4547715 ডা.বশির আহাম্মদ: চরিত্রহীন আব্দুল ওহাব নযদি > expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

চরিত্রহীন আব্দুল ওহাব নযদি

 "হ্যামফারের ডায়েরি অবলম্বনে চরিত্রহীন আব্দুল ওহাব নযদী ও তার অনুসারী কথিত আহলে হাদিস ও জাল সালাফিদের মুখোশ উম্মুচন



ভূমিকা আলোচনাঃ

মিস্টার হ্যামফার সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা অফিসার তিনি দীর্ঘ দিন এককভাবে ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা নিযুক্ত ছিলেন তুরস্ক, ইরাক, ইরান ও অন্যান্য আরব দেশসমূহতে। তার ডাকবাংলো ছিল ইরাকের অন্যতম শহর বসরার তরখানে। তার গোয়েন্দা সংস্থার লক্ষ্য ছিল ইসলাম ধর্মের উপর আঘাত হেনে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা। হ্যামফার নিজ ডায়েরীতে মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদীর ঈমান, আকীদা ও চরিত্রাবলীর কথা উল্লেখ করেছেন। হ্যামফারের সেই ডায়েরিটি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জার্মানীদের হাতে ধরা পরে, তখন জার্মান পত্রিকা “ইসপিগল” ডায়েরিটিকে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করে। এতে মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদীর ঈমান, আকীদা ও চরিত্রাবলী সম্যকভাবে জানা যায় ।


“হ্যামফারের ডায়েরিতে মিস্টার হামফ্রে বলেন, আমি যখন বসরায় গোয়েন্দাগিরীতে নিয়োজিত ছিলাম তখন একজন মুসলিম ধর্মজাজকের সাথে আমার সাক্ষাত হয়। সেই ব্যক্তি তুর্কী, ফার্সী ও আরবী ভাষায় কথা বলতে জানত। সে তালেবে ইলেমদের মত পোষাক পরিধান করে সর্বত্র ঘুরে বেড়াত। সে উচ্চাভিলাসী ও উচ্চ মর্যাদাকাঙ্খী ব্যক্তি ছিল। মিস্টার হ্যামফার তার সম্পর্কে জানতে চাইলে সে অত্যন্ত অহংকারের সাথে বলে, আমি মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদী। নজদী সাহেব তৎকালীন তুরস্কের ওসমানী সরকারের প্রতি অত্যন্ত ঘৃণা পোষণ করতেন। তার দৃষ্টিতে হানাফী, শাফেয়ী ও মালেকী মাযহাবের কোন মর্যাদা ছিল না। মিস্টার হ্যামফার তার ডায়েরিতে এর বিশদ আলোচনা করেছেন। ডায়েরিতে বর্ণিত প্রতিটি কথাই মিস্টার হ্যামফারের দৃষ্টিভঙ্গি। এর মাঝে কেউ নিজের যোগসূত্র খুঁজবেননা আশা করি ।


ইসলাম ধ্বংশে ব্রিটিশ মহা পরিকল্পনা ও নযদিকে টার্গেটঃ

এই পীর্বে কেন, কিভাবে এবং কোথায় চরিত্রহীন আব্দুল ওহাব নযদী কে ব্রিটিশরা খোঁজে পেল এবং কিভাবে কাজে লাগিয়েছিল তার বর্ননা পাবেন।

হুবহু হ্যাম্পার লিখেছেন যে,আমাদের ব্রিটেন বিশাল এক দেশ। এ দেশে সাগরের উপর সূর্যোদয় হয় আবার সেই সাগর তলাতেই অস্ত যায়। তারপরও আমাদের কলোনী ভারত, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে এখনও অনেক দুর্বল। এ রাষ্ট্রগুলো এখনও পরিপূর্ণভাবে আমাদের করায়ত্ত নয়। দেশগুলোর ব্যাপারে আমরা সক্রিয় এবং সফল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। অচিরেই এই দেশগুলোতে আমরা সম্পূর্ণ দখলদারী স্থাপন করতে পারব। এ জন্য দুটি বিষয় আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ


১. আমরা যে স্থানগুলো দখল করেছি তা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।


