"জামায়াতে ইসলামির আকিদায় যে সকল ত্রুটি বিদ্যমান থাকার কারনে হক্বানী আলেমরা জামায়াতের বিরোধিতা করে"
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতেই হাক্বানী ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে তাদের আকিদা ত্রুটিপূর্ণ ও কোনো ভাবেই ইসলামী দল নয়। আর এজন্যই জামায়াতের সাথে বিগত ৮৫ বছরে কোনো হক্বানী ওলামায়ে কোরামের দল জামায়াতের সাথে ঐক্য হতে পারে নি। চলুন জামায়াতে ইসলামী যে কারনে ইসলামী দল মা তা তথ্য ভিত্তিক আলোচনা করা যাক।
১। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আ'লা মওদুদী (রাহি:) অখন্ড ভারত মাতাকে ভেঙ্গে মুসলমানদের আলাদা দেশের নামে বিভক্ত করেছ।
২।জামায়াতে ইসলামি কংগ্রেসের মত ইসলাম প্রিয় হিন্দত্ববাদী গান্ধীর কংগ্রেসের হিন্দু মুসলিম একজাতি এই পবিত্র তত্ত্বকে কুফুরূ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
৩। এখন হতে ৫৪ বছর আগে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হলে উপমহাদেশে মুসলমানদের শক্তি কমে যাবে এবং ভারত নতুন বাংলাদেশকে শোষন করবে এই অজুহাতে অবিভক্ত পাকিস্তানের দোহাই দিয়ে ১৯৭১ সালে ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে পূর্বপাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ তৈরীর বিরোধিতা করেছে।
৪।জামায়াত অনেক মারেফতি বিষয় বিশ্বাস করে না, যেমন-
★জামায়াত হক্বানী পীরসাবের দোহাই দিয়ে সুন্দরবন হতে মধু আনতে গেলে বাঘের সামনে পড়লেও পীরের কথা শোনে মৌয়ালকে ছেড়ে দেয় এটা জামায়াত জানেই না।
★ চট্টগ্রামের বুজুর্গ নিয়মিত এশার নামাজের পর আফ্রিকা গিয়ে ভোরে হাটহাজারি এসে ফজর পড়াইত এই হাকীকত জামায়াত বিশ্বাস করে না।
★ সাপ পীরের কাছ মূরীদ হয়ে খেলাফত পায় এটা জামায়াতের লোক মানে না।
★ জ্বীনেরা যে হক্বানী আলেম ওয়ায়েজিনকে দাওয়াত দিয়ে মাহফিলে নিয়ে যায় এই মারেফতি বিষয় টি জামায়াতের মূর্খ গুলা বুঝতেই চায় না।
★ নদীর পাড়ের কোনো এক হক্বানী পীরসাব হুজুরকে পুলিশ এরেষ্ট করতে এসে দেখেছিলো ওয়ারেন্ট সাদা হইয়া গেছে, তার পর বিডিআর এরেস্ট করছে, এটা জামায়াতের বোকারা বুঝে না, ওরা বলে বিডিআর নাকি আসামী এরেস্ট করে না, কন তো কেমনডা লাগে?
★ কুকুর পীরসাহেব হুজুরের সামনে আসায়
কুকুরের জবান খুলে গেছিলো এটা জামায়াতের লোকের বুঝে না, জানেও না।
★ বেগুন গাছে মাইক বাইন্দা ওয়াজ করা যায় এবং পরের দিন ঐ গাছের বেগুন গুলা বাজারে গিয়ে পীরসাব হুজুরের নামে জিকির করেছিলো এই ইতিহাস তো বিশ্বাস করেই না বরং এটা নিয়া মজা করে।
★পিয়াজের কিচ্ছা নিয়া মজা করে, অথচ পিয়াজ এক হক্বানী পীরসাব হুজুরের ওয়াজ শোনে বাজারে নেওয়ার পর পেয়াজের জবান খুলে যায়, জামায়াতের লোকেরা বলে এটা না কি অসম্ভব।
★ বাইম মাছের কিচ্ছার মর্মটাই আজ পর্যন্ত জামাইত্তারা বুঝে নি, হুদাই চিল্লায়।
★জাহাজে করে মূরীদ পার করা যায় এটা জামায়াতের লোক কি করে বুঝবে?
