হক্বানী আলেমে তৈরীর কারখনা ও প্রোডাক্টের গুনগত মান
ইদানীং হক্বানী আলেমে ও তাদের ফতোয়া নিয়ে অনেক কথাবার্তা চলছে। একদলের আলেমরা অন্যদলের আলেমদের পথভ্রষ্ট বলে গালি দেয়, সবাই বলে নিজেরা ছাড়া বাকীরা বাতেল। চরমোনাইর পীরেররা বার বার বলছে বাংলাদেশের বৃহত্তম দল জানায়াতের আকরলীদা নাকি হক্বানী আলেমদের মতে বাতেল। এখন সাধারন মানুষের প্রশ্ন হক্বানী আলেম কারা, কোথায় তা উইৎপাদন হয়, কে তাদেরকে হক্বানী সার্টিফিকেট দেয়?
চলুন এক এক করে হক্বানী আলেমদের কারখানা হতে উৎপাদিত আলেমদের আকিদা দেখি।
১। চরমোনাইর কারখনার প্রডাক্টের আলেমদের আক্বীদা:
ক। ভেদে মারেফত ও এসকে এলাহি সহ ২৬ টি কুফুরী আকিদার কিতাব চরমোনাইর প্রতিষ্ঠাতা ইসহাক সাহেব রচনা করেছেন, যেখানে হেন কোনো আল্লাহ হতে রুহ ছিনাইয়া আনা, আল্লাহর আন্দাজ নাই সহ হেন কোনো বেয়াদবী নাই যা সৃষ্টি কর্তার প্রতি করে নি।
খ। আর্তমান পীরেরা, সৌদি আরবে হোটেলে রুমাল চুরী, জাহাজ দিয়ে মুরীদ বেহেশতে নেওয়া, লাফিয়ে লাফিয়ে বাহারি জিকির করা,এজিদকে হক্বানী মনে করা, আদম(আ:) সৃষ্টির উদ্দেশ্য মল ত্যাগ করা সহ হাজারো কুফুরী আকীদার প্রচারক এই হক্বানী ফ্যাটরীর আলেমরা।
গ। এই একই কোম্পানীর প্রোডাকশন হাক্বানী রেজাউল করিম আবরার, সে বলে আল্লাহ ইচ্ছা করে নাকি জ্বেনা করাতে পারে(নাউজু বিল্লাহ)
লাপিয়ে জিকির, ভেদে মারেফত, ১২৬ তরিকা, বেগুননগাছের কিছা,বাঘের কিচ্ছা, বাইমমাছের ওয়াজ সব এই হক্বানী ফ্যাক্টরীর প্রেডাকশন।
২। কওমী ফ্যাক্টরী:
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী সহীহ আলেম তৈরীর কারখানা হিসাবে প্রচারমকরা হয় কওমী কারখানাকে। চলুন দেখি তাদের হক্বামী আলপেদের কি অবস্থা।
ক। মুফতী আহাম্মদ সফী (রাহি:) এদেশের শত শত আলেমের উস্তাদ। উনাকে হেন কোনো অপমান নাই যা সাবেক স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ করে নি, ৫ মে আলেমদের রক্তের বন্যা বয়ে গেছিলো, কিন্তু দু:খের বিষয় এই তেঁতুল হুজুর খ্যাত আহমেদ সফি সাহেব সেই হাসিনাকেই কিছু জমি ও তোহফার বিনিময়ে কওমী জননী উপাধি দিয়েছিলো। সেই কওমী জননী নরখাদক হিসাবে প্রকাশ পায় ২৪ আন্দোলনে, আর সেই নরখদকের সন্তন হলো এই হক্বানী আলেম কওমীরা।
খ। ইক্বামতেদ্বীনেের অপব্যাখ্যাকারী কওমী পাঠা ওলিপূরী হাফি: এর ৃত মাথামোটা হক্বানী আলেমের কারখনা কিন্তু কওমী মাদরাসা।
গ। ফরিদ উদ্দিন মাসুদের মত মুনাফেক হক্বানী আলেমের প্রোডাকশন কিন্তু কওমী মাদরাসায় ই হয়েছিলো।
ঘ। মুফতি সাইদ আহাম্মদের ৃত শাহবাগী হল্বানী আলেমের কারখানা কিন্তু কওমী মাদরাসা।
পরের পর্বে অন্যান্য কারকানা নিয়ে আলোচনা করবো, বিশেষ করে দেওবন্ধীদের কারকানা নিয়ে।
কারখানার নাম: দেওবন্ধ মাদরাসা।
অবস্থানঃ সাহারান পুর, দেওবন্ধ, ভারত।
কোম্পানীর ধরন: হক্বানী ওলামায়ে কেরাম তৈরী।
প্রোডাক্টসের বর্ননা:
দেওবন্ধী ও কাশেম নানুতুবী গংরা সর্ব প্রথম ভারত বর্ষে খতমে নব্যুয়ত অস্বীকার কারী, ভন্ড নবী কাদিয়ানীর জন্ম দাতা এবং নবী রাসূল ও সাহাবা কেরামদের সাথে ইতিহাসের জঘন্য তম বেয়াদবী গুলো তারাই করেছে। নানুতুবী বলেন, রশিদ আহাম্মদ গাঙ্গোহী বলেন আর মৌলভী ইসমাইল দেহলভী খারেজী বলেন সবাই নবী-রাসূল ও সাহাবাদের শানে চরম বেয়াদবী গুলো করেছে। এখনে একটা একটা প্রমান দেওয়া হলো, আপনারা শেষ পর্যন্ত পড়ে সূত্র ধরে ধরে এই হক্বানী আলেমদের প্রমান দিয়ে জিজ্ঞেস করবেন।
বর্তমানে মুসলমানদের ছুরতে দ্বীন ইসলাম এর মধ্যে যে ফিতনাগুলো (শিয়া, ওহাবী, মাদখালি,বেরলভী, খারিজী ইত্যাদি) বিরাজমান তার মধ্যে চরম ভয়ঙ্কর ফিতনা হচ্ছে কাদিয়ানী ফিতনা। মূলত, পাঞ্জাবের ‘কাদিয়ান’ নামক গ্রামে ১৮৩৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশের দালাল মির্জা গোলাম আহামদকে যদিও কাদিয়ানী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়, কিন্তু তাকে এই মতবাদ প্রতিষ্ঠায় প্ররোচিত করে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা কাছিম নানুতবী।কেননা এই গোলাম আহাম্মদ কাদিয়ানী কাশেম নানুতুবীর ছাত্র ছিলো এবং দেওবন্ধ মাদরাসায় পড়ত।
এই গোলাম আহাম্মদ কাদিয়ানীর সর্বপ্রথম নব্যুয়ত দাবীকে আগেই বৈধতার ফতোয়া দিয়ে রেখেছিলেন কাশেম নানুতুবী। কেননা এই কাশেম নানুতবী দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পর ১৮৭৪ সালে ‘তাহ্যীরুন্নাছ’ নামক একটি গ্রন্থ রচনা করে; যার ২৫ তম পৃষ্ঠায় সে পবিত্র কুরআন শরীফ এর সূরা আহযাব শরীফ এর ৪০ নম্বর আয়াতের এর মধ্যে বর্ণিত ‘খাতামুন নাবিইয়ীন’ শব্দ ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন যে, “খাতামুন্ নাবিইয়ীন অর্থ হলো- ‘মূল নবী’। অন্যান্য নবীগণ ছিলেন সাময়িক নবী। যারা ‘খাতামুন নাবিইয়ীন’ শব্দের অর্থ ‘শেষ নবী’ বলে তারা জাহিল ও মূর্খ। নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগে বা সর্বশেষে আসার মধ্যে কোনো ফযীলত নেই। ফযীলত হলো ‘মূল নবী’ হওয়ার মধ্যে। তার পরে যদি ১০০০ নবীর আগমনও মেনে নেয়া হয়, তাতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খতমে নুবুওয়াত-এর কোনো রুপ তারতম্য হবে না।” (নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক!)
এই মৌলভী একই বইয়ের ৩য় পৃষ্ঠার শুরুতেই লিখেন খতমে নব্যুয়ত অর্থ শেষ নবী এটা সাধারন শিক্ষিত মানুষের ধারনা, এটা কোন আলেমের ধারনা নয়। আলেমরা মনে করে খতমে নবযুয়ত মানে বড় নবী, বড় নবীর পরে আরো নবী আসা ও না আসার সাথে খতমে নব্যুয়তের কোন সম্পর্ক নাই(তাহীরুন্ন্যাস, পৃষ্ঠা-৩)
কাছিম নানুতবীর বাতলে দেয়া এই পথ ধরে ১৯০৫ সালে মির্জা গোলাম কাদিয়ানী নবী দাবি করে বসে। পরবর্তীতে গোলাম কাদিয়ানীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে তার উস্তাদ কাশেম নানুতুবীর বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে বলে যে, “মাওলানা কাছিম নানুতবী ছাহেব তো তার ‘তাহ্যীরুন্নাছ’ গ্রন্থে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে ১০০০ নবীর আগমনের সম্ভাবনা স্বীকার করে নিয়েছে। সুতরাং আমি (কাদিয়ানী) একজন নবী দাবি করাতে দোষ কোথায়? আরো তো ৯৯৯ জন দাবি করতে পারে।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক!