২. যে স্থানগুলো দখল হয়নি সেগুলোকে দ্রুত দখল করতে হবে।


কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয় উপরোক্ত রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে এ কাজ দুটি করার জন্য কমিশন গঠন করেছে। আমি কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পর পরই মন্ত্রীমহোদয় এ কাজের জন্য আমার উপর পূর্ণ আস্থাবান হন এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসক নিযুক্ত করেন।এটি একটা বাণিজ্যিক কোম্পানি হলেও বানিজ্যের নামে এর প্রকৃত কাজ হলো বিশাল ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করার পথ খোঁজে বের করা। আমাদের সরকার ভারতকে নিয়ে ভীত ছিল না কখনোই। ভারত বহুজাতিক লোকের দেশ, এখানকার মানুষ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে এবং পরস্পর বিরোধী স্বার্থের লোকের বসতঃ। আমরা চীনকে নিয়েও তেমন ভীত নই। চীনে বৌদ্ধ ও কনফুসিয়ানদের বাস। আর এর কোনটাই আমাদের জন্য বাঁধা নয়। দুটো ধৰ্মই মৃত ও জীবন ঘনিষ্ঠ নয় এবং কেবল কোন ধর্মালম্বী হিসেবে চিহ্নিত করা ছাড়া কোন কর্তব্য নেই। এ কারণেই উভয় দেশে থাকা লোকদের মাঝে দেশ প্রেমের অনুভূতি খুবই কম। এই দুটি দেশ ব্রিটিশ সরকারের কোন চিন্তার বিষয় নয় দেরিতে হলেও এ দুটি দেশকে বিবেচনা থেকে বাদ দিলে চলবে। তাই আমরা এ দুটি দেশে বেতন বা মজুরী নিয়ে সংঘাত, অজ্ঞতা, দারিদ্র্যতা ও রোগব্যাধি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী এক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা আমাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে এ দুটি দেশের প্রথা ও নিয়ম-কানুনগুলো নকল ও অনুকরণ করতে শুরু করি।


অবশ্য ইসলামিক রাষ্ট্রসমূহের ব্যাপারে আমাদের ভয় ছিল ও আছে। আমরা আমাদের স্বার্থের অনুকূলে সিকম্যান (উসমানী সম্রাট)-এর সাথে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। কমনওয়েলর মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞ সদস্যদের অভিমত যে, সিকম্যান এই শতাব্দীতেই শেষ হয়ে যাবে। অধিকন্তু আমরা ইরানী সরকারের সাথে আরো কিছু অতিরিক্ত গোপন চুক্তি সম্পাদন করেছি এবং উভয় দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের আমরা রাজমিস্ত্রির মত বসিয়ে রেখেছি। এ দুটি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়ার জন্য তাদের ঘুষ প্রদান করে দুর্নীতিগ্রস্থ করা, অযোগ্য প্রশাসন তৈরি করা, ভুলবাল ধর্মীয় শিক্ষা এবং সুন্দরী নারী দিয়ে তাদের দায়ীত্বে অবহেলা তৈরি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এত কিছু সত্ত্বেও আমরা আমাদের কর্মের আশানুরূপ ফল না পেয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলাম। ফল না পাওয়ার কারণ নিয়ে ব্যাখ্যা করছি।


