expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫

রউফুল ঈদাঈনের ইতি কথা

 "রউফুল ঈদাঈনের ইতি কথা,কোথায় হতে আসলো রউফুল ঈদাঈন"

রওফুল ইদাঈনের ইতিকথা



রউফুল ঈদাঈন এর হাদিসটি একটি জয়িফ হাদীস বলে কেউ কেউ দাবী করলেও এই রউফুল ঈদাঈনের একটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।

হযরত মুহাম্মদ মোস্তাফা সা: যখন আরবে ইসলাম প্রচার শুরু করেন তখন সেখানে মানুষ গুলো কুফুরী ও মিথ্যায় লিপ্ত ছিলো এবং সে কাজে নেশাগ্রস্তের মতো আচরন করতো। প্রাক ইসলামিক যুগে মুশরিকরা ইসলাম কবুল শুরু করলেও কিছু কিছু শিরকী কাজ তারা নেশাগ্রস্থের মত করত এবং জারীও রেখেছিলো, কিন্তু তখনও ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিধান জারি না হওয়ার কারনে নওমুসলিমদের বদঅভ্যাস গুলোর বিষয়ে কঠোরতা আরোপ করা যায় নি।কিন্তু পূর্নাঙ্গ ইসলামের কায়েমের পর সকল অন্ধকার দূর করা গিয়েছিলো। আশা করি ইসলামের ইতিহাসের ছাত্ররা তা ভালো করেই জানেন।

এখন আসেন রউফুল ঈদাঈন কিভাবে চালু হলো বর্ননা করি। প্রাক ইসলামিক যুগে এক দল বংশী বাধক ইসলাম গ্রহন করেছিলো মক্কায় কিন্তু তখনও বাদ্য যন্ত্রের উপর পূর্ণাঙ্গ বিধান চালু হয় নি। সে সময় এই নওমুসলিমরা ইসলাম গ্রহন করলেও আগের বদভ্যাসের কারনে তারা বাঁশি নিয়ে মসজিদে চলে আসত এবং বগলের মধ্যে কিংবা দুই পাঁয়ের ফাঁকে বাঁশি রেখে নামাজ পরত।

আবার আরেক দল নওমুসলিম পূর্বে যারা মূর্তি পূজারী ছিলো তারা মূর্তি পূজা ছাড়লেও আগের বদভ্যাস বসত; আঙ্গুলের চিপায়, বগলের চিপায় মূর্তি সদৃশ বস্তু রেখে নামাজ পড়তো, কেননা তখনও পূর্নাঙ্গ নামাজের বিধি বিধান জারি হয় নি।

পরে এসকল বদভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়া নওমুসলিমদের এই মন্দ অভ্যাস হতে বিরত রাখার জন্য আল্লহর হুকুমে হযরত মুহাম্মদ সা: ঘোষনা করেছিলেন যে, যারাই রউফুল ঈদাঈন করবে তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে আলাদা সাওয়াব দেওয়া হবে। তখন এই পদ্ধতির মাধ্যমে রউফুল ঈদাঈন চালু হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এক সময় ইসলাম ও নামাজের সকল নিয়ম যখন পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা হয়ে যায় তখন ঐ নিয়ম গুলোর আর চর্চা করা লাগে নি এবং বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু এই হাদিস গুলো ঠিকই রাসূল সা: এর সুন্নাহ হিসাবে থেকে যায়।

আর বর্তমানে হাদিসে বর্নিত নযদের শয়তানের শিং খ্যাত আব্দুল ওহাব নযদির সংস্কারের নামে ইহুদিবাদি আকীদা ব্যবসায়ী, নির্যাতিত হামাস বিরোধীরা এই রহিত হয়ে যাওয়া আমলগুলোকেই রাসূলের সুন্নাহ হিসাবে পালন করছে।উদ্দেশ্য একটাই, ফেতনা সৃষ্টি। 

এবার আসুন রউফুল ঈদাঈন সম্পর্কিত দলিল গুলোর বিশুদ্ধতার মানদন্ডে কতটুকু সহীহ তা দেখি।
রফউল ইয়াদাইন করলে ১০ নেকি হাদিসটা জাল ও বানোয়াট বলে অনেকে দাবী করে, কিন্তু দাবী করলেই হবে না, চাই প্রমান।

উক্ত হাদীসটি ইমাম বদরুদ্দীন আইনী রহঃ রফয়ে ইয়াদাইনের আলোচনায় রফয়ে ইয়াদানের দাবিদারদের পক্ষের দলীল পেশ করতে গিয়ে উপস্থাপন করেছেন।

তিনি লিখেছেন যে,

وَنقل عَن عبد الْبر عَن ابْن عمر أَنه قَالَ: رفع الْيَدَيْنِ من زِينَة الصَّلَاة، بِكُل رفع عشر حَسَنَات، بِكُل أصْبع حَسَنَة.

মুহাদ্দিস আব্দুল বার রহঃ হযরত ইবনে উমর রাঃ এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনে উমর রাঃ বলেছেন, রফউল ইয়াদাইন হল নামাযের মাঝের সৌন্দর্য, প্রতিটি রফউল ইয়াদাইনে রয়েছে দশটি নেকী রয়েছে, অর্থাৎ প্রতিটি আঙ্গুলের বদলে একটি করে নেকী রয়েছে। [উমদাতুল কারী, আলমাকতাবুল তাওফিকীয়্যাহ-৫/৮]

এ হাদীসটি কি জাল হাদীস?

কারণ বর্ণনাটির প্রথম অংশ তথা রফউল ইয়াদাইন নামাযের সৌন্দর্যের অন্তর্ভূক্ত বক্তব্যটি আব্দুল বার রহঃ তার সংকলিত “আলইসতিযকার” গ্রন্থে এনেছেন, যার সূত্রে রয়েছেন আয়াজ বিন আব্দুল্লাহ আলফিহরী। যাকে ইমাম বুখারী রহঃ মুনকারুল হাদীস বলে মন্তব্য করেছেন। দেখুন ইমাম বুখারী প্রণীত “আয যুআফা-৩/৩৫০, রাবী নং-১৩৭২]

আর দ্বিতীয় অংশটি ইবনে আব্দিল বার  রহঃ তার সংকলিত “আততামহীদ” গ্রন্থে এনেছেন। আর উক্ত বর্ণনার সূত্রে রয়েছেন “মাশরাহ বিন হাআন”। যিনি উকবা বিন আমের রাঃ এর সূত্রে মুনকার বর্ণনা করেছেন। দেখুন “আলমাযরূহীন-৩/২৮}

সুতরাং বুঝা গেল, এ বর্ণনাটি সম্পূর্ণ জাল  ও বানোয়াট। এর কোন সহীহ ভিত্তি নেই। আমাদের বুঝে আসে না, সহীহ হাদীসের ধ্বজাধারীরা কি করে এমন একটি জাল ও ভিত্তিহীন বর্ণনা নিজেদের মতের পক্ষে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করলেন! 

নিজের পক্ষে হলে জাল ও বানোয়াট কথা ও হাদীস হয়ে যায়, আর বিপক্ষে গেলে সহীহ হাদীস ও জাল হয়ে যায় এমন কেমন দ্বিমুখী নীতি এ কথিত আহলে হাদীসদের?
আহলে হাদিসরা এই হাদিস বানিয়েছে জাল হাদিস সহিহ বলে প্রচার করছে।
আল্লাহ বুঝার তৌফিক দান করুন।

( আমিন) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...