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের মূল প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে হক্বানী আলেম তৈরীর কারখনা দেওবন্দের প্রধান প্রকৌশলী কাছিম নানুতুবী, আর মির্জা গোলাম কাদিয়ানী তার ২৯ বছর আগেই দেওবন্ধী কাশেম নানুতুবী তাহীরুন্ন্যাস বইয়ের মাধ্যমে খতমে নব্যুয়ত অস্বীকার করে কাদিয়ানীর নবী দাবীর পথ সুগম করে রেখেছিলো।
এখন মির্জা গোলাম কাদিয়ানী যদি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ফতওয়া মুতাবিক যদি কাফির হয়, তাহলে কাছিম নানুতবীর ব্যাপারে ফায়ছালা কি হবে?
এখন বুঝ গেলো সর্ব প্রথম ভারত বর্ষে কাদিয়ানী নিজেকে নবী দাবী করলেও ২৯ বছর আগেই খতমে নব্যুত অস্বীকার করে ছিলো এই দেওবন্ধী কাছিম নানূতুবী কারিগর।
শুধু তাই নয়, কাছিম নানুতবীর এই দেওবন্দ মাদরাসা হতে যে সমস্ত মাওলানা পয়দা হয়েছে তাদের অনেকেরই লিখিত গ্রন্থে কুফরী-শিরকীর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়, যা কোনো মুসলমানের পক্ষে ধারণা করাও অসম্ভব। পরিশেষে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে দেওবন্দ মাদরাসার বার্ষিক অনুষ্ঠানে হিন্দু যোগী রামদেবের কাছে দীক্ষা নেয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের মুখোশ পরিপূর্ণরূপে উন্মোচিত হয়েছে এবং প্রকাশ পেল যে, দেওবন্দীরা মুশরিক।
এই নানুতুবীরাই হিন্দু মুসলিম একজাতি নামকমকুফুরী তত্ত্বের জন্ম দিয়ে ভারতের হবে হিন্দুত্ববাদি গান্ধীর কংগ্রেসের গোলামী আজও করে যাচ্ছে।
দেবন্ধ কারখনার কিছু প্রোডাক্টসের গুনগত মান নিম্নে প্রমান সহ বর্ননা করা হলোঃ
১। আল্লাহ (পাক তিনি) মিথ্যা বলতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ!
(রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৯, তালিফাত রশীদিয়া, কিতাবুল আক্বাঈদ অধ্যায় পৃষ্ঠা ৯৮, খলীল আহমদ আম্বেটী- তাজকিরাতুল খলীল, পৃষ্ঠা ১৩৫, মেহমুদ হাসান, আল জিহাদুল মুগিল- পৃষ্ঠা ৪১)
২। আল্লাহ (পাক তিনি) বান্দা ভবিষ্যতে কি করবে তা আগে থেকে বলতে পারেন না। বান্দা কর্ম সম্পাদনের পর আল্লাহ (পাক তিনি) তা জানতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ! (হুসাইন আলী, তাফসীরে বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮)
৩। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (উনার) জ্ঞানের চেয়ে শয়তান ও হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম (উনার) জ্ঞান বেশি। নাঊযুবিল্লাহ! (খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৫১)।
৪. “আল্লাহর নবীর নিকট নিজের পরিণতি এবং দেয়ালের পেছনের জ্ঞানও নেই।”
[বারাহীন-ই ক্বাতি‘আহ্,পৃষ্ঠা ৫১,কৃত: খলীল আহমদ আম্বেটভী দেওবন্দী]
৫. “হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ্ তা‘আলা তেমনি জ্ঞান দান করেছেন,যেমন জ্ঞান জানোয়ার,পাগল এবং শিশুদের নিকটও রয়েছে।”
[হিফযুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৭,কৃত: মৌং আশ্রাফ আলী থানভী দেওবন্দী]।
৬. “নামাযে হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি শুধু খেয়াল যাওয়া গরু-গাধার খেয়ালে ডুবে যাওয়া অপেক্ষাও মন্দতর।”
[সেরাতে মুস্তাক্বীম,পৃষ্ঠা ৮৬,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]।
৭. “‘রাহমাতুল্লিল ‘আলামীন’ (সমস্ত বিশ্বের জন্য রহমত) রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাস উপাধি নয়।হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাড়া অন্যান্য বুযুর্গকেও ‘রাহমাতুল্লিল ‘আলামীন’ বলা যেতে পারে।”
[ফাতাওয়া-ই রশীদিয়া,২য় খণ্ড,পৃষ্ঠা-১২, কৃত মৌং রশীদ আহমদ গাঙ্গূহী দেওবন্দী]।
৮. “‘খাতামুন্নবিয়্যীন’ অর্থ ‘আখেরী বা শেষনবী’ বুঝে নেওয়া সাধারণ লোকদের খেয়াল মাত্র।জ্ঞানী লোকদের মতে এ অর্থ বিশুদ্ধ নয়।হুযূর আক্রামের যুগের পরও যদি কোন নবী পয়দা হয়, তবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী হওয়ায় কোন ক্ষতি হবে না।”