১. মুসলমানরা একান্তভাবেই ধর্মভীরু। খুব বাড়িয়ে না বলেও বলা যায় যে, প্রত্যেক মুসলমানই একজন পাদ্রী বা সন্ন্যাসীর মতো দৃঢ়ভাবে ইসলামের সাথে জড়িত। শুনেছি একজন পাদ্রী বা সন্নাসীকে যদি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তবুও সে খৃস্ট ধর্ম ছাড়তে রাজী হয় না। ইরানের শিয়া সম্প্রদায় খুবই সাংঘাতিক। যারা শিয়া নয়, তারা এদেরকে কাফির ও বাজে লোক মনে করে। শিয়াদের মতে খৃষ্টান জাতি হচ্ছে অনিষ্টকারী ও কলুষিত। প্রকৃতপক্ষে এরা একজন অপরজন থেকে নিজেকে উত্তম মনে করে। একবার একজন শিয়াকে প্রশ্ন করেছিলাম 'কেন তোমরা একজন খৃষ্টানকে এমন মনে কর? আমাকে এভাবে উত্তর দেয়া হয়েছিল ইসলামের নবী (স.) ছিলেন একজন মহাজ্ঞানী। তিনি খৃষ্টানসহ সকলকে আধ্যাত্মিকতার কথা বলতেন, যেন তারা সঠিক পথ অনুসরণ করে আল্লাহর ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করতে পারে। সত্যিকারার্থে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় নীতি যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি আনুগত্য না করা পর্যন্ত তাকে আধ্যাত্মিকভাবে চাপে থাকতে হয়। আমি যে পাপের কথা বলেছি তা আসলে কোন বিষয় নয়। এটা সুন্নী এবং অন্য সকল অবিশ্বাসীদের জন্য প্রয়োগ করা হয়েছিল। এমনকি শিয়ারা ইরানের প্রাচীন মেজিয়্যান পূর্বপুরুষদেরও নাপাক মনে করে।"


তাকে আমি বললাম, “দেখ। সুন্নি এবং খৃষ্টানরা এক আল্লায় বিশ্বাস করে, নবীত্বে এবং শেষ বিচারের দিনেও বিশ্বাস করে। তবে কেন তারা অপবিত্র হবে”? সে উত্তরে বললো “তারা দুটি কারণে কাফের। তারা আমাদের নবীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে এবং তার কথাকে অসত্য বলেছে। তারা আমাদের নবীকে অপমান করেছে এবং মিথ্যুক বলেছে। হযরত মুহাম্মাদ সা. এবং আল্লাহ আমাদের এমন কর্ম থেকে রক্ষা করুক। আর আমরা তাদের এ ধরনের মিথ্যাচারের “ তোমরা জবাব এরূপভাবে ব্যাখ্যা করি- যদি কেউ তোমাকে উৎপীড়ন করে, তুমি তাকে বিনিময়ে উৎপীড়ন কর এবং তাদের বল; পাপিষ্ঠ"; দ্বিতীয়তঃ খৃষ্টানরা আল্লাহর নবী সম্পর্কে পাপাচারের অভিযোগ করেছিল। উদাহরণ স্বরূপ তারা বলে ঈসা (আ.) মদ পান করতেন, সে কারণে তিনি অভিশপ্ত ও ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন।


এ সূত্র ধরে, আমি লোকটিকে বললাম, খৃষ্টানরা এমন কথা বলে নাই। সে বলল, “হ্যাঁ, তা তারা বলে, তুমি জান না। বাইবেলে এভাবে লেখা আছে”। আমি শান্ত হয়ে যাই। কারণ যদিও সে দ্বিতীয় বিষয়ে সঠিক বলেনি, তবে প্রথম বিষয়ে সঠিক বলেছিল। যাই হোক, আমি এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করতে চাইনি। কারণ আমি যেভাবে ইসলামিক পোষাক পরে এ সকল বিষয়ে বিতর্ক করছি, তাতে তারা আমাকে সন্দেহ করে বসতে পারে। তাই আমি বিতর্ক ছেড়ে দিয়েছি।


২. ইসলাম এক সময় কর্তৃত্ব আর ক্ষমতার ধর্ম ছিল। তখন মুসলিমরা ছিল সম্মানিত। এখন এ সম্মানিত জনগণকে একথা বলতে কষ্ট হচ্ছে যে, তারা আজ দাসে পরিণত হয়েছে। অন্যথায় ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে এমন মিথ্যাচার করা কখনো সম্ভব হতো না। আর তাদের এভাবে বলা যেত না, একদা তোমরা যে সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলে তা ছিল কতগুলো অনুকূল পরিবেশের ফসল। সে দিনগুলো অতীত হয়ে গেছে এবং তা আর কখনও ফিরে আসবে না।


৩. আমরা অতীব উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম, অটোম্যানরা ও ইরানীরা আমাদের ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলবে এবং বানচাল করে দিবে। তা সত্ত্বেও, বাস্তবতা হচ্ছে এ দুটি রাষ্ট্র খুব দুর্বল হয়েগেছে। তারপরও আমরা নিশ্চিন্ত নই। কারণ তাদের সম্পদ, যুদ্ধাস্ত্র ও কর্তৃত্ব একটি কেন্দ্রীয় সরকার এখনো বাকি আছে।


