"কথিত আহলে হাদিস এমপি রহমতুল্লাহর সংসদে দেওয়া বক্তব্য প্রমান করে এ সকল মডিফাইড খ্রিস্টানরা কত বড় ষড়যন্ত্র কারী"
আহলে হাদিস নামক মডিফাইড খ্রিস্টান ফেতনা ইসলামের জন্য আজ বড় জঘন্য ফেতনা। আমি হেমফারের ডায়েরি নিয়ে আলোচনায় এরা যে খ্রিস্টান ও কমনওয়েলথ গোয়েন্দাদের সৃষ্টি তা প্রমান দিয়েছি।
তাছাড়ও তারা দিল্লীর আদালত হতে ১৮৮২ সালে আহলে হাদিস নামটি ধারন করেছে। আর এই নামও ইংরেজদের পা চেটে, ইংরেজ শাসন ইসলামী শাসন বলে ফতোয়া দিয়ে পুরস্কার সরুপ এই নাম ধারন করেছে।
তারা শুধু খ্রিস্টানদের দালালই নয়, তাদের মধ্যে অনেক খ্রিস্টান বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকাও তারা যে মডিফাইড খ্রিস্টান তা প্রমান করে। বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে হলো সকল প্রানীর রক্ত হালাল মনে করা, মানুষের বীর্য পবিত্র মনে করা, মদকে পবিত্র বস্তু মনে করা, দেহবাদীতা ইত্যাদি।
ওরা যে সব সময় নিজের স্বার্থে বাতিলের সাথে আঁতাত করে তার আরেকটা বাস্তব প্রমান হলো সৌদি সরকারের এই ঘোষনা যে পশ্চিমাদের চাপে প্রতি বছর সালাফিজম বিস্তারে তারা কোটি কোটি বিলিয়ন টাকা খরচ করে।আমার প্রশ্ন হলো জাল সালাফি ও কথিত আহলে হাদিসরা যদি খ্রিস্টান ও পশ্চিমাদের দালাল নাই হবে তাইলে পশ্চিমারা কেনো তাদেরকে লালন পালনের জন্য টাকা দিতে সৌদি সরকারকে চাপ দিবে?
কথিত আহলে হাদিসরা যদি মুসলমানই হবে এবং খ্রিস্টানদের দালালই না হবে তাইলে যেখানে পশ্চিমারা মুসলমানদের সহ্য করতে পারে না সেখানে ওরা এই ফেরকাকে লালন পালনের জন্য সৌদি সরকারকে অনুরোধ করবে কেনো? এটা কি প্রমান করে না যে এই ফেরকা পশ্চিমাদের স্বার্থ হাসিল করে চলছে। আছে আহলে হাদিসদের নিকট এর কোন সঠিক জবাব?
এবার আসুন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাথে এই মডিফাইড খ্রিস্টান মুনাফেকদের আঁতাতের বিষয়ে। আমরা গত ১৫ বছর যাবত দেখছি যে বর্তমান সরকার আলেমদের একদম সহ্য করতে পারে না। একটু উসিলা পেলেই আলেমদের জেলে পুরিয়ে দেয় এবং নির্যাতন করে।কিন্তু কেউ কি একবারও খেয়াল করেছেন যে এই কথিত আহলে হাদিসের কোন আলেমকে কিছু বলতে? বরং এই সরকারোর আমলেই আহলে হাদিস মহা পরিকল্পনা ২০১৩ ঘোষনা করে কৌশলে জামায়াতের সকল আলেমদেরকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে হত্যা করিয়েছে।
এমন কি সরকারের সাথে আঁতাত করে নবীয়ে করিম (সা:) এর অসন্মানে প্রতিবাদ করা হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছে।
নিজেকে আহলে হাদিসের অনুসারী উল্লেখ করে তাঁর পকেটে কমপক্ষে দুই কোটি ভোট আছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ সালাফির সংসদে বক্তব্য আমার দাবী গুলোর পক্ষে আরো জোড়ালো প্রমান দিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে আহলে হাদিসের অনুসারী ৩০ জন এমপি রয়েছেন। তবে তাঁরা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেন না।এটাই তাদের কৌশল। এরা জামায়াতে ইসলামীতেও এই কৌশলে শূরা কমিটিকে অলরেডি সালাফি করন করেছে যদিও জামায়াতের মাথা মোটা নেতৃত্ব তা বুঝতে অক্ষম। এরাই যুদ্ধাপরাধ ইস্যু হতে জামায়াতকে দায় মুক্তির কুযুক্তি দিয়ে জামায়াতকে একদিকে বসিয়ে রেখে আহলে হাদিসের আওয়ামী পন্থি গ্রুপকে দিয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করিয়েছে।
গত বছর সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে রহমতুল্লাহ এদের কিছু গোপন বিষয়ে মুখ ফসকে কিছু কথা বলে ফেলেন।
ক্ষমতাসীন দলের এই এমপি নিজেকে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোটারের প্রধান উপদেষ্টা দাবি করে জানান, তাঁকে সভাপতি হতে বলা হয়েছিল। নিজ অফিসে বসে তিনি আহলে হাদিসের কমিটি বানিয়ে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। তারা কোনো দিন জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন করে না।
তিনি যেদিকে যাবেন, আহলে হাদিসের অনুসারীরা সেদিকেই যাবেন বলেও দাবি করেন রহমতুল্লাহ।
এর পরও যদি এদেশের মুসলমান এসকল মডিফাইড খ্রিস্টান গুলারে চিনতে ভুল করে মুসলিম হিসাবে গন্য করে এ জাতির কপালে দূর্ভাগ্য ছাড়া আর কি অবশিষ্ট আছে? আমি তো সতর্ক করা ছাড়া আর কিছু করার ক্ষমতা রাখি না।
লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