★কবরে এক ব্যক্তি শুয়োর হয়ে ফেরেশতাদের মাইরের চুটে জিহ্বা বের করে দিছিলো, হক্বানী পীরের দাদা মোরাকাবা করে তাকে মাফ করাইয়াছিলো তা বুঝে না জামায়াতিরা।
★ দুনিয়ায় গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়ে আল্লাহর নবীকে ভোট দেওয়া যায় এটা জামায়াতের অনেকেই মানে না।
★ হযরত আদম(আ:) দুনিয়ায় এসেছে মলমূত্র ত্যাগ করতে এই আকিদায় জামায়াত বিশ্বাস করে না।
৫। মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশী ! (আশেক
মাশুক ৮৮-৯০ পৃষ্ঠা ) এটা জামায়াত মানে না।
৬। আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করবে । ( ভেদে মারেফত ৬০ পৃষ্ঠা ),এই কথা জামায়াতের লোকের আকিদা নয়।
৭। পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে ।( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ) এটা নাকি জামায়াত জানে না।
৮। পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ ।( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া ৫৫ পৃষ্ঠা ) এই দলিল নাকি জামায়াতের লোকেরা পায় নি।
৯। আল্লাহর কাছে আন্দাজ নাই । ( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ), জাময়াত এই আকিদার বিরোধিতা করে।
১০।শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক ।
( আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী ৩৫ পৃষ্ঠা ),এটা জামায়াত অস্বীকার করে।
১১। পীর কাফন চোরকে পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন । ( ভেদে মারেফত ২৭-২৮
পৃষ্ঠা ),জামায়াতের কারো বাপের ক্ষমতাও নাই এ কাজ করার, জামায়াতের এমন বুজুর্গ নাই বা বানাতে ব্যর্থ হয়েছে।
১২।পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা থাকিবে না । ( আশেক মাশুক ৮১ পৃষ্ঠা),জামায়াত বলে এটা নাকি ভুল ধারনা।
১৩। পীর যে কেয়ামতের দিন সকল মুরীদের গুনাহমাফ করিয়ে দিবেন ।(ভেদে মারেফত ৩৪পৃষ্ঠা )এটা জানেই না জামাইত্তারা।
১৪। পীর আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক করে রুহ নিয়ে আনতে পারে এটা জামায়াত মানে না।( ভেদে মারেফত ১৫ পৃষ্ঠা ),
১৫। পীরগণ কেয়ামতের দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে ।( ভেদে মারেফত ২৫-২৬ পৃষ্ঠা, আশেক মাশুক ৬৬-৮১ পৃষ্ঠা ),জামায়াতবএটা একীন করে না।
১৬। মৃত্যুর সময় যে হক্বানী পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান থেকে বাঁচাতে পারেন ।(ভেদে মারেফত ৩১ পৃষ্ঠা) এটা নাকি জামায়াতের লোকের জানে না।
১৮। সব চেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হলো ১২৬ তরিকার মধ্যে সাবেরিয়া তরিকা নামক একটা শর্টকাট তরিকা আছে তা জামায়াতের লোকেরা নাকি কখনো শোনেই নি।
১৯। জামায়াতের লোকেরা মাজারে গিয়ে সিজদা করে না, মাজারে শিন্নীর জন্য ভীড় জমায় না।
২০।জামায়াতের লোকদের কারো কোনো খনকা শরীফ বা দরবার শরীফ নাই, বরং জামায়াতের লোকেরা এর বিরুদ্ধে কথা বলে।
সুপ্রিয় পাঠকগন, এমন হক্বানী আলেম ও পীরদের আকীদা গুলার যারা বিরোধিতা করে তাদের আকীদা কেমনে ঠিক হয় এবং হক্বানী আলেমরা এমন জামায়াতে ইসলামীকে কিভাবে সমর্থন করবে? আপনারাই বলুন।
লেখক:ডা.বশির আহাম্ম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