৪. আমরা আলেমদের ব্যাপারে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। কারণ ইস্তাম্বুল, আল আযহার, ইরাকী ও দামেস্কের আলেমগণ আমাদের উদ্দেশ্য সফল হওয়ার প্রতিবন্ধক। তারা জনগণের প্রতি দয়ালু, তারা তাদের নীতি ও আদর্শে সামান্যতম আপোষ করে না। তারা দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্যের মোহে পড়ে না। তারা কুরআনে প্রতিশ্রুত জান্নাতের আশায় কাজ করে। জনগণ তাদের অনুসরণ করে। এমনকি সুলতান পর্যন্ত তাদের সমীহ করে চলে। সুন্নিরা শিয়াদের মত তাদের আলেমগণকে অন্ধভাবে অনুসরণ করেন না। শিয়ারা বইপুস্তক পড়ে না। তারা শুধুমাত্র আলেমগণের আনুগত্য করে এবং নিজে সুলতানদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখায়। অন্যদিকে সুন্নিরা বই-পুস্তক পড়াশুনা করে এবং আলেমগণ ও বাদশাহকে সম্মান করে।


এরপর আমরা অনেকগুলো মিটিং করেছি। আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়তাম এবং বারবার হতাশ হয়ে দেখতাম যে, আমাদের সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের গুপ্তচরদের কাছ থেকে যে তথ্য পেতাম তা ছিল হতাশাজনক। আর মিটিংয়ের ফলাফল হতো শূন্য। তবুও আমরা এ বিষয়ে আশা ছাড়িনি। আমরা এমন এক শ্রেণীর মানুষ যারা ধৈর্যের সাথে গাঢ় নিশ্বাস নেয়ার অভ্যাস রপ্ত করে ফেলেছি। 


এক মিটিংয়ে সর্বোচ্চ নির্দেশদাতা মন্ত্রী নিজেই এবং কয়েকজন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন। তখন আমরা বিশজন ছিলাম। আমাদের মিটিং তিন ঘণ্টা ধরে চলল। কোন ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত ছাড়াই চূড়ান্ত অধিবেশন শেষ হল। তবুও একজন পাদ্রী বলল “চিন্তা করো না। ঈসা ও তার অনুসারীরা তিনশত বছর নির্যাতিত থাকার পর কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল। এটা আশা করা যায়, তিনি অদৃশ্যলোক থেকে আমাদের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে আছেন এবং অবিশ্বাসীদেরকে (তার মতে মুসলমান বুঝানো হয়েছে), তাদের কেন্দ্র থেকে উৎখাত করতে আমাদের সৌভাগ্য দান করবেন। হতে পারে তাতে তিনশত বছর দেরি। দীর্ঘ মেয়াদী ধৈর্য্য এবং দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আমরা আমাদের যুদ্ধাস্ত্র সজ্জিত করব। কর্তৃত্ব অর্জনের জন্য সম্ভাব্য সকল পদ্ধতি গ্রহণ করে সকল প্রকার গণমাধ্যমের প্রতিটি শাখা দখল করব। অবশ্যই মুসলমানদের ভেতরে খৃষ্টান ধর্মকে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এটা হবে সহায়ক, হতে পারে এর জন্য কয়েক শতাব্দি দরকার হবে। পিতার দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সন্তানের জন্য কাজ করা।


কিছু দিন পর একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো, তাতে রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের কূটনীতিক ও ধর্মীয় লোকজন উপস্থিত ছিল। মন্ত্রী সাহেবের সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক থাকায় আমারও সেই সম্মেলনে যোগদানের সৌভাগ্য হয়। মিটিংয়ে মুসলমানদের বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত করা, তাদেরকে তাদের ধর্ম বিশ্বাস থেকে সরিয়ে ফেলা এবং স্পেনের মতো তাদেরকে খৃষ্টান বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। তথাপি সম্মেলনের উপসংহার যেভাবে আশা করা হয়েছে, সেভাবে হয়নি। আমি সম্মেলনে আলোচ্য সকল বিষয় আমার "লা মালাকুত ইল মসিহ” গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছি।


