জামায়াত-বিএনপির দন্দ্বেের বিষয়ে বিএনপির নির্যাতিত প্রকৃত কর্মীদের মনোভাব

 "জামায়াত-বিএনপির দন্দ্বেের বিষয়ে বিএনপির নির্যাতিত প্রকৃত কর্মীদের মনোভাব"

বর্তমানে ৫ আগষ্টের বিপ্লব সফল হওয়ার পর হতে হঠাৎ করেই দীর্ঘ দিনের জামায়াত- বিএনপির ঐক্যে দূরত্ব তৈরী শুরু হয়েছে এবং তা দিনে দিনে মারাত্মক আকার ধারন করছে।জামায়াতের আমির ও মীর্জা ফখরুল গংদের মধ্যে পরস্পর বিরোধী বেশ বিতর্কিত বক্তব্য বিনিময় হচ্ছে।

এই বিষয়ে আমি গত ১৫ দিনে ১০০ এর উপর বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সরাসরি কথা বলেছি এবং তাদের বক্তব্য শোনার চেষ্টা করেছি।

আমি যেসকল বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে জামায়াতের বিষয়ে কথা বলেছি তাদের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

১। কোনো অপরাধে জড়িত না থাকার পরও একাধিক মামলার আসামি।

২।আওয়ামিলীগ এর রোষানলে পড়ে সর্ব হারা।

৩। একাধিকবার জেলে যাওয়া।

৪। আওয়ামী নির্যাতনে ভিটেমাটি হারা।

৫। তাদের কোটিকোটি টাকা আওয়ামিলীগ হরন করেছ এমন।

৬। বছরের পর বছর গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বনে-জঙ্গলে ঘুমানো মানুষ।

এসকল নির্যাতিত মানুষের সকলের যে বক্তব্য প্রায় একই রকম ছিলো মানে কমন ছিলো তা তুলে ধরা হলো:

১। জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামিলীগ এর আমলে।

২। আওয়ামিলীগ না করার কারনে বিএনপি যেমন মির্যাতিত হয়েছে তেমনী জামায়াতও নির্যাতিত হয়েছে।

৩। জামায়াতে ইসলামির দাবী আর বিএনপির দাবী একই এবং রাজনৈতিক সন্ধির জায়গাও এক।

৪। বিএনপির নেতাদের যেমন মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তেমনী জামায়াতের আরো বেশী ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

৫। জামায়াত বিএনপি ভাই ভাই, আমরা কেউ ইসলাম বিরোধী নই।

৬। বিএনপির সবাই চায় জামায়াতের মত একটি ইসলামি দল দিন দিন আরো শক্তিশালী হোক এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে নিক।

৭। তাদের সবাইকে একটি প্রশ্ন করে ছিলাম যে ধরুন কোনো কারনে বিএনপি না করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন কোন দল আপনি বেছে নিবেন? এক বাক্যে সবাই বলেছে বাংলাদেশ জাময়াত।

৮। প্রশ্ন করেছিলাম, যদি জামায়াতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয় তাহলে আপনারা কোন পক্ষ নিবেন? একজন বাদে সবাই বলেছে আমরা জামায়াত টিকিয়ে রাখার জন্য যত সহযোগীতা লাগে করবো।

৯। জামায়াতের বিষয়ে বিএনপির কেদ্রীয় নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্যের বিষয়ে আপনারদের মনোভাব কি? সবাই বলেছেন দীর্ঘদিনের পরিক্ষীত বিএনপি বন্ধু জামায়াত, এদের নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দু:খ জনক। এটা বিএনপির ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

১০। মাঠে জামায়াত ছাড়া বিএনপির রাজনীতি কেমন হবে বলে মনে করেন, অনেকেই জানান এটা গোলপোস্ট বিহীন ফুটবল খেলার মত হবে।

১১। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আপনারা কোন দলকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে চান, এক বাক্যে সবাই বলেছে জামায়াতে ইসলামি।

১২। ছাত্র দল বাদ দিলে আপনাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ছাত্র সংগঠন কোনটি? সবাই বলেন ইসলামি ছাত্র শিবির।

১৩। জামায়াতের নিকট ক্ষমতা গেলে দেশ নিরাপদ থাকবে কি? অনেকেই বলে মেয়েদের জামায়াত ঘরে বন্দি করে ফেলতে পারে এমন ভয় কাজ করছে এমন মন্তব্য করেছ বেশ কয়েকজন নির্যাতিত নারী জানিয়েছে,কিন্তু বেশীর ভাগ লোক বলেছে অন্তত দেশ নিরাপদ জামায়াতের হাতে।

১৪।জামায়াত এসকল কর্মীদের ২য় পছন্দের দল বলে জানিয়েছে সবাই, তবে তারা জামায়াত করতে রাজি নয় বলেও জানিয়েছে।

এখন জামায়াতের ভাই ও বোনেরা ভাবুন এই ফখরুল গংদের বক্তব্য দিয়ে বিএনপিকে যাচাই করবেন? না বিএনপির প্রকৃত নেতাকর্মীদের দিয়ে বিএনপিকে যাচাই করবেন?  এটা আপনাদের ইচ্ছা।

তবে সবাই বলেছে যে জনাব তারেক রহমান দেশে না আসা পর্যন্ত তারা জামায়াতের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায় না, জনাব তারেক রহমান দেশের মাটিতে আসলেই জামায়াতের বিষয়ে তারেক রহমানে বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষায় আছে। তারা জামায়াতের সাথে রাজনৈতিক জোট ভাঙ্গার পক্ষে নয়।