"ইবলিশের মানব জাতি ও আল্লাহর ওহীর প্রতি চ্যালেঞ্জ"
শয়তান পূজারীরা আগুনকে শক্তির উৎসহ মনে করে তাই আগুন নিয়ে শয়তানের পূজারীদের বিশ্বাস স্বমন্ধে আগে বলে নেই,তার পর শয়তানের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলব।
Fire (আগুন)
স্যাটানিক বাইবেল বইটি স্রষ্টাকে শুধু নিন্দার একটি প্রচেষ্টাই নয় বরং, এটাকে বলা যেতে পারে "ডায়াবলিক্যাল ক্রোধের" একটি বিবৃত্তি। যদিও ঈশ্বরের ভক্তরা অবিরত ও ধারাবাহিকভাবে শয়তানকে আক্রমণ করেছে, কিন্তু অন্ধকারের যুবরাজের পক্ষে কখনো ধার্মিকদের পালনকর্তার মুখপাত্রদের মত কথা বলা বা লেখার সুযোগ নেই। অতীতকালে পাদ্রী, রাব্বি অথবা ধর্মযাজকরা নিজ থেকে সংজ্ঞায়ন করতেন “ভালো” এবং "খারাপ"-কে, যেনো তারা সেই কাজ করার জন্য একমাত্র যোগ্য প্রার্থী এবং যারা তাদের প্রচারিত মিথ্যা বা মন ভোলানো বাণীর সাথে একমত নয়, তাদেরকে তারা অতি উৎসাহের সাথে বা চুপ করিয়ে দিয়েছে অপমানকরে কিংবা শারীরিকভাবে। তাদের ধর্মীয় বন্দনা গুলো অন্তঃসারশূন্য যখন তা নরকীয় নীতির উপর প্রয়োগ করা হয়। কারণ, শয়তান ছাড়া তাদের বানানো ঈশ্বরের ধর্ম ভেঙে পরবে। খুবই পরিতাপের বিষয়,আধ্যাত্মিক ধর্মগুলোতে সাফল্যের জন্য যে রূপক ব্যক্তিত্বকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়েছে, তার গুণাবলী খুব কম প্রকাশিত হয়েছে এবং সেই সাথে তাকে অপব্যবহার করা হয়েছে। আর এটা তারাই করেছে যারা পবিত্র প্রত্যাদেশ পাওয়ার দাবিদার। শত সহস্র বছর ধরে শয়তান নিস্তব্ধ ভাবে সকল প্রকার ভর্ৎসনা সহ্য করেছে ঈশ্বরের নির্বোধ নিন্দুকদের কাছ থেকে, কিন্তু তার পরিবর্তে শয়তান কখনো তার নিন্দুকদের প্রতি উত্তর দেয়নি। শয়তান সব সময় ভদ্রতা বজায় রেখেছে। সে নিজেকে উত্তম চরিত্রের প্রতিকৃতি হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছে, কিন্তু এখন সময় এসেছে সবকিছু সুদে আসলে ফেরত দেওয়ার। অবশেষে, সে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, এখন তার সমস্ত দেনা পাওনা মেটানোর সময় এসেছে। এখন আর অযৌক্তিক শর্ত এবং নিয়ম-নীতিপূর্ণ পুস্তকের প্রয়োজন নেই। প্রকৃতির নিয়ম পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এই ছোট্ট পুস্তকই যথেষ্ট। এর প্রতিটি আয়াত এক একটি জাহান্নাম, প্রতিটি শব্দ একেকটিঅগ্নিবান। জাহান্নামের আগুনে নিজেদের পোড়াও, কারণ ইহা পরিশুদ্ধকারক।পোড়াতে থাকো এবং শয়তানের আইন সম্পর্কে অবহিত হও।
শয়তানের প্রথম চ্যালেঞ্জ(ষীশুর জমের আগের):
১. এই ইস্পাত ও পাথরের শুকনো প্রান্তরে আমি আমার কন্ঠস্বর সুউচ্চ করেছি যাতে তুমি শুনতে পাও। আমি পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণে ইশারা করেছি এবং ঘোষণা করেছি, দুর্বলদের কাছে মৃত্যু, যা শক্তিশালীদের জন্য সম্পদ।
২. চোখ খোল, হয়তো তুমি দেখতে পাবে কতগুলো জঘন্য মনের মানুষ এবং লক্ষ লক্ষ বার হতবুদ্ধ হবে আমার কথা শুনে।
৩. কারন আমি দাঁড়িয়ে আছি পৃথীবির সমস্ত জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য, আর মানুষ এবং ঈশ্বরের প্রদত্ত "আইন" কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।
৪. আমি তোমার সোনালী নিয়মগুলো জানতে অনুরোধ করছি এবং জিজ্ঞাসিত করছি তোমার সেই দশটি আদেশ সম্পর্কে, যা তুমি দিয়েছো।
৫. তোমার (ঈশ্বরের) কোন আদর্শের প্রতীমা নেই যে আমার পূর্বে আত্মবিশ্বাসের সাথে তোমার দিকে ঝুঁকেছে এবং যে আমাকে বলেছে “তুমি তোমাকে", আমার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সে আমার শত্রু।