মাটির গভীরে প্রণিত বৃক্ষের শিকড় হঠাৎ উপড়ে ফেলা কষ্টকর, কিন্তু এগুলো সহজ করা এবং অতিক্রমের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ব্যাপক কষ্ট করতে হয়। খৃষ্টবাদ এখন সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমাদের প্রভু ঈসা আমাদেরকে এরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু খারাপ অবস্থা হচ্ছে, পূর্ব-পশ্চিমের সকলেই এক সময় মুহাম্মাদকে সহায়তা করেছে। সে অবস্থা এখন আর নেই, উৎপাত (তারা ইসলামকে বুঝিয়েছে) দূর হয়েছে। আজকাল আমরা আনন্দের সাথে লক্ষ্য করছি যে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমাদের মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য খৃষ্টান সরকারগুলোর মহান কর্ম ও চেষ্টার ফলে মুসলমানদের পতন শুরু হয়েছে। অন্যদিকে খৃষ্টানরা ক্ষমতা অর্জন করছে। শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে যে সকল রাষ্ট্র হাতছাড়া করেছি তা পুনরুদ্ধার করার এটাই সময়। শক্তিশালী রাষ্ট্র গ্রেট বৃটেন এমন এক কাজের ( ইসলামকে নির্মূল করতে) জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।


সূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও Dairy of Hampare এর গুগল অনুবাদ।

এ পর্বে হ্যামফার ও ব্রিটিশদের বিচক্ষনতা বুঝবেনঃ

আমার বন্ধুরা আগেই লন্ডনে পৌঁছে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে তারা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ফেরার পর আমাকেও নতুন দায়িত্ব দেয়া হলো। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের মাত্র ছয় জন ফিরে এসেছে। অন্যচারজন সম্পর্কে সচিব বললেন, “একজন ইসলাম গ্রহণ করে মিসরে অবস্থান করছে"। তারপরও সচিব খুশি ছিলেন। কারণ সে কোন গোপন তথ্য ফাঁস করেনি। দ্বিতীয়জন রাশিয়া চলে গিয়েছে, সেখানে অবস্থান করছে। সে মূলত রুশ নাগরিক ছিল। সচিব তার ব্যাপারে খুব চিন্তিত, সে তার জন্মভূমিতে ফিরেছে এ কারণে নয়, বরং চিন্তার কারণ হচ্ছে, সে সম্ভবত রাশিয়ার পক্ষে কমনওয়েলথের বিরুদ্ধে তার গুপ্তচরবৃত্তির মিশন সমাপ্ত করেছে। সচিব বললেন, তৃতীয়জন বাগদাদের নিকটবর্তী 'ইমারাহ' শহরে প্লাগ রোগে মারা গেছে। মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ জনকে সর্বশেষ ইয়ামেনের রাজধানী ‘সানআ' নগরীতে সন্ধান পেয়েছিল। তারপর এক বছর তার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এরপর তার রিপোর্ট আসা বন্ধ হয়ে যায়। সব ধরনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয় এ চারজনের হারিয়ে যাওয়াকে আকস্মিক এক দুর্ঘটন মনে করে। কারণ আমাদের লোকসংখ্যা স্বল্প হলেও আমরা জাতির এক মহান দায়িত্বে নিয়োজিত। তাই আমরা প্রতিটি মানুষকে সূক্ষ্মভাবে যাচাই-বাছাই করি।


