"নাস্তিকরা সবাই অন্ধ বিশ্বাসী"
নাস্তিকরা যে সবচেয়ে বেশী অন্ধ অনুকরন করে তার বিষয়ে কিছু কথা বলি। নাস্তিকরা নিজেকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী মনে করে এবং নিজেদের বাদে সবাইকে মূর্খ মনে করে আর নিজেরা বিশ্বাসীদের নিয়ে সারাক্ষন ট্রলড করে। তারা নিজেরা যা দেখে না, যা বুঝে না অথবা বিজ্ঞান দ্বারা যা ব্যাখ্যা করতে পারে না তার অস্তিত্ব মানে না। এটা তাদের একটা বড় মূর্খতা।
আবার কোন নাস্তিককে যদি বলেন যে তুইযে তোর বাবার প্রকৃত সন্তান তার ভিত্তি কি? উত্তরে বলবে আমার মা ই প্রমান, এখানে বলেনা যে কোন নাস্তিক তার মাকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করে না, এখানে বিনা প্রমানেই নাস্তিকরা মায়ের কথা বিশ্বাস করে অথচ বলে আমরা না দেখে কারো কথা বিশ্বাস করি না, ডিএনএ পরীক্ষা দ্বারা পিতৃত্ব প্রমান সম্ভব। কিন্তু সারা দুনিয়ায় একজন নাস্তিকও দেখাতে পারবে না কেউ যে তার মায়ের কথায় অন্ধ বিশ্বাস না করে তাদের পিতৃত্ব পরীক্ষা করেছে কখনো। আসলে তারা স্ববিরোধী মিথ্যুক।
তাদের নিকট আমার কয়েকটি প্রশ্ন,
ক. বলেন তো আমাবস্যা কিংবা পূর্নিমায় মানুষের শরীর যে ব্যাথা করে কেন করে তার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?
খ. ধানের প্রাথমিক শীষে যে সোনা প্রবেশ করে যা প্রবেশ না করলে ধান চিটা হয় তার মেকানিজম আপনার বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারবে?
গ. শুক্রানু-ডিম্বানু মিলে জাইগোট গঠনের সময় কোন শুক্রাণুটা ডিম্বানুতে প্রবেশ করবে এবং একটি অনির্দিষ্ট শুক্রানু প্রবেশের পর কিভাবে এবং কেন অভেদ্য হয়ে যায় তা আপনার বিজ্ঞানীরা বলতে পারবে?
যদি আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর না হয় তবে আপনাদের জ্ঞান অসমাপ্ত মানে অন্ধের হাতি দেখার মতই, খমোখা অহঙ্কার করবেন না। আপনারা অন্ধ, কিছু জ্ঞান দিয়ে মহাজ্ঞানকে অস্বীকার করছেন।
মনে রাখতে হবে বিজ্ঞান একটি চলমান ও ক্রম পরিবর্তনশীল জ্ঞান যা মানুষ চর্চা ও ধারনা এবং অনুভূতির মাধ্যমে অর্জন করে যার বেশির ভাগই আপেক্ষিক। তাই বিজ্ঞানের যে কোন সূত্র যে কোন সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। এটা কোন ভাবেই সয়ং সম্পূর্ণ জ্ঞান না। তাই এই জ্ঞান কেউ অর্জন করে অহংকার করলে বুঝতে হবে সে তার মানসিক সমস্যা,অল্প বিদ্যার ভয়ংকর দিক।
এটা একটা প্রচলিত একটি গল্পের মত, যেমন একদা স্বল্প উচ্চতার এক নতুন বউয়ের কানের দূল পানিতে পড়ে যায়, তখন শ্বাশুরিকে বলে যে তার কানের দূল বড় কলসির ভেতর পড়ে গেছে, কি করা যায়। তখন শ্বাশুড়ি বলে হাত দিয়ে তলা হতে দূলটি নিয়ে আসতে। তখন নব বধু হাত দিয়ে কলসির তলা হতে দূলটি উঠানোট চেষ্ট করে,কিন্তু দূর্ভাগ্য বশত বউয়ের হাত এতই ছোট ছিল যে তার হাত তলা পর্যন্ত পৌঁছে নি।পরে অনেক চেষ্টার পর ব্যর্থ হয়ে চিন্তা করে নব বধু শ্বাশুড়িকে বলে যে কলসী তলা ই নাই। অনুরুপ নাস্তিকদের জ্ঞানের ও চিন্তার সীমাবদ্ধতাও অসমাপ্ত। ওরাই আসল মূর্খ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