যে নদী হাজারো শহীদের রক্তে বহমান
নদীর নাম সালদা :
উৎস স্থলঃ ভারতের ত্রিপুরার ডুঙ্গুর।
এটি একটি আন্তঃসীমান্ত নদী, ভারতের অংশে এর নাম বিজয় নদী। এই নদীটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয় সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতীয় অংশে এই নদীর নাম বিজয়। এ নদী দ্বারা দক্ষিণ পূর্বাংশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার সীমানাও নির্ধারিত হয়েছে; দক্ষিণ তীরে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানা এবং উত্তর অংশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া, খাদলা, শ্যামপুর, নিশ্চিন্তপুর, হরিপুর, সস্তাপুর, গৌরাঙ্গুলা, কৈখলা, নয়নপুর, মন্দাভাগ এবং ব্রাহ্মণপাড়ার বাগড়া, নাগাইশ, কালেমকান্দি, কালামুইড়ার মধ্য দিয়ে বহমান।
ভৌগলিক ভাবে ভারতীয় অংশ অনেকটা উজানে তথা উঁচুতে হওয়ায় এই নদীটি ব্যবহারে ভারতীয়রা বেশি সুবিধা ভোগ করে। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে অতিবৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তখন নিজেদেরকে রক্ষা করতে স্লুইস গেট খুলে পানির প্রবাহ বাংলাদেশের দিকে ছেড়ে দেয়। ঐসময়ে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা তথা গ্রাম গুলো পানিতে ডুবে যায়।এমনকি ঘরের ভিতরেও পানি চলে আসে।
উল্লেখ্য যে এই নদীর বালি অনেক মান সম্মত হওয়ায় বহু আগে থেকেই এই বালির চাহিদা ছিলো দেশব্যাপী। বৃটিশ আমলে বহু সরকারি স্থাপনা তৈরিতে এই নদীর বালি ব্যবহার হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। প্রসঙ্গত, ১৮৯৬ সালে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির অধীনে কুমিল্লা -আখাউড়া রেল পথ স্থাপিত হয়। তখন এই সেকশনের স্টেশন সমূহও প্রতিষ্ঠা পায়। তখন সালদা নদীর উপর এই রেল সেতুটি নির্মিত হয়,যার নম্বর ২৬১। এই নদীর নামানুসারে নদী তীরবর্তী একটি ডি ক্লাস রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয়। এই স্টেশন স্থাপনের উদ্দেশ্যও ছিলো নদী কেন্দ্রিক। মূলত ট্রেনে করে নদীর বালি পরিবহনের জন্যই এই স্টেশন স্থাপন করা হয়। ৮০ র দশক পর্যন্ত ট্রেনে করে বালি পরিবহন করা হয়। পরবর্তীতে চাহিদা কমে আসায় বালি পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