ঢাবির এক কমিউনিস্ট বড় ভাই(কমরেড) তার প্রশংসা শুরু করে তার পর মেয়েটির কথায় সে মাঝে মাঝে নামাজ পড়াও শুরু করে। কিছুদিন পর দাড়ি টুপী পড়ে মেয়ের বাবাকে প্রস্তাব দেয়। তার বাবা খুশি হয়ে বিয়ে দেয় এই আশায় ছেলেটি ইমান আনবে। গত ২৯ নভেম্বর ঐ মেয়েটির বাবা আমাকে তার মেয়ের হ্যান্ডিক্রাফ্টের কোম্পানির কিছু প্রোডাক্টের ব্লগের ভিডিও আমাকে এক প্রকার জোড় করে দেখাচ্ছিল, ভদ্রতার খাতিরে ২০ সেকেন্ড ভিডিওতে দেখলাম মেয়ে বেপর্দা হয়ে নিজেই প্রডাক্টের মডেলিং করছে আর পাশে তার স্বামী বসে বসে বিড়ি টানছে, কোথায় গেলো সুন্নতি লেবাস আর কোথায় গেলো মেয়ের পর্দা। ঐ সালাফি জামায়াত নেতাকে বললাম আপনার মেয়ের জামাই তো কমিউনিস্ট ই রয়ে গেলো, বরং মেয়েটাকে বেপর্দা বানিয়ে ছাড়লো। সে বলছে ভাই সময় লাগবে, ঠিক হয়ে যাবে। আমিও বললাম নাতির বয়স কত। সে বলল ১০ বছর। আমি জিজ্ঞেস করলাম আর কবে ঠিক হবে? নাকি মেয়েটাও ওই খতায় নাম লেখাইলো? নিশ্চিত না হইয়া শয়তানের কথায় বিশ্বাস করলে পথ ভ্রষ্ট হবেনই। যান আপাতত বেরিয়ে যান। তার পর উপহার সরুপ একটা হ্যামফরের ডায়েরির দিয়ে দিলাম ঐ সালাফিকে।

কী নির্বোধ বোকা আপনি? বান্দা তার রব'এর কাছে আসবে৷ তার জন্য আপনাকেই তাকে বিয়ে করতে হবে কেন? আপনি কি নিশ্চিত পরবর্তীতে তার ধোঁকা খাবেন না? আপনি নিশ্চিত সে আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে না?

সে যদি ইসলামের জন্যই আপনাকে বিয়ে করে তবে বগে সে মুসলমান হয়ে এফিডেভিডের কাগজ হাতে নিয়েই আপনার কাছে আসবে।

আপনার ইসলাম অন্য পুরুষের সাথে কথা বলা জায়েয করেনি। আপনার শুরুটাই তো অবৈধ। 

আপনার বন্ধুটির কাছে তার ধর্ম ভালে লাগে না৷ সে আপনাকে বলে আপনার ধর্ম শ্রেষ্ঠ সে যদি প্রকৃত পক্ষে ইসলাম গ্রহণ করতেই চায়; তবে তাকে আপনি নয়; বরং কোনো পুরুষের সাথে কথা বলতে বলুন। আগে ইমান আনতে বলুন।তার পর বাসায় প্রস্তাব দিতে বলুন।

আপনার ভার্সিটি কিংবা আপনি যে পরিবেশে বাস করেন; সেখানে অনেক পুরুষ আছে। অনেক আলেম আছে, সে সবাইকে ফেলে কেবল আপনাকেই কেন বেছে নিয়েছে? বুঝে নিন নিশ্চিত এখানেও কোনে ষড়যন্ত্র আছে। তাহলে চলুন বলি সে ষড়যন্ত্রের কথা।

ভারতে লাভ জিহাদ নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে৷ হিন্দু মেয়েরা মুসলিম ছেলেদের বিয়ে করে ধর্ম পরিবর্তন করছে৷ এটাকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না৷ তাই তারাও বসে নেই। আবিষ্কার করেছে ভিন্ন পথ। তাদের টার্গেট এখন মুসলিম মেয়েরা। তাদের জীবন নরক বানানো৷ মুসলিম মেয়েরা ধর্ম পরিবর্তন করবে না তারা সেটা জানে৷ তাই তারাই ধর্ম পরিবর্তনের নাটক করে আপনাকে করবে সর্বশান্ত।

ওহে বোকা আবেগী মুসলিম বোনেরা!!!

তোমার জন্য অন্য পুরুষের সাথে বন্ধুত্ব করা জায়েয নেই। হোক সে মুসলিম কিংবা অমুসলিম। হারাম চিরকালই হারাম। এই হারামটা জেনে বুজেই করছো। তুমি প্রেম কর মানে নিজেকে ধর্ষনের জন্য প্রস্তুত করে একজন ধর্ষকের নিকট শপে দিচ্ছ। হোক সে মুসলিম বা অমুসলিম।

এদের টার্গেট যেমন নিম্ন পরিবারের মায়ে কিংবা শ্রমজীবী মানুষ। তেমন করেই টার্গেটে রয়েছে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির মেয়েরা। অনেক মেয়েরা নিজেকে প্রগতিশীল প্রমান করার জন্য নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ করে গড়ে তোলে সব ধর্মের লোকের সাথে মেলামেশা করে। এ মেয়ে গুলা আরো বড় গর্দভ। প্রতিদান যা পাওয়ার তাই পায়, প্রথমে ধর্ম হারায়, তার পর ইজ্জত খোয়ায়।

আমি আপনাদের সচেতন করা ছাড়া আমার কোন দায়িত্ব আছে বলে মনে করি না।

লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...