আমার কয়েকটি রিপোর্টের পর আমাদের চারজন প্রদত্ত রিপোর্টগুলো বাছাই করার জন্য সচিব একটি সভা ডাকেন। আমার বন্ধুরা যখন তাদের কাজের বিবরণ দিয়ে রিপোর্ট জমা দিল, তখন আমিও আমার রিপোর্ট জমা দেই। তারা আমার রিপোর্ট থেকে তথ্য টুকে নেয়। মন্ত্রী, সচিব ও সভায় উপস্থিত অন্যান্যরা সবাই আমার কাজের প্রশংসা করল। তারপরও আমি তৃতীয় হলাম। আমার বন্ধু 'জর্জ বেলকোড' প্রথম হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। 'হেনরী ফেন্স' হয়েছে দ্বিতীয়। আমি বিস্ময়করভাবে তুর্কি ভাষা, আরবি ভাষা, পবিত্র কুরআনুল কারীম ও শরীয়াহ শিক্ষায় খুব সাফল্য অর্জন করেছিলাম। তবুও আমার রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে অটোমান সম্রাটের (উসমানী খলিফার) দুর্বল দিক তুলে ধরতে পারিনি। দুঘণ্টা মিটিংয়ের পর সচিব আমার ব্যর্থতার কারণ জানতে চাইলেন। আমি বললাম, “আমার প্রধান দায়িত্ব ছিল তুর্কি ও আরবি ভাষা শিখা, কুরআন ও শরীয়াহ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা। আমি এর বাইরে কোন কিছুতে সময় ব্যয় করিনি। এবার যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারব” সচিব বললেন, আমি অবশ্যই সফল হয়েছি। কিন্তু তিনি কামনা করেছিলেন আমি যেন প্রথম স্থান অর্জন করি। তিনি চলে যাওয়ার সময় বললেন, “হ্যামফার! তোমার পরবর্তী মিশনে দুটি কাজ আছে। তা হচ্ছে,


১. মুসলমানদের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করা। আমরা ঐ পথে তাদের ভেতর প্রবেশ করব। তাদের ঐক্যকে বিচ্ছিন্ন করে দিব। শত্রুকে পরাজিত করার এটাই মূল পথ।


২. যখন তুমি এ সব দুর্বল বিষয় চিহ্নিত করতে পারবে এবং আমি যা বলেছি তা করবে। (অন্য ভাষায়, তুমি মুসলমমানদের মাঝে বিরোধের বীজ বপন করবে এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লেলিয়ে দিতে সক্ষম হবে) তখন তুমি হবে সবচে সফলতম এক গোয়েন্দা। তখন মন্ত্রণালয় থেকে পদক অর্জন করতে পারবে।”


লন্ডনে ছয় মাস ছিলাম। আমার চাচাত বোন মারিয়া শ্যাভকে বিয়ে করি। সে আমার চাচার প্রথম মেয়ে। তখন আমার বয়স ছিল বাইশ আর আমার স্ত্রীর বয়স ছিল তেইশ। মারিয়া শ্যান্ডে ছিল এক অপরূপা সুন্দরী, খুবই বুদ্ধিমতি এবং সংস্কৃতিমনা। তার সাথে জীবনের সবচে সুখময় ও আনন্দমূখর দিনগুলো অতিবাহিত করি। আমার স্ত্রী ছিল গর্ভবতী। আমরা নতুন অতিথির আগমনের অপেক্ষায় ছিলাম। তখন আমাকে ইরাক যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আমরা পুত্র জন্মের অপেক্ষায় ছিলাম। এমন অবস্থায় ইরাক যাত্রার নির্দেশ আমাকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। যাহোক, আমি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। আমার সহকর্মীদের মধ্যে সবচে বেশি যশখ্যাতি অর্জনের জন্য যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, তা ছিল একজন স্বামী ও একজন পিতার আবেগের চেয়ে অনেক উর্ধ্বে। ভাই এ কাজটি আমি নির্দ্বিধায় গ্রহণ করি। আমার স্ত্রীর ইচ্ছে ছিল বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত যেন আমার যাত্রা স্থগিত রাখি। যে যাই বলল তাতে আমি কান দিলাম না। আমরা উভয়েই কাঁদছিলাম এবং পরস্পরের বললাম “বিদায়”। আমার স্ত্রী বলল, “আমার কাছে চিঠি লেখা বন্ধ করো না, আমার চিঠিতে তোমাকে আমাদের নতুন বাড়ির কথা লিখব, যা সোনার চেয়েও দামী” তার এ কথাগুলো আমার হৃদয়ে ঝড়ের মাতম বইয়ে দিল। আমি প্রায় যাত্রা বাতিল করেই ফেলেছিলাম। কিন্তু আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হই। স্ত্রীর নিকট বিদায়ের সময় লম্বা করে আমার পরবর্তী চূড়ান্ত নির্দেশনামা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে বের হলাম।