৬. আমি তোমার সেই পাগল মুক্তিদাতার তরল রক্তে আমার তর্জনী আঙ্গুল ডুবালাম এবং তার বিশাল সিংহাসনের উপরে লিখলামঃ সত্যিকারের খারাপের রাজপুত্র ক্রিতদাসের রাজা।
৭. কোন ধূসর মিথ্যা আমার কাছে সত্য হবে না; কোন উত্তেজনা সৃষ্টিকারি মতবান আমার কলম আটকানোর সামর্থ্যও রাখে না।
৮. আমি আমার সেই সমস্ত সম্মেলন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি যা আমাকে পার্থিব সফলতা ও আনন্দ দেয় না।
৯. আমি আমার মানসম্পন্ন কঠোর শক্তিশালী আক্রমনের দ্বারা জেগে উঠি।
১০. আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম সেই ভয়ংকর জিহ্বার (ঈশ্বরের) স্বচ্ছ চোখের দিকে এবং দাঁড়ি দিয়ে তাকে পেঁচিয়ে ধরার মত সাহস করলাম; আমি একটা বড় কুঠার উঁচু করলাম এবং তার পোকা খাওয়া মাথার খুলি দ্বিখণ্ডিত করলাম।
১১. সেই চুনামাটির তৈরি কবরের ব্যপারে কিছু ভয়ানক তাত্ত্বিক বিষয় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে যেগুলা আমাকে খুবই রাগান্বিত করে আর উচ্চস্বরে হাসায়।
শয়তানের দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জঃ(খ্রিস্টের জন্মের পরের):
১. ক্রুশবিদ্ধ যীশুমূর্তিটির দিকে দেখো কি বোঝা যাচ্ছে? এক অক্ষম পঙ্গু গাছে ঝুলে আছে।
২. আমি সব কিছুতেই প্রশ্ন করি। যেহেতু আমি অহংকারী রঙ্গিন চেহারা নিয়ে সকলের সম্মুখে আছি, আমি জ্বলন্ত নিন্দা নিয়ে লিখছিঃ দেখ দেখ; এই সবগুলা জালিয়াত
৩. আমার চারপাশে জড়ো হও, অহ! হ্যাঁ মৃত্যু আবশ্যক কিন্তু এই পৃথিবীটা তোমার, যদি তা তুমি অর্জন করো এবং ধরে রাখো।
৪. এক জীবিতকে শুদ্ধ করার জন্য মৃতকে দীর্ঘ সময়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৫. ভুয়া নবীগনের দ্বারা দীর্ঘ সময় যাবত কোনটা ঠিক বা ভুল কিংবা ভালো বা মন্দ তা বিপর্যন্ত হয়েছে।
৬. " ঐশ্বরীক” বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে অবশ্যই কোন ধর্ম গৃহীত হবে না। ধর্মকে অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ করতে হবে। কোন নৈতিক মতবাদ মঞ্জুর অথবা মানসম্পন্ন হওয়াটাই ঐশ্বরীকতার মাপকাঠি হতে পারে না। নৈতিক কোড নামক কোন পবিত্র কিছু আসলে নেই। যেমনঃ প্রাচীন কালের কাঠের তৈরী প্রতীমাগুলো মানুষের হাতে তৈরি, আর মানুষ যা তৈরি করেছে তা ধ্বংস করার ক্ষমতাও রাখে।
৭. সে কোন কিছু খুবই ধীরে বিশ্বাস করে এবং সবকিছু খুব দ্রুত বুঝায়, আর একটা মিথ্যা বিষয়ের উপরে বিশ্বাস করাই সমস্ত মূর্খতার শুরু।
৮. প্রতিটা নতুন যুগের প্রধান কাজ হলো মানুষকে স্বাধীনভাব সিদ্ধান্ত নিতে বাঁধা প্রদান করা, যে সকল বিষয় মানুষকে বস্তুগত সাফল্যের দিকে নিয়ে যায় সে সকল বিষয়ে বাধা প্রদান করা। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে একটা শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা। যে সকল তত্ত্ব ও ধারণাগুলো আমাদের পূর্বপুরুষের জন্য বেঁচে থাকার অভিপ্রেত ছিলো, সেইগুলোই আমাদের জন্য আমাদের আশা কিংবা স্বাধীনতার মাঝখানে দেয়াল এবং আমাদের কাছে ধ্বংস ও দাসত্বের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
৯. যেহেতু সময় পরিবর্তনশীল, তাই কোন মানুষের ধারণাই নিশ্চিতভাবে দাঁড়াতে পারে না।
১০. যখনি কোন একটা মিথ্যা রাজ্যে নিজের মত করে তৈরি হয়ে যায়, কোন দয়া আর অনুশোচনা ছাড়াই একে হত্যা করা উচিত।
সূত্র: Book of satanic bible, oxford academy.
লেখক: চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