"তৃতীয় চক্ষু খোলে দেখুন, সাবধান হোন, জাল সালাফী ও নযদি-ওহাবী আহলে হাদিস হতে জামায়াতে ইসলামীকে বাঁচান"
মাওলানা মওদূদীর (রহ.) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রচনা হলো খেলাফত ও রাজতন্ত্র। এই বইয়ে তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে ক্ষমতা ব্যবহার করে পাওয়া পয়সা ও ক্ষমতা ইসলামের খেলাফতকে ধ্বংস করে রাজতন্ত্রের উত্থান ঘটিয়েছিল। মাওলানার এই বইটি যদি বুঝে থাকেন তাহলে বর্তমানে জামায়াতের সঙ্কটকেও সহজে সমাধানের উপায় সহ বুঝবেন। দলটির পদপদবী ও ক্ষমতা যে পুঁজির জন্ম দিয়েছে সেই পুঁজি কিভাবে জামায়াতের ফাঁসি বিরোধী আন্দোলনকে খেয়ে দিল? কিভাবে ইসলামী ব্যাংক খেয়ে দিল, কিভাবে নেতৃত্ব ডাকাতি করে ফেলল?
প্রতিটি স্তরে জামায়াতকে ব্যবহার করে সুবিধা পাওয়া লোকেরা সরকার ও এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে আঁতাত করেছে। খেলাফত ও রাজতন্ত্রের আলোকে দেখুন নযদি-ওহাবী ও সালাফি-আহলে হাদিস ডা. শফিকুর রহমান কিভাবে জামায়াতের আমীর। তিনি একজন কোটিপতি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসায়িক পার্টনার, কথা হলো তাঁর এ সম্পদ কিভাবে হলো? তার অতীত খুঁজলে দেখবেন তিনি ছাত্রজীবন থেকে দায়িত্বশীল ছিলেন, পরে জামায়াতেরও দায়িত্বশীল ছিলেন, তারমধ্যে তিনি কিভাবে সম্পদ গড়লেন? জামায়াতের আগের নেতাদের বেলা তা এমন ঘটনা ছিল না।
অনুরুপ নযদি-ওহাবী, জাল সালাফি ও কথিত আহলে হাদিস কেন্দ্রের রেজাউল করিম, সিলেটের সেলিম উদ্দিন, কুমিল্লার সানাউল্লাহ মজুমদার প্রমুখ সহ হাজারো নেতার খবর নিন, এই প্রতিবেদনের সত্যতা পাবেন।
আজকে খোঁজ নিন কিভাবে দলে ঘাপটি মারা নযদি-ওহাবী, জাল সালাফি ও ব্রিটিশ দালাল আহলে হাদিসরা দলকে ব্যবহার করে নেতা হওয়া মালদারদের ব্যবসা ও নির্বাচন কিভাবে ইসলামী আন্দোলনের নীতি ঠিক করে দিচ্ছে।
খোঁজ নিন তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ মামলার অভিযোগের উছিলায় কিভাবে জামায়াতকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আদর্শের নেতৃত্বকে ধ্বংশকরে এই ওহাবী-নযদি ও তথাকথিত আহলে হাদিসরা সম্পূর্ন দলটিকে ওহাবীজম মতবাদে রিপ্লেসড করছে?একে একে কিবাবে মূলধারার নেতৃবৃ্ন্দকে সরিয়ে দিচ্ছে? খজ নিন।
জোট সরকারের আমলে জমির ব্যবসার মত বহু সুদের ব্যবসায় কারা জড়িয়ে জামায়াতের কোন মতাদর্শের নেতারা কোটি কোটি টাকা ডাকাতি করে গা ঢাকা দিয়েছে তা মানুষ এখনো ভুলে নি। আইসিএল,এফআইসিএল সহ শত শত হায় হায় কোম্পানীর জন্মদাতা কারা ছিলো খোঁজ নিলে আরো জানতে পারবেন। সব কিছুর মূলে নযদি-ওহাবী, জাল সালাফি ও ব্রিটিশ দালাল আহলে হাদিসরাই।
সংকলন:khomenee ehsa এর একটি প্রতিবেদনের ব্যবচ্ছেদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