ছয় মাস পর আমি ইরাকের বসরা নগরীতে যাই। নগরীর জনগণ অর্ধেক সুন্নি ও অর্ধেক শিয়া। বসরা হচ্ছে আরব, পারস্য এবং কিছু সংখ্যক খৃস্টান জনগণ মিশ্রিত উপ জাতীয় শহর। জীবনে আজই প্রথম পার্সিয়ানদের সাথে মিলিত হলাম। এভাবেই সুন্নি ও শিয়াদের সংস্পর্শে আসা।


শিয়ারা বলে থাকে, তারা আলি ইবনে আবি তালেবকে অনুসরণ করে। তিনি ছিলেন হযরত মুহাম্মাদ সা. এর তনয়া ফাতিমার স্বামী। একই সাথে আবার আপন চাচাত ভাই। তারা বলেন, মুহাম্মাদ সা. আলিসহ মোট বারজন ইমাম নিয়োগ করেছিলেন। আলির উত্তারাধিকারীরা তাকে খলিফা হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন। আমার (হ্যামফারের) মতে খেলাফতের উত্তরাধিকারের ব্যাপারে আলি, হাসান ও হুসাইন-এর বিষয়ে শিয়াদের বক্তব্য সঠিক। ইসলামের ইতিহাস থেকে যতটুকু জেনেছি, সম্মানিত এবং মহাজ্ঞানী আলি খেলাফতের উপযুক্ত ছিলেন। আমার এও মনে হয় যে, মুহাম্মাদ সা. হাসান-হুসাইনকে খলিফা পদে মনোনীত করেননি। এ ব্যাপারেও আমাকে সন্দিহান করে তোলে যে, মুহাম্মাদ সা. হুসাইনের পুত্র এবং তার আট নাতিকে খলিফা হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। মুহাম্মাদ সা. এর ইন্তেকালের সময় হুসাইন ছিল খুবই ছোট। তাহলে তিনি কীভাবে জানান, তার আটটি নাতি হবে? যদি . এ কোর রাসূল হন, তাহলে ভবিষ্যত সম্পর্কে আল্লাহর পক্ষ থেকে জানা । যেমন বিচার সম্পর্কে জানতেন। যদিও মুহাম্মাদ সা. এর অনুষ্ঠানের বিষয়টি দৃষ্টানদের কাছে সংগ্রহের বিষয়


ছোট।তাহলে তিনি কিভাবে জানতেন তাঁর আটটি নাতী হবে? যদিন একটি হচ্ছে আম কুরআন পাঠ করেছি। এটি একটি অতি মাসের গ্রন্থ। এমনকি এটি তাওরাত-বাইবেলের চেয়েও অধিক উঁচুমানের। কারণ, এটাতে নীতিমালা, বিধি-নিষেধ আলোচনা রয়েছে।


এটা আমার কাছে ঘিরে, আর মুহাম্মাদের মতো একজন নিরক্ষর ব্যক্তি কীভাবে এত উচুমানের রাতে বারণ করেছিলেন এবং যে কোন অবস্থার এর পিতা এবং ব্যক্তিত্বকে শিক্ষার মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন, যা কোন অবস্থাতেই একজন সাধারণ মানুষের জীবনে অধ্যয়ন করে কিংব প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমি চিন্তা করি স এরার কার


আমি সর্বদা মুহাম্মাদ সা রে শামীকে আমার আমাদের কথা একগুয়ে উত্তর আমার পছন্দ হল না। আমি তুরস্কে আহমদ ইয়েদিকে বহুব শেষপর্যন্ত তার কাছে কি আর ইফেম্পিকে এ বিষয়ে। 


আমি মুহাম্মাদ সা. কে নিয়ে খুব ভাবতাম। তিনি আল্লাহর রাসূল তাতে কোন সন্দেহ নেই। এ সম্পর্কে আমরা বইয়ে পড়েছি। তবুও একজন খৃস্টান হয়ে আমি তার নবুওয়াতে বিশ্বাসী নই। তথাপি নিঃসন্দেহে তিনি প্রতিভাধর ব্যক্তিদের শীর্ষমনী ।


