4547715 ডা.বশির আহাম্মদ: মাদখালি কারা > expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

মাদখালি কারা

 মাদখালি কারা? তাদের চরিত্র কেমন?



সবাই পড়ুন! আর বিশেষভাবে জামায়াত-শিবিরের ভাইয়েরা খেয়াল করুন,এখনো সতর্ক না হলে বাঁশ কোথায় দিয়ে ঢুকবে আর কোথায় দিয়ে বের হবে টেরও পাবেন না।অথচ ৯৯.৯৯% জামায়াতের ভাইয়েরা এই বিষাক্ত প্রোডাক্ট গুলো কি জানে না এবং জানার চেষ্টাও করে না।

 

 আজকে খুব বিশ্বয়কর বিষয়ে লেখার চিন্তা করছি। তাই তীর আসবে দুই দিক থেকে! আমও প্রস্তুত।


অনেকে প্রশ্ন করেন মাদখালী কারা? সংক্ষেপে মাদখালী হলেন বাংলাদেশে আহলে হাদীসের একটা গ্রুপ। আল মাদাখিলা বা মাদখালিরা হল এমন এক ফিরকা যারা নিজেদেরকে সালাফি বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।ব্রিটিশ দালাল,জান্নাতুল বাকীর খুনি, আব্দুল ওহাব নযদি কা*জ্জা*বের অনুসারী সৌদি নাগরিক রাবী’ ইবনে হাদী আল-মাদখালি এর নামানুসারে এই নামকরণ হয়। যেমন গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারীদের কাদিয়ানী বলে। “মাদখালি” ছাড়া তাদের আরও অনেক নাম আছে। অনেকটা গিরগিটির মত রং বদলে যেখানে যেটা সুবিধা সেই নাম ব্যাবহার করে। কখনো আহলে হাদীস, কখনো সালাফী, কখনো সালাফিয়্যাহ জাদীদাহ,জামাআতুত তাবদী’ ওয়াল হিজরাহ,আদিয়্যাহ আস সালাফিয়্যাহ।


এরা দেখতে সুরতে সুন্দর, বাহ্যিক আমল সহীহ মনে হলেও আদতে এরা মুসলমান নয়, কুজুরের মত চরিত্র, সাপের মত বিষাক্ত আর শেয়ালের মত ধূর্ত।


যাইহোক এই সময়ে তাদের দাপট প্রবল। এর কারণ, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে কিছু শাসক তাদের নিয়মিত স্পনসর করে বিশেষ করে ই*হু*দির দালাল সৌদি রাজ পরিবার। তাদের ভাষায় রাজনৈতিক ইসলাম মোকাবিলায় মূলত ইসলামী দলের বিপরীতে শাসকদের একএকেক ধরণের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হয় মাদখালী গ্রুপ। 


একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিস্কার হবে। বাংলাদেশে তাদের কোন রাজনৈতিক দল নাই কিন্তু সারাক্ষণ দেখবেন ইসলামী রাজনৈতিক দল গুলোর বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। ভোট দেয়া জায়েজ কি জায়েজ নয়, রাজনীতি হালাল নাকি হারাম, আন্দোলন সহীহ নাকি গলত এইসব বিষয় নিয়ে ইসলামী দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এর কারণ তাদের মূল টার্গেট তাদের ভাষায় রাজনৈতিক ইসলাম প্রতিহত করা। প্রয়োজনে তারা স্যাকুলারদের সাথে নিয়ে কাজ করবে! কেননা তারা ব্রিটিশদের তৈরী আর পশ্চিমাদের স্বার্থে সর্বদা নিয়োজওত।


মধ্যপ্রাচ্যে মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসীকে তারা হটিয়ে সিসিকে এনেছে, সুদানে ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনীকে গদি দিয়েছে, লিবিয়ায় জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্বে স্যাকুলার হাফতারকে সাহায্য করছে। এর কারণ, লিবিয়ায় স্বীকৃত সরকারের সাথে আছে ব্রাদারহুড। এসবের পিছনে কিছু পরিচিত শাসক তথা সৌদি রাজ পরিবার মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ ব্যায় করছে। এই অর্থের অংশ পায় মাদখালী গ্রুপ যারা তাদের ভাষায় রাজনৈতিক ইসলাম মোকাবিলায় এক সেক্টরে সচল। 


আমার আলোচনার বিষয় জামায়াত শিবিরকে বর্তমানে মাদখলি কুকুররা কিভাবে ব্যবহার করছে?


এই দেশে দেওবন্দের প্রবল প্রভাব এর সাথে আছেন সুফী বা পীর কিংবা শিরকে নিমজ্জিত মাজার পন্থী বেরলভিরা। এরা শুরু থেকে যেকোন প্রকার আহলে হাদীসদের ঘোর বিরোধী। সেখানে প্রবেশ নিষেধ বা সুযোগ নাই। শুরু হতেই  কৌশলে ঢুকেছে জামায়াত শিবিরে।


জামায়াতে ইসলামীকে বাহন হিসেবে এই মাদখালি পরগাছা গুলা সিদ্ধ হস্তে ব্যবহার করে মিডিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামির প্রশ্রয়ে কেউ প্রফেসর, ব্যাংকের শরীআ বোর্ডের চেয়ারম্যান, নিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিন ইত্যাদি পদ বাগিয়ে নিয়েছে। যখন জামায়াতের দলটির খারাপ সময় শুরু তখন এরা তাদের আসল চেহেরা দেখিয়ে দিয়েছে। আল্লামা সাঈদি-সহ  তাদের সকল রাজনৈতিক লিডারদেরকে খারেজি ইখওয়ানি বলে ব্লাকশ্যাডোতে পাঠিয়েছে।


প্রমাণ লাগবে তাইনা? 

মতিউর রহমান মাদানী নিজেই স্বীকার করেছে তাকে এক সময় জামায়াতের আমীরের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল। সাধারণ পাব্লিক কি আমীর হতে পারে? যাক, সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু ডাঃ আবু বকর জাকারিয়া, সাইফুল্লাহ মাদানী তো জামায়াতের প্রোডাক্ট! দিগন্ত টিভি ইসলামীক টিভির মাধ্যমে পরিচিত শায়খদের মুখ খেয়াল করেন। তারা কারা? প্রমাণ পেয়ে যাবেন।


জামায়াতী ভাইয়েরা সতর্ক না হলে সামনে আরো বাঁশ আসবে! আহলে হাদীস অনুসারীরা যাকে তাকে জামায়াত বানিয়ে দেয়। আমি ইঞ্জয় করি। কথা হল, জামায়াত শিবিরকে মেধাবী স্মার্ট বলে সবাই জানে কিন্তু তাদের বাসায় কিভাবে ডিম রেখে মাদখালীরা বাচ্চা ফোটালো, তা মাথায় ঢুকছে না।


লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

বাউল নামের ফাউল আর আইয়্যেমে জাহেলিয়াতের কবিদের পরিত্যাজ্য

  ইদানীং বাউলদের ফাউল আচরন আর সৃষ্টি কর্তার সাথে বেয়াদবীর সীমা অতিক্রম করেছে। আগের যুগে আইয়্যেমে জাহেলিয়াতের কবিরা যেরকম আচরন করত সেরকম আচরন...