[তাহযীরুন্নাস,পৃষ্ঠা ৩ ও ২৫, কৃত দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মৌং কাসেম নানুতুভী]।
৯. “হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেওবন্দের আলেমদের সাথে সম্পর্কের সুবাদে উর্দূ শিখতে পেরেছেন।”(নাউজুবিল্লাহ)।
[বারাহীন-ই ক্বাতি‘আহ্, পৃষ্ঠা ২৬,কৃত: মৌং খলীল আহমদ আম্বেটভী দেওবন্দী]।
১০. “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সম্মান শুধু বড় ভাইয়ের মতই করা চাই।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৫৮,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১১. আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমকক্ষ কোটি কোটি পয়দা করতে পারেন।
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ১৬,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]।
১২. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মরে মাটিতে মিশে গেছেন।
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৫৯, কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী]।
১৩. “নবী-রসূল সবাই অকেজো।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ২৯,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১৪। নবীদের প্রতিটি মিথ্যা থেকে পবিত্র ও মাসুম হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
[তাক্বভিয়াতুল আকাঈদ পৃষ্ঠা ২৫ কৃত মৌং কাসেম নানুতবী]।
১৫. “নবীর প্রশংসা শুধু মানুষের মতই কর; বরং তা অপেক্ষাও সংক্ষিপ্ত কর।
( তাক্বভীয়াতুল ঈমান, পৃষ্ঠা-৬১, মৌ.ইসমাইল দেহলভী)
১৬. “বড় অর্থাৎ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আর ছোট অর্থাৎ অন্যসব বান্দা বেখবর ও অজ্ঞ।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৩,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১৭. “বড় মাখলূক অর্থাৎ নবী, আর ছোট মাখলূক অর্থাৎ অন্যসব বান্দা আল্লাহর শান বা মর্যাদার সামনে চামার অপেক্ষাও নিকৃষ্ট।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ১৪,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১৮. “নবীকে ‘তাগূত’ (শয়তান) বলা জায়েয।”
[তাফসীর-ই বুলগাতুল হায়রান, পৃষ্ঠা ৪৩, কৃত. মৌং হুসাইন আলী ওয়াঁভচরান ওয়ালা]
১৯. “নবীর মর্যাদা উম্মতের মধ্যে গ্রামের চৌধুরী ও জমিদারের মত।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৬১,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
২০. “যার নাম মুহাম্মদ কিংবা আলী তিনি কোন কিছুর ইখতিয়ার রাখেন না। নবী ও ওলী কিছুই করতে পারেন না।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৪১,কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
২১. “উম্মত বাহ্যিকভাবে আমলের মধ্যে নবী থেকেও বেড়ে যায়।”
[তাহযীরুন্নাস,পৃষ্ঠা ৫,কৃত: মৌং কাসেম নানুতভী]
২২. “দেওবন্দী মোল্লা হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পুলসেরাত হতে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।”
[তাফসীর-ই বুলগাতুল হায়রান,পৃষ্ঠা ৮, মৌং হুসাইন আলী]
২৩. “‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ আশরাফ আলী রসূলুল্লাহ্’ আর ‘আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা সায়্যিদিনা ওয়া নবীয়্যিনা আশরাফ আলী’ বলার মধ্যে সান্ত্বনা রয়েছে, কোন ক্ষতি নেই।”
[রিসালা-ই ইমদাদ,পৃষ্ঠা ৩৫,সফর – ১৩৩৬ হিজরি সংখ্যা]
সিদ্ধান্ত: এইকারখানার প্রোডাক্টসের গুনগত মান কখনোই শত ভাগ খাঁটি না।
[১।তথ্য সূত্র: আনজুমান-ই রহমানিয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্ট,
২।মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন। (বিএ ইন আরবি সাহিত্য ও ইসলাম শিক্ষা),
৩।(আবুল হাসান নাদভী, সীরাতে সাইয়েদ আহমাদ শহীদ এবং ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, আহলেহাদীছ আন্দোলন : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ,পিএইচ.ডি. থিথিস)। ]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