অপরদিকে সুন্নিরা বলত, রাসূলের ইন্তেকালের পর মুসলমানগণ আবু


বকর, উমর, উসমান ও আলিকে খেলাফতের যোগ্য হিসেবে নির্বাচন করেন। এধরনের বিতর্ক সবধর্মে আছে, তবে খৃস্টধর্মে সবচে বেশি। আজ উমর ও আলি কেউ বেঁচে নেই। তারপরও এধরনের বিতর্ক জিইয়ে রাখার কোন সন্তোষজনক উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। আমার (লেখকের) মতে, মুসলমানরা বুদ্ধিমান হলে তাদের অতীতের দিনগুলোর পরিবর্তে বর্তমান নিয়ে ভাবা উচিত। একদিন কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয়ে শিয়া-সুন্নি মতানৈক্যের বিষয়ে বললাম, “মুসলমানরা যদি তাদের জীবন সম্পর্কে বুঝতে পারে, তাহলে অবশ্যই তারা এ শিয়াসুন্নি মতভেদ দূর করে ফেলবে এবং একতাবদ্ধ হয়ে যাবে।” তখন কোন একজন আমাকে বাধা দিয়ে আপত্তিকরে বলল “তোমার দায়িত্ব হচ্ছে এ মত পার্থক্যকে উস্কে দেওয়া, মুসলমানরা কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হবে তার চিন্তা করা নয়।” আমার ইরাক যাত্রার প্রাক্কালে সচিব বললেন, ও হ্যামফার! প্রভু হাবিল ও কাবিলকে সৃষ্টি করার পর থেকেই প্রকৃতিগতভাবে মানুষের মাঝে মতবিরোধ চলে আসছে। যীশুখৃস্ট ফিরে না আসা পর্যন্ত এ মতভেদ চলতে থাকবে। তাই বর্ণ, গোত্র, ভূখণ্ডগত, জাতিগত এবং ধর্মীয় মতবিরোধগুলো থাকবেই।


এবার তোমার দায়িত্ব হচ্ছে, এ মতানৈক্য বিষয়গুলোকে ভালভাবে শনাক্ত করা এবং মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করা। মুসলমানদের মধ্যে বিভেদগুলোকে আরো উস্কে দেয়ার উপর নির্ভর করছে তোমার অধিক সফলতা। আর সেটা হবে ইংল্যান্ডের প্রতি তোমার মহান


সেবা।


আমরা (ইংরেজরা) যেন কল্যাণকর এবং বিলাসবহুল জীবন-যাপন করতে পারি তার জন্য তাদের কলোনী রাষ্ট্রগুলোতে গৃহযুদ্ধ ও মতবিরোধ সৃষ্টি করতে হবে। শুধুমাত্র এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই অটোমান সাম্রাজ্য (উসমানী সালতানাত) ধ্বংস করা সম্ভব হবে। অন্যথায় কীভাবে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির একটি জাতি বড় একটি জাতিকে অধীনস্থ করতে পারে? তোমরা সর্বশক্তি ব্যয় করে মুসলমানদের গভীরে থাকা ফাটলগুলো খুঁজে বের কর। পাওয়ার সাথে সাথে ভিতরে প্রবেশ কর। তোমার জানা উচিত অটোমান ও ইরানী সম্রাটরা তাদের অস্তিত্বের শেষপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। তাই তোমাদের কাজ হচ্ছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলা। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, গণবিদ্রোহ সকল বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু। যখন মুসলমানদের ঐক্য ভেঙ্গে যাবে এবং তাদের ভেতর থেকে সাধারণ অনুভূতি উধাও হবে, তখন তাদের শক্তিও ফুরিয়ে যাবে। তখন সহজেই আমরা তাদের ধ্বংস করতে সক্ষম হব।


(চলবে...)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

বাউল নামের ফাউল আর আইয়্যেমে জাহেলিয়াতের কবিদের পরিত্যাজ্য

  ইদানীং বাউলদের ফাউল আচরন আর সৃষ্টি কর্তার সাথে বেয়াদবীর সীমা অতিক্রম করেছে। আগের যুগে আইয়্যেমে জাহেলিয়াতের কবিরা যেরকম আচরন করত সেরকম আচরন...